নয়াদিল্লি, 13 জুলাই: উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে একযোগে বিজেপিকে আক্রমণ করল কংগ্রেস থেকে শুরু করে তৃণমূলের মতো দলগুলি। বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি থেকে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সোশাল মিডিয়ায় সুর চড়ালেন সকলেই । মুম্বই থেকে কলকাতা ফিরে প্রতিক্রিয়া দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাহুল লেখেন, 7 রাজ্যের ফলাফল থেকে স্পষ্ট বিজেপি দেশজুড়ে যে ভয় ও সংশয়ের বাতাবরণ তৈরি করেছিল তা আর নেই । কৃষক, শ্রমিক থেকে যুব সমাজ বা চাকরিজীবী সকলেই চান অপশাসনের শেষ হোক। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হোক । দেশের মানুষ সংবিধান বাঁচাতে এবং সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ইন্ডিয়া শিবিরের পাশে আছে ।
মহুয়া লেখেন, বাংলার চারটি আসনেই তৃণমূল জিতেছে। দেশের 13টি আসনের 10টিতেই হেরেছে বিজেপি । বিজেপি এবং তার এজেন্সিগুলো ক্রমশ নিজেদের জায়গা হারিয়ে ফেলছে। দেশ নরেন্দ্র মোদিকে বলছে, তুমসে না হো পায়েগা ।
তৃণমূল সাংসদের এমন মন্তব্য করার নির্দিষ্ট কারণ আছে। লোকসভার অধিবেশনে রাহুলের জন্য এই একই কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। কটাক্ষের সুরে মোদি বলেন, নেতা হিসেবে কংগ্রেসকে জয় এনে দিতে তিনি ব্যর্থ । শুধু তাই নয়, তিনি সংসদে যেভাবে কথাবার্তা বলছেন বা আচরণ করছেন তাও শিশুসুলভ। এরপরই মোদি বলেন, "সকলেই এখন রাহুলকে বলছেন, তুমসে না হো পায়েগা! " এবার সেই কথাই তাঁকে ফিরিয়ে দিলেন মহুয়া।
এর আগে দুপুরে কলকাতা বিমানবন্দরে মমতা বলেন, "অনেক চক্রান্ত সত্ত্বেও মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছে। বিজেপি আর তার এজেন্সিকেও রুখে দিয়েছে। আমাদের সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। আমরা একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে মানুষের কাজ করে যাব। গোটা দেশের কথা বললে বলা যায়, বিজেপি পর্যদুস্ত হয়েছে। মানুষ বিজেপিকে পছন্দ করেনি। সাত রাজ্যের মধ্যে যে দু'টো রাজ্যে ক্ষমতায় আছে (মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান) সেখানে জিতেছে। নিজেরা নিজেরা কী করেছে জানি না । না জেনে বলতে পারব না । তবে এটা বোঝা যাচ্ছে গোটা দেশের মানুষই বিজেপিকে পছন্দ করছে না। "