কোচি, 25 জুন: লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বোমাতঙ্ক ৷ মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে কোচিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৷ সেখানকার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওই বিমানে বোমা রাখা আছে বলে হুমকি ফোন আসে ৷ তার পরই ওই বিমানে তল্লাশি চালানো হয় ৷ কিন্তু বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি ৷ পরে বিমানটিকে (এআই 149) লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে উড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় ৷ এই ঘটনায় সন্দেভাজন একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
বোমাতঙ্কের বিষয়টি এয়ার ইন্ডিয়া ও কোচিন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড বা সিআইএল-এর কাছে আসে সোমবার রাত 1টা 22 মিনিট নাগাদ ৷ সঙ্গে সিআইএএল-এর তরফে বিষয়টি জানানো হয় বম্ব অ্যাসেসমেন্ট কমিটি বা বিটিএসি-কে ৷ সঙ্গে সঙ্গে তল্লাশি শুরু হয় ৷ ওই বিমানের সমস্ত যাত্রীদের ব্যাগ পরীক্ষা করে দেখা হয় ৷ যাত্রীদেরও তল্লাশি করা হয় ৷ পুরো কাজটাই করে এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি গ্রুপ (এএসজি-সিআইএসএফ) ৷
বিমানটিকেও রানওয়ের ফাঁকা স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানেও তল্লাশি চলে দীর্ঘক্ষণ ৷ অনেক তল্লাশির পরও কোথাও বোমা মেলেনি ৷ শেষে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে 10টা নাগাদ বিমানটিকে উড়ানের ছাড়পত্র দেওয়া হয় ৷ বেলা 11টা 50 মিনিটে বিমানটির লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে উড়ে যাওয়ার কথা ৷
এদিকে কোচিন বিমানবন্দরে যখন তল্লাশি অভিযান চলছে, তখন বোমাতঙ্কর ফোনের উৎস সন্ধানেও তদন্ত শুরু হয় ৷ সেই তদন্তে জানা যায় যে মুম্বইয়ের একটি কল সেন্টার থেকে এই বোমা রাখার ফোনটি এসেছিল ৷ সুহাইব নামে বছর 29 এর এক যুবক ফোন করেছিল ৷ তিনি কেরালার মলাপ্পুরম জেলার কোনডোট্টির বাসিন্দা ৷ তাঁরও কোচিন থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার ওই ফ্লাইটে লন্ডন যাওয়ার কথা ছিল ৷
সুহাইব স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে কোচিন বিমানবন্দরেই ছিলেন ৷ তাঁকে তল্লাশির সময় আটক করা হয় ৷ পরে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ৷ তাঁর বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ যদিও বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকেও কিভাবে সুহাইব মুম্বইয়ের কল সেন্টার থেকে ফোন করল বা কাকে দিয়ে করাল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় ৷ তাছাড়া জানা যায়নি যে কেন তিনি ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ালেন ?