ETV Bharat / bharat

রাতেই সরল ব্যারিকেড, বৃহস্পতিতে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরের কক্ষে পুজো

Prayers inside Gyanvapi mosque: বৃহস্পতি সকালে জ্ঞানবাপী মসজিদের 'ব্যাস কা তেহখানা' নামক জায়গায় পুজো হল ৷ বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির সংলগ্ন এই মসজিদের জায়গায় আগে হিন্দু মন্দির ছিল বলে জানিয়েছে দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক সংস্থা ৷

ETV Bharat
জ্ঞানবাপী মসজিদ
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 1, 2024, 12:56 PM IST

বারাণসী, 1 ফেব্রুয়ারি: আদালতের নির্দেশের পরদিন সকালেই মসজিদের ভিতরের কক্ষে পুজো করলেন পুরোহিত ৷ বুধবার বারাণসী জেলা দায়রা আদালত মসজিদের মধ্যে 'ব্যাস কা তেহখানা' নামক জায়গায় প্রার্থনার অনুমতি মঞ্জুর করে ৷ তারপরই মসজিদের ভিতরে পুজো হয় ৷ এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি নগেন্দ্র পাণ্ডে ৷ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা ভিএইচপি এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে ৷

পুজো করার অধিকার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক পুরোহিত ৷ এদিন সেই মামলারই নির্দেশ দেয় আদালত ৷ জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজো করতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন শৈলেন্দ্র কুমার পাঠক ৷ হিন্দু পক্ষের আইনজীবী মদন মোহন যাদবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাঠক দাবি করেন, তাঁর মায়ের বাবা সোমনাথ ব্যাস 1993 সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজো করেছেন ৷ তবে 1992 সালের 6 ডিসেম্বর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস হওয়ার পর এই পুজো বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ সেই সময় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মুলায়ম সিং যাদব ৷

এদিকে মামলার শুনানিতে মুসলিমদের পক্ষ থেকে পাঠকের দাবি অস্বীকার করা হয় ৷ জানানো হয়, ওই কক্ষে কোনও দেব-দেবীর মূর্তি ছিল না ৷ তাই 1993 সাল পর্যন্ত পুজোর বিষয়টিই উঠতে পারে না ৷ এর আগে 17 জানুয়ারি বারাণসীর আদালত নির্দেশ দেয়, জেলাশাসক ওই কক্ষের দায়িত্ব নেবেন ৷ তবে পুজো-প্রার্থনা সংক্রান্ত কোনও কথা বলা হয়নি ৷ মুসলিম পক্ষ বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন জানাবে ৷

বৃহস্পতিবার সকাল 10.30 মিনিট নাগাদ নগেন্দ্র পাণ্ডে একটি সংবাদসংস্থাকে বলেন, "31 বছর পর ব্য়াসজির কক্ষটি খুলে দেওয়া হয়েছে ৷" বেসমেন্টেও পুজো করা হয়েছে বলে জানান কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি ৷ তিনি আরও বলেন, "আদালতের নির্দেশ মেনে জেলা প্রশাসন তড়িঘড়ি সবরকম আয়োজন করেছে ৷" এদিকে জেলাশাসক এ রাজলিঙ্গম বলেন, "আমি আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করেছি ৷" কয়েকজন স্থানীয় অবশ্য দাবি করেছেন, ওই কক্ষটি পরিষ্কার করে প্রথম দেবী লক্ষ্মী এবং ভগবান গণেশের পুজো করা হয়েছে ৷

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত 9.30 টার সময় জেলাপ্রশাসন কাশী বিশ্বনাথ ট্রাস্টের সদস্যদের ডাকা হয় ৷ এর সঙ্গে নন্দীর মূর্তির সামনে থাকা ব্যারিকেডগুলি সরিয়ে দেওয়া হয় ৷ নন্দীর মূর্তিটি 'ওয়াজুখানা'র দিকে মুখ করে ছিল ৷ বুধবার আদালত স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে, আগামী 7 দিনের মধ্য়ে প্রার্থনার সবরকম বন্দোবস্ত করে ফেলতে হবে ৷

আরও পড়ুন:

