ভুবনেশ্বর, 5 মে: নয়াদিল্লির তরফে সতর্ক করা হলেও সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত অপরাধীদের অবাধে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে কানাডার সরকার ৷ খালিস্তানি প্রসঙ্গে আরও একবার জাস্টিন ট্রুডো সরকারকে আক্রমণ করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ৷ তাঁর কথায়, "পাকিস্তানি মনোভাবাপন্ন বেশ কয়েকজন কানাডায় নিজেদের রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত করে তুলেছে ৷ তাঁদের সেই সংগঠনের যথেষ্ট প্রভাবও রয়েছে সে দেশের রাজনীতিতে৷"
সম্প্রতি খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কানাডা সরকার ৷ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে কূটনৈতিক মহলে ৷ সেই প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, "রিপোর্ট দেখেছি ৷ তবে এই বিষয়ে কানাডার পুলিশের কাছ থেকে কোনও তথ্য আমাদের কাছে আসেনি ৷" বিষয়টির রেশ টেনে এরপরই তিনি বলেন, "এমন বেশ কয়েকটি গণতান্ত্রিক দেশ রয়েছে, যেখানে এই ধরণের অপরাধি শক্তিগুলি রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের সুযোগ পেয়েছে ৷ আসলে সেদেশের রাজনীতিবীদরা মনে করেন এদেরকে চটালে একটা বিরাট অংশে সম্প্রদায়ের সমর্থন তাঁরা হারাবেন ৷ সেকারণে এদেরকে না চটিয়েই রাজনীতিতে নিজেদের আলাদা স্থান তৈরির চেষ্টা করেন তাঁরা ৷ অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই সমস্যা এখন আর নেই ৷"
কানাডা ও ভারতের সম্পর্ক প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, "এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কানাডা। কারণ এই মুহূর্তে সেদেশের ক্ষমতাসীন দল এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি এই ধরনের চরমপন্থা, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং সহিংসতার প্রবক্তাদের বাকস্বাধীনতার নামে একটি নির্দিষ্ট বৈধতা দিয়েছে । আর এই বিষয়ে তাদের কোনও মন্তব্য় করা হলে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাকস্বাধীনতার প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয় ৷ সুতরাং তাদের বোঝা উচিত এই সমস্ত পদক্ষেপের পালটা প্রতিক্রিয়া আসবেই ৷ অন্যরা পদক্ষেপ নেবে। মোকাবিলাও করবে ৷"
2023 সালে নিজ্জর হত্যা মামলায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়ী করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ৷ যদিও তাঁর সমস্ত অভিযোগকে 'অযৌক্তিক' এবং 'উদ্দেশ্য প্রণোদিত' বলে সাফ জানায় ভারত ৷ সেই থেকে দু-দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে ৷
আরও পড়ুন: