ETV Bharat / bharat

কোনও আইনে ডিজিটাল অ্যারেস্ট কি আদৌ সম্ভব ? স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

সিবিআই, ইডি বা আয়কর আধিকারিকদের ছদ্মবেশে এই চক্র কাজ করছে ৷ যার জেরে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ ৷

PM MODI ON DIGITAL ARREST
সাইবার গ্রেফতার কি আদৌ সম্ভব ? (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 3 hours ago

নয়াদিল্লি, 28 অক্টোবর: ডিজিটাল গ্রেফতার বা সাইবার গ্রেফতারের নামে জালিয়াতির মামলা ক্রমেই বাড়ছে ৷ কিন্তু আইনে তা কি আদৌ সম্ভব ? এবার সেই বিষয়েই মুখ খুললেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছেন, সাইবার গ্রেফতার বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে গ্রেফতার ভারতে এর কোনও অস্তিত্বই নেই ৷ আইনেও তার কোনও উল্লেখ নেই ৷ রবিবার দেশবাসীকে এ বিষয়ে সতর্কও করেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷

সিবিআই, ইডি বা আয়কর আধিকারিকদের ছদ্মবেশে এই চক্র কাজ করছে ৷ যার জেরে লোক প্রতারিতও হয়েছে ৷ রেডিয়ো ভাষণ 'মন কি বাত'-এ প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা গভীর উদ্বেগের কারণ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনি এইমাত্র যে কথোপকথনটি শুনেছেন তা ডিজিটাল গ্রেফতারের প্রতারণার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই কথোপকথন একজন ভুক্তভোগী এবং একজন প্রতারকের মধ্যে হয়েছে ৷” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "এই প্রতারকরা বিভিন্ন ধরনের ভুয়ো সরকারি পদমর্যাদা ব্যবহার করে এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভুয়ো অফিসার সেজে কথা বলে।"

প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছেন, এই গ্যাংগুলি প্রথমে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে ৷ এমনকী পরিবারের সদস্যদের কার্যকলাপের বিবরণও তারা সংগ্রহ করে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, "তারা আপনার সম্পর্কে এত তথ্য সংগ্রহ করে যে আপনি অবাক হয়ে যাবেন ৷ দ্বিতীয় পর্যায়ে এই দলগুলি ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে। ইউনিফর্ম, সরকারি অফিস সেট আপ দেখিয়ে তারা আপনাকে ফোনে এত ভয় দেখাবে আপনি ভাবতেও পারবেন না ৷" প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “প্রতিটি শ্রেণি ও বয়সের লোকেরাই এই ডিজিটাল গ্রেফতারের শিকার হয়। নিছক ভয়ে মানুষ তাদের কঠোর পরিশ্রমে অর্জিত লক্ষ লক্ষ টাকা হারান।”

এজেন্সিগুলি কখনও ফোনে এই ধরনের তদন্ত করে না: প্রধানমন্ত্রী

তদন্তকারী সংস্থাগুলির কাজ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, কোনও সংস্থাই কখনওই এইভাবে তাদের তদন্ত পরিচালনা করে না। তিনি বলেন, “যখনই আপনি এই ধরনের ফোনকল পাবেন, ভয় পাবেন না। আপনার সচেতন হওয়া উচিত যে কোনও তদন্তকারী সংস্থা কখনও ফোন কল বা ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে এই রকম জিজ্ঞাসাবাদ করে না ৷"

প্রধানমন্ত্রী মোদি এই ধরনের প্রতারণা থেকে নিজেদের বাঁচাতে জনগণের জন্য তিনটি পদক্ষেপের কথা বলেছেন। তাঁর মতে, “আমি ডিজিটাল নিরাপত্তার তিনটি ধাপ দেখেছি ৷ তিনটি ধাপ হল 'স্টপ-থিঙ্ক-টেক অ্যাকশন ৷ কল পাওয়ার পর আতঙ্কিত হবেন না, শান্ত থাকুন, তাড়াহুড়ো করে কোনও পদক্ষেপ নেবেন না, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য কাউকে দেবেন না ৷ সম্ভব হলে একটি স্ক্রিনশট নিন এবং নিশ্চিতভাবে এটি রেকর্ড করুন ৷”

কোনও আইনে ডিজিটাল গ্রেফতারের ব্যবস্থা নেই: প্রধানমন্ত্রী মোদি

প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, "আইনে ডিজিটাল গ্রেফতারের মতো কোনও ব্যবস্থা নেই। এটা স্রেফ প্রতারণা, এটা মিথ্যা, অপরাধীদের দল এবং যারা এটা করছে তারা সমাজের শত্রু। ডিজিটাল গ্রেফতারের নামে যে প্রতারণা চলছে তা মোকাবেলা করতে, সমস্ত তদন্তকারী সংস্থা রাজ্য সরকারের সঙ্গে একত্রে কাজ করছে ৷"

তিনি বলেন, "এসব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য একটি জাতীয় সাইবার সমন্বয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এই ধরনের হাজার হাজার প্রতারণামূলক ভিডিয়ো কলিং আইডি এজেন্সিগুলি ব্লক করেছে। কয়েক লক্ষ সিম কার্ড, মোবাইল ফোন এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিও ব্লক করা হয়েছে ৷” প্রধানমন্ত্রী মোদি জনসচেতনতা তৈরি করতে জনগণকে #SafeDigitalIndia হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতেও বলেছেন। এসব অপরাধের বিরুদ্ধে সচেতনতার জন্য শিক্ষার্থীদেরও যুক্ত করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি স্কুল এবং কলেজগুলিকে সাইবার কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে প্রচারে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানাতে চাই ৷ আমরা কেবলমাত্র সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারি ৷"