  1. জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে পুজো দিতে পারবে হিন্দুরা: আদালত
  2. শুরু বাজেট অধিবেশন, নারী শক্তিতে জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
  3. জ্ঞানবাপী মসজিদের জায়গায় বড় হিন্দু মন্দির ছিল, এএসআই-এর রিপোর্টে দাবি

বারাণসী, 1 ফেব্রুয়ারি: আদালতের নির্দেশের পরদিন সকালেই মসজিদের ভিতরের কক্ষে পুজো করলেন পুরোহিত ৷ বুধবার বারাণসী জেলা দায়রা আদালত মসজিদের মধ্যে 'ব্যাস কা তেহখানা' নামক জায়গায় প্রার্থনার অনুমতি মঞ্জুর করে ৷ তারপরই মসজিদের ভিতরে পুজো হয় ৷ এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি নগেন্দ্র পাণ্ডে ৷ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা ভিএইচপি এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে ৷

পুজো করার অধিকার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক পুরোহিত ৷ এদিন সেই মামলারই নির্দেশ দেয় আদালত ৷ জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজো করতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন শৈলেন্দ্র কুমার পাঠক ৷ হিন্দু পক্ষের আইনজীবী মদন মোহন যাদবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাঠক দাবি করেন, তাঁর মায়ের বাবা সোমনাথ ব্যাস 1993 সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজো করেছেন ৷ তবে 1992 সালের 6 ডিসেম্বর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস হওয়ার পর এই পুজো বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ সেই সময় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মুলায়ম সিং যাদব ৷

এদিকে মামলার শুনানিতে মুসলিমদের পক্ষ থেকে পাঠকের দাবি অস্বীকার করা হয় ৷ জানানো হয়, ওই কক্ষে কোনও দেব-দেবীর মূর্তি ছিল না ৷ তাই 1993 সাল পর্যন্ত পুজোর বিষয়টিই উঠতে পারে না ৷ এর আগে 17 জানুয়ারি বারাণসীর আদালত নির্দেশ দেয়, জেলাশাসক ওই কক্ষের দায়িত্ব নেবেন ৷ তবে পুজো-প্রার্থনা সংক্রান্ত কোনও কথা বলা হয়নি ৷ মুসলিম পক্ষ বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন জানাবে ৷

বৃহস্পতিবার সকাল 10.30 মিনিট নাগাদ নগেন্দ্র পাণ্ডে একটি সংবাদসংস্থাকে বলেন, "31 বছর পর ব্য়াসজির কক্ষটি খুলে দেওয়া হয়েছে ৷" বেসমেন্টেও পুজো করা হয়েছে বলে জানান কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি ৷ তিনি আরও বলেন, "আদালতের নির্দেশ মেনে জেলা প্রশাসন তড়িঘড়ি সবরকম আয়োজন করেছে ৷" এদিকে জেলাশাসক এ রাজলিঙ্গম বলেন, "আমি আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করেছি ৷" কয়েকজন স্থানীয় অবশ্য দাবি করেছেন, ওই কক্ষটি পরিষ্কার করে প্রথম দেবী লক্ষ্মী এবং ভগবান গণেশের পুজো করা হয়েছে ৷

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত 9.30 টার সময় জেলাপ্রশাসন কাশী বিশ্বনাথ ট্রাস্টের সদস্যদের ডাকা হয় ৷ এর সঙ্গে নন্দীর মূর্তির সামনে থাকা ব্যারিকেডগুলি সরিয়ে দেওয়া হয় ৷ নন্দীর মূর্তিটি 'ওয়াজুখানা'র দিকে মুখ করে ছিল ৷ বুধবার আদালত স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে, আগামী 7 দিনের মধ্য়ে প্রার্থনার সবরকম বন্দোবস্ত করে ফেলতে হবে ৷

আরও পড়ুন:

  1. জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে পুজো দিতে পারবে হিন্দুরা: আদালত
  2. শুরু বাজেট অধিবেশন, নারী শক্তিতে জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
  3. জ্ঞানবাপী মসজিদের জায়গায় বড় হিন্দু মন্দির ছিল, এএসআই-এর রিপোর্টে দাবি
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.