নয়ডা, 29 অক্টোবর: ভাইজান সলমনকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া নেহাত মজা ছিল ৷ একইভাবে টাকা চেয়ে হুমকি ফোন গিয়েছিল বিধায়ক জিশান সিদ্দিকীর কার্যালয়েও ৷ এই ঘটনায় দ্বিতীয় অভিযুক্তকে নয়ডা থেকে গ্রেফতার করল মুম্বইয়ের বান্দ্রা পুলিশ ৷ সে 20 বছর বয়সি মহম্মদ তাইয়াব ৷
গত 12 অক্টোবর এনসিপি (অজিত পাওয়ার) নেতা বাবা সিদ্দীকীকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে হত্যা করে ৷ তিনি সলমন খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন ৷ মহারাষ্ট্রের প্রবীণ রাজনৈতিক নেতার মৃত্যুর পর প্রাণনাশের হুমকি পান বলি তারকা সলমন খান এবং নিহত বাবা সিদ্দীকীর ছেলে জিশান সিদ্দিকীও ৷ তিনি বিধায়ক ৷ বাবা সিদ্দিকীর খুনের ঘটনায় গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম ওঠে ৷ তাই সলমন খান এবং জিশান সিদ্দিকীকে দেওয়া প্রাণনাশের হুমকির নেপথ্যে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং রয়েছে বলে সন্দেহ করে পুলিশ ৷
তদন্তে নেমে অন্য তথ্য উঠে আসে ৷ গত 24 অক্টোবর এই হুমকি দেওয়ার ঘটনায় এক সবজি বিক্রেতাকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ ৷ তারপর এই একই ঘটনায় গ্রেফতার হল এক প্র্যাঙ্ক কলার মহম্মদ তাইয়াবকে ৷
মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, মহম্মদ তাইয়াব হুমকি দিয়ে ফোন করে থাকে ৷ অন্য ভয় দেখিয়ে নিছক মজা পাওয়ার জন্যই সে এমন ফোন করে ৷ আপাতত সে বান্দ্রা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে ৷ তাকে ট্রানজিট রিম্যান্ডে মুম্বইয়ে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে ৷
গত শুক্রবার, 25 অক্টোবর জিশান সিদ্দিকীর বান্দ্রার কার্যালয়ে একটি ফোন আসে ৷ তাতে ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি বলে, টাকা না দিলে জিশান সিদ্দীকিকে খুন করা হবে ৷ এই ফোনটি মহম্মদ তাইয়াব করেছিল বলেই অভিযোগ ৷ এই ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ বলে, "শুক্রবার বিকেলে ওই ফোনটি আসে ৷ ফোনে থাকা ব্যক্তিটি জিশান সিদ্দিকী এবং সলমন খানকে খুন করার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করেছিল ৷"
এই ফোনের ভিত্তিতে বিধায়ক জিশান সিদ্দিকীর কার্যালয়ের এক কর্মী নির্মল নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তদন্তে পুলিশ মহম্মদ তাইয়াবের সন্ধান পায় এবং নয়ডার সেক্টর 39 থেকে তাকে গ্রেফতার করে ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্তের সঙ্গে কোনও গ্যাং বা মাফিয়ার যোগাযোগ নেই ৷