লখনউ, 30 মার্চ: বৃহষ্পতিবার হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার তথা রাজনীতিক মুখতার আনসারির ৷ 2005 সাল থেকে উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবের একাধিক জেলে ঘুরে বেরিয়েছে সে ৷ জেলে বসে তিনবার নির্বাচনে জেতে আনসারি ৷ আর সেই জেলে বসেই বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণানন্দ রাইকে নৃশংসভাবে খুন করে সে ৷ এক কথায় জেলে বিলাসবহুল জীবন যাপন করত সমাজবাদী পার্টির এই নেতা ৷
1995 সালে গাজিপুর জেলে গেলেও, সেখান থেকে কিছুদিনের মধ্য়েই বেরিয়ে আসে আনসারি ৷ এরপর খুন, অপহরণ ও জমি দখলের ঘটনা ঘটলেও তাকে কেও গ্রেফতার করতে পারেনি ৷ তবে জেলে গিয়েও যে সে তার শাসন বজায় রাখতে পারবে, তা খুব ভালোভাবেই জানত ৷ আর তাই মউ-এ হিংসার ঘটনায় 2005 অক্টোবরে আত্মসমর্পণ করে মুখতার ৷ এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলকে নিজের দ্বিতীয় বাড়ি বানিয়ে ফেলেছিল আনসারি ৷
মাছ খেতে খুব ভালোবাসত এই গ্যাংস্টার ৷ তাই জেলের ভেতরেই পুকুর খনন করে আনসারি ৷ তবে এখানেই শেষ নয় ৷ ব্যাডমিন্টন খেলতে পছন্দ করত সে ৷ তাই জেলের ভিতরে একটি কোর্ট তৈরি করা হয়েছিল ৷ জেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলত মুখতার । জেলে বসেই মুখতার তার সঙ্গীদের ডেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলত।
শুধু তাই নয়, জেলে যাতে তার কোনও সমস্য়া না-হয় সে জন্য় স্ত্রী আফসা আনসারিকেও জেলে রেখেছিল মুখতার ৷ বুলেটপ্রুফ জ্য়াকেট, মোবাইল, সমস্ত সুযোগসুবিধা পেয়েছিল আনসারি ৷ এককথায় জেলে তার রাজই চলত ৷ তার কথা মতো না চললে খুব ভালো ফল হত না ৷ সেই কারণেই প্রাণ হারাতে হয় লখনউ জেলের সুপার আরকে তিওয়ারিকে ৷ শুধু উত্তরপ্রদেশের জেল নয়, পঞ্জাবের জেলে থাকার সময়ও নিজের রাজ বজায় রেখেছিল আনসারি ৷ পঞ্জাবের মোহালি জেলে যাওয়ার পর কংগ্রেস সরকারের কয়েকজনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে সে ৷ স্ত্রীকে নিয়ে বড় ব্যারাকে 25 জন বন্দি নিয়ে বসবাস করত আনসারি ৷
তবে মুখতার জানতে পেরেছিল যোগী রাজের অধীনে কারাগার কেমন ছিল ৷ যোগী রাজের সময় তাকে বান্দা জেলে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ আর সেখানেই তাকে আসল জেলের অভিজ্ঞতা দেওয়া হয়। একটি উচ্চ নিরাপত্তা সেলে তাকে রাখা হয় 24 ঘণ্টা নজরদারির মধ্য়ে ৷ সাধারণ বন্দির মতো রাখা হয় তাকে ৷
আরও পড়ুন: