পুরী, 21 অগস্ট: এবার থেকে জগন্নাথ মন্দিরের ভোগ প্রসাদের জন্য লাগবে না কোনও মূল্য ! ভক্তদের বিনামূল্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ থেকে শুরু করে রত্নবেদী পরিক্রমা শীঘ্রই শুরু হবে পুরীতে ৷ এমনই জানিয়েছেন সে রাজ্যের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন ৷ রত্নবেদী অর্থাৎ যে বেদীতে জগন্নাথদেব অধিষ্ঠিত থাকেন গর্ভগৃহের সেই বেদী পরিক্রমা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৷ তাও শীঘ্রই শুরু হবে পুরীতে।
এমনকী ভক্তদের বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রেও সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশি ও অহিন্দু ভক্তদের জন্য ইন্টারসেপশন সেন্টারের সুবিধাও দ্রুত করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন। যাতে তারাও মহাপ্রভূ জগন্নাথ এবং পুরী মন্দিরের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য পেতে পারেন ৷
পুরীতে ভক্তদের বিনামূল্যে মহাপ্রসাদ: ভগবানের দর্শনের জন্য মন্দিরে আসা ভক্তদের বিনামূল্যে এবার থেকে মহাপ্রসাদ দেওয়া হবে। প্রতিদিন প্রায় 80 হাজার থেকে 1 লক্ষ ভক্তের জন্য বিনামূল্যে প্রসাদ এবং থাকার ব্যবস্থা করার জন্যও আলোচনা চলছে। আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন জানিয়েছেন, বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। শ্রীমন্দির প্রধান কার্যালয়ে রথ নির্মাণে নিয়োজিত কর্মী বৃদ্ধির বিষয়ে এক আলোচনা সভায় এমনটাই জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী ৷
মন্ত্রী বলেন, "প্রতি বছর রথ তৈরির কর্মীদের সংখ্যা বাড়াবে রাজ্য সরকার। আগামী বছর থেকে মন্দির প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এই কর্মীদের সম্মান জানানো আমাদের সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে। ভগবান শ্রীজগন্নাথের যাত্রার জন্য যে সমস্ত সেবক রথ তৈরি করছেন তাঁদের সম্মান করা অবশ্যই আমাদের কাছে গর্বের বিষয়।"
এই প্রসঙ্গেই মন্ত্রী আরও বলেন, “রাজ্য সরকার মন্দিরে আসা প্রত্যেক ভক্তকে বিনামূল্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে। রাজ্য সরকার এই বিনামূল্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ ব্যবস্থা কীভাবে করা যায় তা নিয়ে ভেবে দেখছে ৷ বিশেষ করে দাতাদের নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। খুব শীঘ্রই এটিকে রূপ দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। মন্দিরে আসা একজন ভক্ত মহাপ্রসাদ পেয়ে মনে শান্তি পান। এ বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছে ৷"
ইন্টারসেপশন সেন্টার থাকবে মন্দিরে: রাজ্য সরকার আগামিদিনে পুরীতে একটি বড় কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা করেছে। এর মাধ্যমে জগন্নাথ-সংস্কৃতির প্রচার হবে। ভগবান জগন্নাথের বিভিন্ন আচার-আচরণ, নীতি, আচার-অনুষ্ঠান, সংস্কৃতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে সেখান থেকে। এভাবে জগন্নাথ সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে চান এমন আরও অনেক ধর্মের লোকেরা এটি সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাঁরা এই কেন্দ্রে গিয়ে জগন্নাথ এবং পুরী মন্দির সংক্রান্ত যাবতীয় সম্পূর্ণ তথ্য পেতে পারবেন। পুরীকে ভারতের এক নম্বর তীর্থস্থান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য রাজ্য সরকার যা যা করা দরকার তাই করবে বলেও জানান মন্ত্রী।