ডোডা, 14 সেপ্টেম্বর: ঘৃণার বাজারে ভালোবাসার দোকান খোলার কথা বলেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি ৷ এবার তাঁকে আক্রমণ করে 'নফরত কি দুকান' চালানোর কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ জম্মু-কাশ্মীরে তিন দফায় বিধানসভা ভোট শুরু 18 সেপ্টেম্বর থেকে ৷
সেখানো ডোডা জেলায় বিজেপির নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধিকে কটাক্ষ করে বলেন, "ভালোবাসার দোকানের নামে এখানে ঘৃণা ছড়ানোর দোকান চালানো হচ্ছে ৷" এক দশক পর বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে উপত্যকায় ৷ 2019 সালের 5 অগস্ট বিজেপির নেতৃত্বে গঠিত দ্বিতীয় এনডিএ সরকার সংবিধানের বিশেষ 370 ধারার অবলুপ্তি ঘটায় ৷ গত বছর ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, 2024 সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন করতে হবে ৷
এই পরিস্থিতিতে জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচন ঘিরে আঞ্চলিক দলগুলি এবং কংগ্রেস, বিজেপির নির্বাচনী প্রচার তুঙ্গে ৷ শনিবার ডোডায় একটি জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, "কংগ্রেস, পিডিপি এবং এনসি (ন্যাশনাল কনফারেন্স) 370 ধারা ফিরিয়ে আনতে চায় ৷ এর মানে, ওই তিনটি পরিবার পাহাড়ে বসবাসকারীদের জন্য যে সংরক্ষণ রয়েছে, তা আবার কেড়ে নেবে ৷ ওদের ইস্তেহার যদি কার্যকর করা হয়, তাহলে স্কুলগুলিতে ফের আগুন জ্বলবে । শিশুরা হাতে পাথর নিয়ে ঘুরবে। একের পর এক বনধ হতে থাকবে ৷ ওরা আসলে ঘৃণার দোকানের সামনে ভালোবাসার দোকানের বোর্ড লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ৷"
কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধি পকেটে একটি সংবিধান রাখেন ৷ তাঁর এই পকেটে সংবিধান রাখা নিয়ে মোদি বলেন, "আজকাল তাঁরা (বিরোধীরা) তাঁদের পকেটে সংবিধান রাখেন ৷ তাঁরা এটা কেন করছেন ? তাঁরা তাঁদের ভুল কাজকর্মগুলি ঢাকতে এসব করছে ৷ সংবিধানের আত্মাকে ওরা অসম্মান করেছে ৷ দু'টি সংবিধান কেন ? পাহাড়ি, তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি এবং ওবিসিরা সংরক্ষণ থেকে বঞ্চিত কেন ? এতগুলি প্রজন্ম বঞ্চিত হওয়ার পর বিজেপি তাঁদের সংরক্ষণ মঞ্জুর করেছে ৷ এমন অনেকে আছেন, তাঁরা প্রথম বার ভোট দেওয়ার অধিকার পেয়েছেন ৷ ভারতের সংবিধান সবাইকে ভোটাধিকার দিয়েছে ৷ যদিও যাঁরা পকেটে সংবিধান রাখেন, তাঁরা বিগত 75 বছর ধরে আপনাদের কাউকে কাউকে সেই ভোট দেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন ৷"