নয়াদিল্লি, 28 অক্টোবর: ডিজিটাল গ্রেফতার বা সাইবার গ্রেফতারের নামে জালিয়াতির মামলা ক্রমেই বাড়ছে ৷ কিন্তু আইনে তা কি আদৌ সম্ভব ? এবার সেই বিষয়েই মুখ খুললেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছেন, সাইবার গ্রেফতার বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে গ্রেফতার ভারতে এর কোনও অস্তিত্বই নেই ৷ আইনেও তার কোনও উল্লেখ নেই ৷ রবিবার দেশবাসীকে এ বিষয়ে সতর্কও করেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷

সিবিআই, ইডি বা আয়কর আধিকারিকদের ছদ্মবেশে এই চক্র কাজ করছে ৷ যার জেরে লোক প্রতারিতও হয়েছে ৷ রেডিয়ো ভাষণ 'মন কি বাত'-এ প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা গভীর উদ্বেগের কারণ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনি এইমাত্র যে কথোপকথনটি শুনেছেন তা ডিজিটাল গ্রেফতারের প্রতারণার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই কথোপকথন একজন ভুক্তভোগী এবং একজন প্রতারকের মধ্যে হয়েছে ৷” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "এই প্রতারকরা বিভিন্ন ধরনের ভুয়ো সরকারি পদমর্যাদা ব্যবহার করে এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভুয়ো অফিসার সেজে কথা বলে।"

প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছেন, এই গ্যাংগুলি প্রথমে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে ৷ এমনকী পরিবারের সদস্যদের কার্যকলাপের বিবরণও তারা সংগ্রহ করে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, "তারা আপনার সম্পর্কে এত তথ্য সংগ্রহ করে যে আপনি অবাক হয়ে যাবেন ৷ দ্বিতীয় পর্যায়ে এই দলগুলি ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে। ইউনিফর্ম, সরকারি অফিস সেট আপ দেখিয়ে তারা আপনাকে ফোনে এত ভয় দেখাবে আপনি ভাবতেও পারবেন না ৷" প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “প্রতিটি শ্রেণি ও বয়সের লোকেরাই এই ডিজিটাল গ্রেফতারের শিকার হয়। নিছক ভয়ে মানুষ তাদের কঠোর পরিশ্রমে অর্জিত লক্ষ লক্ষ টাকা হারান।”

এজেন্সিগুলি কখনও ফোনে এই ধরনের তদন্ত করে না: প্রধানমন্ত্রী

তদন্তকারী সংস্থাগুলির কাজ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, কোনও সংস্থাই কখনওই এইভাবে তাদের তদন্ত পরিচালনা করে না। তিনি বলেন, “যখনই আপনি এই ধরনের ফোনকল পাবেন, ভয় পাবেন না। আপনার সচেতন হওয়া উচিত যে কোনও তদন্তকারী সংস্থা কখনও ফোন কল বা ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে এই রকম জিজ্ঞাসাবাদ করে না ৷"

প্রধানমন্ত্রী মোদি এই ধরনের প্রতারণা থেকে নিজেদের বাঁচাতে জনগণের জন্য তিনটি পদক্ষেপের কথা বলেছেন। তাঁর মতে, “আমি ডিজিটাল নিরাপত্তার তিনটি ধাপ দেখেছি ৷ তিনটি ধাপ হল 'স্টপ-থিঙ্ক-টেক অ্যাকশন ৷ কল পাওয়ার পর আতঙ্কিত হবেন না, শান্ত থাকুন, তাড়াহুড়ো করে কোনও পদক্ষেপ নেবেন না, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য কাউকে দেবেন না ৷ সম্ভব হলে একটি স্ক্রিনশট নিন এবং নিশ্চিতভাবে এটি রেকর্ড করুন ৷”

কোনও আইনে ডিজিটাল গ্রেফতারের ব্যবস্থা নেই: প্রধানমন্ত্রী মোদি

প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, "আইনে ডিজিটাল গ্রেফতারের মতো কোনও ব্যবস্থা নেই। এটা স্রেফ প্রতারণা, এটা মিথ্যা, অপরাধীদের দল এবং যারা এটা করছে তারা সমাজের শত্রু। ডিজিটাল গ্রেফতারের নামে যে প্রতারণা চলছে তা মোকাবেলা করতে, সমস্ত তদন্তকারী সংস্থা রাজ্য সরকারের সঙ্গে একত্রে কাজ করছে ৷"

তিনি বলেন, "এসব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য একটি জাতীয় সাইবার সমন্বয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এই ধরনের হাজার হাজার প্রতারণামূলক ভিডিয়ো কলিং আইডি এজেন্সিগুলি ব্লক করেছে। কয়েক লক্ষ সিম কার্ড, মোবাইল ফোন এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিও ব্লক করা হয়েছে ৷” প্রধানমন্ত্রী মোদি জনসচেতনতা তৈরি করতে জনগণকে #SafeDigitalIndia হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতেও বলেছেন। এসব অপরাধের বিরুদ্ধে সচেতনতার জন্য শিক্ষার্থীদেরও যুক্ত করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি স্কুল এবং কলেজগুলিকে সাইবার কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে প্রচারে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানাতে চাই ৷ আমরা কেবলমাত্র সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারি ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.