গ্যাংটক ও কালিম্পং, 16 জুন: বেসামাল সিকিম ৷ প্রবল বৃষ্টি ও ধসে সিকিমের ছবিটা ভয়াবহ ৷ দুর্যোগের কবলে উত্তরবঙ্গও ৷ বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক ৷ কীভাবে পর্যটকদের উদ্ধার করা হবে, তানিয়ে নানা উপায়ের কথা ভাবছে সিকিম সরকার ৷ খারাপ আবহাওয়ার কারণে বায়ুসেনাও উদ্ধারকাজে সাহায্য করতে পারছে না ৷ শেষে সিকিম সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, উত্তর সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকদের দায়িত্ব নিতে হবে ট্রাভেল এজেন্টদেরই ৷ পায়ে হেঁটেই তাঁদের দুর্গম পথ পেরোতে হবে ৷ এই কাজ সোমবার থেকেই শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে সিকিম সরকার ৷
সিকিমের একটি পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে সমস্ত ট্রাভেল এজেন্টরা তাঁদের পর্যটকদের উত্তর সিকিমে পাঠিয়েছেন, অর্থাৎ যাঁরা আটকে রয়েছেন তাঁদেরকে নিয়ে সোমবার সকাল দশটার মধ্যে সিকিমের মঙ্গনে পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়েছে সিকিম সরকার ৷
ওই এজেন্টরা আটকে থাকা পর্যটকদের টুং পর্যন্ত নিয়ে আসবে ৷ তারপর পায়ে হেঁটে তাঁদের মঙ্গন পর্যন্ত নিয়ে যাবে ৷ সেখান থেকে গ্যাংটক পৌঁছে যদি কোনও এজেন্ট দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সিকিম সরকার ৷
ট্রাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ সিকিম (TAAS)-এর তরফে জানানো হয়েছে, সমস্ত ট্রাভেল এজেন্সি, বিশেষত যাঁদের পর্যটকরা উত্তর সিকিমে আটকে পড়েছেন, তাঁদের আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার সকাল 10টার আগে মঙ্গনে পৌঁছতে হবে ৷ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারে উদ্ধার সম্ভব হচ্ছে না ৷ প্রাপ্ত তথ্যমতে, টুং পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা অনুকূলে ৷ তাই উদ্ধারকাজের আয়োজন করা হবে ৷ পর্যটককে টুং পর্যন্ত নিয়ে আসা হবে ৷ তারপর পায়ে হেঁটে মঙ্গন পর্যন্ত স্থানান্তর করা হবে, কারণ সেখানে 3-4টি ভূমিধস এলাকা রয়েছে ৷ এই বিষয়ে অবহেলা করা হলে ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷"