নয়াদিল্লি, 23 মার্চ: 2020 সালের জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি) অনুসারে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় একাধিক পরিবর্তন আসছে। জাতীয় শিক্ষা নীতি চাইছে পাঠ্যক্রমের বোঝা হ্রাস করে পড়ুয়াদের অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষার বিকাশে জোর দিতে। আর সেই পথ অনুসরণ করেই এবার সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)-এর তরফে পাঠ্যক্রমে বদল আনা হয়েছে।
নতুন করে বদল হয়েছে সিলেবাস কাঠামোয় ও পাঠ্যপুস্তকে । আর এই পাঠ্যক্রম সংক্রান্ত তথ্য সম্প্রতি প্রকাশ করেছে সিবিএসই ৷ ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ক্লাস 3 থেকে 6-এর জন্য একটি নতুন পাঠ্যক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করা হবে ৷ আগামী 1 এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া শিক্ষাবর্ষে 2024-25-এ নিয়ম কার্যকর হবে ৷ তবে বাকি কোনও ক্লাসেই সিলেবাস বদলানোর পথে হাঁটেনি সিবিএসই।
ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি)-এর অন্যান্য গ্রেডের পাঠ্যক্রম এবং পাঠ্যপুস্তকে কোনও পরিবর্তন হবে না, বলেও জানিয়েছেন সিবিএসই আধাকারিকরা ৷ সিবিএসইর ডিরেক্টর (শিক্ষাবিদ্যা) জোসেফ ইমানুয়েল জানিয়েছেন, 3 থেকে 6 শ্রেণির জন্য নতুন পাঠ্যক্রম এবং পাঠ্যপুস্তকগুলি বর্তমানে তৈরি করা হচ্ছে এবং শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে।
প্রসঙ্গত, শিশুদের মধ্যে সৃজনশীল এবং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার ক্ষমতা বিকাশের উপর জোর দেওয়া হয়েছে জাতীয় শিক্ষা নীতিতে। সেই কারণেই পড়ুয়ারা যাতে বিষয়ের গভীরে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারে এবং বাস্তমমুখী পড়াশোনার উপর জোর দিয়ে বর্তমান সময়ের জন্য শিশুদের প্রস্তুত করতেই সিলেবাসের ধরনে ও পাঠ্যপুস্তকে বদল আনছে সিবিএসই বোর্ড।
প্রথম থেকেই এই নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে প্রবল বিতর্ক হয়েছে। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল এই নীতি লাগু করার অর্থ শিক্ষায় গৈরিকীকরণের চেষ্টা। রাজ্যে এই নয়া নীতি লাগু করা হবে না এমন কথাও শোনা যেত শাসক মহলে। তবে পরবর্তী সময়ে আংশিক হলেও নয়া শিক্ষানীতি লাগু হয়েছে রাজ্যে। আর তার ফলেই স্নাতক হতে তিনের বদলে লাগছে চার বছর। বদলাচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও।
আরও পড়ুন: