নয়াদিল্লি, 7 মার্চ: নতুন ভারতে রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার একটি মানসিকতা তৈরি হয়ে গিয়েছে ৷ সে জন্যই দেশ কোভিড টিকা উদ্ভাবন করতে পেরছে এবং চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছেছে । 'আত্মনির্ভর ভারত'-এর ভাবনার কথা বলতে গিয়ে এ কথাই বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ৷ গত বছর ভারতের জি20 সভাপতিত্বের সময়ও একই কথা শোনা গিয়েছে বিদেশমন্ত্রীর মুখে ৷
বৃহস্পতিবার একটি ইভেন্ট চলাকালীন ভিডিয়ো বার্তায় বিদেশমন্ত্রী বলেন, "আমরা পরিকাঠামোগত বিষয়ে আলোচনা করেছি" যা আজ গ্লোবাল সাউথের দুর্দশার সবচেয়ে বড় কারণ ৷ তাঁর কথায়, "গ্লোবাল সাউথের অনেকাংশে উৎপাদকের পরিবর্তে ভোক্তা হওয়ার বিষয়টি হ্রাস পেয়েছে। এই পরিস্থিতির প্রতি ভারতের প্রতিক্রিয়া আত্মনির্ভর ভারতে স্পষ্ট করা হয়েছে, যা হল স্বনির্ভর ভারত ৷" এর মূলে রয়েছে 'মেক ইন ইন্ডিয়া' উদ্যোগ, যেটি "শুধুমাত্র আমাদের নিজস্ব চাহিদার উপরই নয়, অন্যের চাহিদার বিষয়েও নজর রাখে ৷"
জয়শংকরের কথায়, "একটি মানসিকতা নিজেই একটি রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, এটি একটি নতুন ভারত যা তার নিজস্ব 5জি স্ট্যাক তৈরি করে, যা তার কোভিড টিকা আবিষ্কার করে ও ব্যাপকভাবে উৎপাদন করে এবং যা চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করে ৷"
ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও) এবং দিল্লি হাইকোর্ট যৌথভাবে 'ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অ্যাডজুডিকেশন-জুডিশিয়াল পারস্পেকটিভ' শীর্ষক মাস্টারক্লাসের উদ্বোধনী অধিবেশনে এ দিনের অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিল । সরকার মেক ইন ইন্ডিয়া, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া, অটল টিঙ্কারিং ল্যাবস এবং অটল ইনকিউবেশন সেন্টারের মতো বিভিন্ন জাতীয় উদ্যোগের মাধ্যমে সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করছে বলে এ দিন জানান বিদেশমন্ত্রী । এই সমস্ত উদ্যোগের ফলাফলগুলিও খুব স্পষ্ট বলে জানিয়ে তিনি বলেন, "ভারত গত বেশ কয়েক বছর ধরে একটি ক্রমবর্ধমান গতিপথে রয়েছে", যা ডব্লিউআইপিও-এর বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবন সূচকে প্রতিফলিত হয়েছে । দেশ 2015 সালে 81তম স্থান থেকে 2023 সালে 40-এ উন্নীত হয়েছে এবং আয় বিভাগ ও অঞ্চল উভয় ক্ষেত্রেই বিশ্বের শীর্ষ উদ্ভাবনী অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে ।
জয়শংকরের কথায়, "মহামারী (কোভিড) দ্বারা সৃষ্ট অভূতপূর্ব সংকটের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ অগ্রভাগে রয়েছে ৷"