গুরুগ্রাম, 17 মে: স্কুল থেকে ফেরার সময় ছেলের নোংরা জামা দেখেই রাগ চরমে উঠেছিল মায়ের ৷ তার উপর স্কুলে কিছু বইও ভুলে ফেলে এসেছিল বছর আটের ওই নাবালক ৷ তাতেই ছেলেকে বেধড়ক মারধর করেন তিনি ৷ বাড়ির বাইরে দাঁড় করিয়েও রাগ কমেনি ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, কিছুক্ষণ পর ছেলে ঘরে যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করলে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে মা ৷ ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী দিল্লি সংলগ্ন গুরুগ্রামের 18 নম্বর সেক্টর থানা এলাকায় ৷
সন্ধ্যায় মহিলার স্বামী বাড়ি ফিরে দেখেন তাঁর ছেলে অজ্ঞান হয়ে পড়েছে। তিনি দ্রুত ছেলেকে চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান । যেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে সেক্টর-18 থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করে এবং অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করে । বর্তমানে অভিযুক্ত মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ । গুরুগ্রাম পুলিশ জানিয়েছে, নিজের ছেলেকে খুন করার জন্য মহিলার বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই ।
গুরুগ্রামের এসিপি (অপরাধ) বরুণ দাহিয়া জানিয়েছেন, ওই মহিলা তাঁর স্বামী এবং আট বছরের ছেলে কার্তিকের সঙ্গে সেক্টর-18 থানা এলাকায় থাকেন। মহিলার স্বামী অরবিন্দ শ্রমিকের কাজ করেন । 13 মে বিকেলে স্বামী অরবিন্দ কাজে গিয়েছিলেন ৷ দুপুর দুটো নাগাদ ছেলে কার্তিক বাড়ি ফেরে। তার স্কুলের ইউনিফর্ম নোংরা ছিল। মা জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন তার কিছু বইও হারিয়ে গিয়েছে । এতে ওই মহিলা ছেলেকে বেধড়ক মারধর করেন ৷
এমনকী জামাকাপড় খুলে কার্তিককে বাড়ির বাইরে দাঁড় করিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর, কার্তিক তার মাকে ভিতরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলতে থাকে । এতে মহিলার ক্রোধ সপ্তম আকাশে পৌঁছয় এবং তিনি ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। অরবিন্দ বাড়িতে পৌঁছে কার্তিককে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান। এরপর ছেলেকে কল্যাণী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক কার্তিককে মৃত বলে ঘোষণা করে পুলিশে খবর দেন ।
সেক্টর-18 থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় । অরবিন্দের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে এবং মহিলাকে গ্রেফতার করে । এখনও পর্যন্ত তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা রাগী প্রকৃতির । তিনি প্রায়ই ছেলেকে মারধর করতেন । বর্তমানে পুলিশ তদন্ত করছে ।
আরও পড়ুন :