কোথাগুড়েম (তেলেঙ্গানা), 23 এপ্রিল: ইচ্ছে ছিল উচ্চশিক্ষার ৷ কিন্তু পরিবার জোর করে বিয়ে দেওয়ায় আত্মঘাতী হলেন তরুণী ৷ ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার ভদ্রদ্রি কোঠাগুডেম জেলার চন্দ্রু গোন্ডা মণ্ডলের মাঙ্গাইয়া বাঞ্জার গ্রামে ।
স্থানীয় থানার একজন কর্মকর্তা জানান, ওই তরুণী কীটনাশক খেয়েছিলেন ৷ আট দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার মারা যান তিনি । সাব-ইন্সপেক্টর মেশিনেনি রবি জানান, যুবতির নাম দেবকী (23) ৷ মাঙ্গাইয়াবাঞ্জার গ্রামের কৃষক শ্রীনু ও পদ্মার মেয়ে । দেবকী সম্প্রতি তার বিএসসি সম্পন্ন করেন ৷ তাঁর ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে । উচ্চ শিক্ষার প্রতি আগ্রহী ছিলেন দেবকী । তরুণী তাঁর মাকে এই ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন ৷ কিন্তু পরবর্তীতে তাঁকে বোঝানো হয়েছিল যে, বিয়েই তার জন্য সবচেয়ে ভালো বিকল্প ৷ কারণ, তিনি স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন । তরুণীর বাবা-মা কোনও ভাবে মেয়েকে বিয়েতে রাজি করান ৷
28 মার্চ দুবতান্ডা গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় দেবকীর । এরপর 14 এপ্রিল বিয়ের আচার পালন করতে বাবা-মায়ের বাড়িতে এসেছিলেন নবদম্পতি । রাতে পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়ার পর দেবকী কীটনাশক খান বলে জানা গিয়েছে ৷ দেবকীর স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি হতে দেখে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে কোথাগুড়েম হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ সেখান তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দেবকীকে খাম্মাম হাসপাতালে রেফার করা হয় । তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ মেয়েকে এভাবে হারাতে হবে, তা কখনও ভাবেননি শ্রীনু ও পদ্মা ৷ বিয়ের করার অনিচ্ছে যে এভাবে মৃত্যুতে পরিণত হবে তা কেউই বুঝতে পারেননি ৷ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে দুই পরিবারে ৷
আরও পড়ুন :