নয়াদিল্লি, 22 মার্চ: আবগারি দুর্নীতি মামলায় কে কবিতার জামিনের আবেদন নাকচ করল সুপ্রিম কোর্ট ৷ রাজনৈতিক নেতারা সরাসরি শীর্ষ আদালতে জামিনের আবেদন জানান ৷ এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট নীতি মেনে চলে আদালত ৷ তাই শুক্রবার সকালে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজের পাশাপাশি তাঁকে নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করার পরামর্শ দেয় বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি এমএম সুরেশ এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ ৷ এদিন মামলাকারী কে কবিতার পক্ষে বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল সওয়াল-জবাব করেন ৷ উল্লেখ্য, কে কবিতার গ্রেফতারির এক সপ্তাহের মধ্যে গতকালই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷ তিনিও আবগারি দুর্নীতিতে জড়িত বলে অভিযোগ ৷
এদিন তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, জামিন দেওয়ার বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট নীতি মেনে চলে আদালত ৷ তাই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা জামিন চেয়ে সরাসরি শীর্ষ আদালতে আবেদন জানালে আদালতের পক্ষে তা মঞ্জুর করা সম্ভব নয় ৷ যে প্রোটোকল মেনে চলা হচ্ছে, তা এড়িয়ে যাওয়া যায় না ৷ বিআরএস নেত্রী কে কবিতা মামলায় আর্থিক প্রতারণার আইন প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট বা পিএমএলএ-কে চ্যালেঞ্জ করেছেন ৷ সেই বিষয়ে ছ'সপ্তাহের মধ্যে ইডিকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷
কে কবিতার পক্ষে আইনজীবী কপিল সিবাল এদিন আদালতে হাইকোর্টে আপিল করার অনুরোধ জানান ৷ বেঞ্চের সামনে তিনি হতাশ বলেও উল্লেখ করেন ৷ এরপর বেঞ্চ সিবালকে জানায়, "আইনজীবী হিসাবে আপনার কখনওই নিরাশ হওয়া উচিত নয় ৷ আবেগী হবেন না ৷ জুলাই মাসে অন্য আবেদনগুলির সঙ্গে রিট পিটিশনের শুনানি হবে ৷ তবে জামিনের বিষয়ে আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই, আপনাকে নিম্ন আদালতে যেতে হবে ৷" তিন বিচারপতির বেঞ্চে বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন-সহ অন্য রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন ৷ তবে বেঞ্চ তাঁকে রাজনৈতিক মন্তব্য করতে নিষেধ করেন ৷
15 মার্চ তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেসি রাওয়ের মেয়ে কে কবিতার হায়দরাবাদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি ৷ তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷ এই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি ৷ তবে 46 বছর বয়সি কে কবিতা তেলেঙ্গানার বিধান পরিষেদর সদস্য ৷ ইডি তাঁকে 23 মার্চ পর্যন্ত হেফাজতে রাখবে ৷
আরও পড়ুন: