হায়দরাবাদ, 26 ফেব্রুয়ারি: আন্দোলন আরও জোরালো করতে চায় কৃষকরা ৷ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (এসকেএম) সোমবার সারা দেশে ট্র্যাক্টর মিছিল বের করতে চলেছে ৷ কৃষক আন্দোলনে জোর বাড়াতে আবারও আন্দোলনে নামতে চলেছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। এছাড়াও আগামী 14 মার্চ দিল্লিতে ডাক দেওয়া হয়েছে কৃষক মহাপঞ্চায়েতের। এদিন আন্দোলনকারী কৃষকরা 'ডব্লিউটিও দিবস' না-পালন করার ডাক দিতেই ট্র্যাক্টর মিছিল বের করার পরিকল্পনা করেন ৷ আজ থেকে 29 ফেব্রুয়ারির মধ্যে 13তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ডব্লিউটিও দিবস। তাতে না-থাকার ডাক দিয়েছেন কৃষকরা ৷
- এর আগে, হরিয়ানার 7টি জেলায় ইন্টারনেট ব্যবস্থা ফের চালু হয়েছে ৷ রবিবার সকাল থেকে এই পরিষেবা ফের দেওয়া হল। প্রায় দু'সপ্তাহ ধরে এই পরিষেবা বন্ধ ছিল কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযানের জেরে। আম্বালা, কুরুক্ষেত্র, কাইঠাল, জিন্দ, হিসার, ফতেহাবাদ এবং সিরসাতে বন্ধ ছিল মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এলাকায় শান্তি এবং নিরাপত্তার দিকটি মাথায় রেখেই এই পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।
- দিল্লির টিকরি এবং সিংগু সীমান্ত পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেডগুলি সরানো হয়েছে ৷ এছাড়া ফতেহাবাদেও পঞ্জাব সীমান্তের রাস্তা থেকেও ব্যারিকেডগুলি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
- কৃষক আন্দোলনে এখনও পর্যন্ত বিক্ষোভ, মিছিলে 3 পুলিশ ও 4 কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। পঞ্জাবের ওই কৃষকরা হলেন 65 বছর বয়সি জ্ঞান সিং, 72 বছর বয়সি মনজিৎ সিং, 21 বছর বয়সি শুভকরন সিং এবং 62 বছর বয়সি দর্শন সিং। এছাড়াও, 58 বছর বয়সি এসআই হীরালাল, 56 বছর বয়সি এসআই কৌশল কুমার এবং 40 বছর বয়সি এসআই বিজয় কুমারও কৃষকদের আন্দোলনের সময় মারা গিয়েছেন।
কৃষকদের দাবি: বিক্ষোভকারী কৃষকরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এমএসপি সংক্রান্ত একটি আলাদা আইন প্রয়ো, অতীতে যে বিক্ষোভ হয়েছিল সেই কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, কৃষকদের ঋণ মকুব, কৃষক ও কৃষি শ্রমিকদের পেনশন, বিদ্যুৎ প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছেন। সংশোধনী বিল 2020 এবং লখিমপুর খিরি ঘটনার দোষীদের কঠোর শাস্তিও জানাচ্ছেন তাঁরা ৷
প্রসঙ্গত, একগুচ্ছ দাবিতে মঙ্গলবার দিল্লি যাত্রার ডাক দিয়েছেন পঞ্জাব, হরিয়ানার হাজার হাজার কৃষক। অতীতের কথা মনে রেখে আন্দোলন সামাল দিতে একাধিক পরিকল্পনা করেছে পুলিশ প্রশাসন। সাধারণ মানুষ যাতে এই আন্দোলনের জেরে কোনওরকম অসুবিধার না-পড়েন সেই দিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। এদিকে কৃষকদের কর্মসূচিকে ঘিরে ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে 144 ধারা। আগামী এক মাস (13 ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে), অর্থাৎ 12 মার্চ পর্যন্ত 144 ধারা জারি থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: