ETV Bharat / bharat

এক দেশ, এক নির্বাচন: মুর্মুকে রিপোর্ট পেশ কোবিন্দের কমিটির, পক্ষে-বিপক্ষে কারা ?

Kovind panel submits report on One Nation One election: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে কমিটি বৃহস্পতিবার এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে তাদের রিপোর্ট পেশ করেছে ৷ যেখানে তিনজন হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবং একজন প্রাক্তন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ছিলেন এই ধারণার বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছেন ৷ আবার দেশের বেশ কয়েকজন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি একযোগে নির্বাচনকে সমর্থন করেছেন ।

ETV BHARAT
ETV BHARAT
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 14, 2024, 5:28 PM IST

নয়াদিল্লি, 14 মার্চ: 'এক দেশ, এক নির্বাচন' - নিয়ে রিপোর্টে লোকসভা ও বিধানসভায় একযোগে নির্বাচনের সুপারিশ করল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি ৷ এই ধারণার যাঁরা বিরোধিতা করেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন হাইকোর্টের তিনজন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবং একজন প্রাক্তন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ৷ তবে একযোগে ভোটগ্রহণকে সমর্থন জানিয়েছেন চারজন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং দেশের বেশ কয়েকজন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ৷

রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি এই পরামর্শ সম্বলিত রিপোর্ট বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পেশ করেছে ৷ সেই রিপোর্টে প্রথম ধাপ হিসেবে লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির জন্য একযোগে নির্বাচনের সুপারিশ করা হয়েছে এবং তার 100 দিনের মধ্যে স্থানীয় সংস্থার নির্বাচনগুলি সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে ৷

একযোগে নির্বাচনকে সমর্থনে চারজন প্রাক্তন সিজেআই: রিপোর্ট অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের চারজন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি - বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে এবং বিচারপতি ইউইউ ললিত - একযোগে নির্বাচনের পক্ষে রয়েছেন ৷ তাঁরা এই পরামর্শ কমিটিকে লিখিত আকারে জানিয়েছেন ৷

গুরুত্বপূর্ণ হাইকোর্টগুলির প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিদের মধ্যে নয়জন একযোগে নির্বাচনকে সমর্থন করেছেন ৷ তবে তিনজন এই নিয়ে উদ্বেগ বা আপত্তির কথা জানান ৷ দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি অজিত প্রকাশ শাহ একযোগে নির্বাচনের ধারণার বিরোধিতা করেছেন ৷ তাঁর যুক্তি, এটি বিকৃত নির্বাচনের ধরণ এবং রাজ্য-স্তরের রাজনৈতিক পরিবর্তন সম্পর্কে উদ্বেগ ও গণতান্ত্রিক অভিব্যক্তিকে তা বাধা দিতে পারে ।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, "তিনি বলেছেন যে, একযোগে নির্বাচন রাজনৈতিক জবাবদিহিতাকে বাধাগ্রস্ত করে, কারণ নির্দিষ্ট শর্তাবলী প্রতিনিধিদের কার্যকারিতা যাচাই ছাড়াই অযাচিত স্থিতিশীলতা প্রদান করে, গণতান্ত্রিক নীতিকে চ্যালেঞ্জ করে ৷" কলকাতার প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গিরীশচন্দ্র গুপ্ত একযোগে নির্বাচনের বিরোধিতা করে বলেছেন যে, ধারণাটি গণতন্ত্রের নীতির পক্ষে অনুকূল নয় । রিপোর্টে বলা হয়েছে, "মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় একযোগে নির্বাচনের বিরোধিতা করেছেন এই উদ্বেগের কারণে যে এটি ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ক্ষুণ্ণ করবে এবং আঞ্চলিক সমস্যাগুলির প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট হবে ৷

প্রাক্তন সিইসিরা একযোগে নির্বাচনের পক্ষে: কমিটির পরামর্শে চার প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার একযোগে নির্বাচনের পক্ষে আছেন । বর্তমান এবং প্রাক্তন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে সাতজন এই ধারণাটিকে সমর্থন করেছেন, তবে তামিলনাড়ুর নির্বাচন কমিশনার ভি পালানিকুমার এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, "একটি প্রাথমিক উদ্বেগের উপর জোর দেওয়া হয়েছে, নির্বাচনের সময় স্থানীয় বিবেচনার উপর জাতীয় ইস্যুগুলির ব্যাপক আধিপত্য থাকে । কমিশনার আশংকা প্রকাশ করেন যে, এই প্রবণতা অঞ্চল-নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জগুলির উপর ফোকাসকে কমিয়ে দিতে পারে এবং স্থানীয় শাসনের কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে ৷" এছাড়াও কমিশনার নির্বাচনী জনবলের ঘাটতির তীব্র সমস্যাটি তুলে ধরেন, নির্বাচনের নির্বিঘ্ন এবং দক্ষ সম্পাদন নিশ্চিত করার জন্য কর্মীদের জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন তিনি ৷

নয়াদিল্লি, 14 মার্চ: 'এক দেশ, এক নির্বাচন' - নিয়ে রিপোর্টে লোকসভা ও বিধানসভায় একযোগে নির্বাচনের সুপারিশ করল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি ৷ এই ধারণার যাঁরা বিরোধিতা করেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন হাইকোর্টের তিনজন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবং একজন প্রাক্তন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ৷ তবে একযোগে ভোটগ্রহণকে সমর্থন জানিয়েছেন চারজন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং দেশের বেশ কয়েকজন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ৷

রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি এই পরামর্শ সম্বলিত রিপোর্ট বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পেশ করেছে ৷ সেই রিপোর্টে প্রথম ধাপ হিসেবে লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির জন্য একযোগে নির্বাচনের সুপারিশ করা হয়েছে এবং তার 100 দিনের মধ্যে স্থানীয় সংস্থার নির্বাচনগুলি সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে ৷

একযোগে নির্বাচনকে সমর্থনে চারজন প্রাক্তন সিজেআই: রিপোর্ট অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের চারজন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি - বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে এবং বিচারপতি ইউইউ ললিত - একযোগে নির্বাচনের পক্ষে রয়েছেন ৷ তাঁরা এই পরামর্শ কমিটিকে লিখিত আকারে জানিয়েছেন ৷

গুরুত্বপূর্ণ হাইকোর্টগুলির প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিদের মধ্যে নয়জন একযোগে নির্বাচনকে সমর্থন করেছেন ৷ তবে তিনজন এই নিয়ে উদ্বেগ বা আপত্তির কথা জানান ৷ দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি অজিত প্রকাশ শাহ একযোগে নির্বাচনের ধারণার বিরোধিতা করেছেন ৷ তাঁর যুক্তি, এটি বিকৃত নির্বাচনের ধরণ এবং রাজ্য-স্তরের রাজনৈতিক পরিবর্তন সম্পর্কে উদ্বেগ ও গণতান্ত্রিক অভিব্যক্তিকে তা বাধা দিতে পারে ।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, "তিনি বলেছেন যে, একযোগে নির্বাচন রাজনৈতিক জবাবদিহিতাকে বাধাগ্রস্ত করে, কারণ নির্দিষ্ট শর্তাবলী প্রতিনিধিদের কার্যকারিতা যাচাই ছাড়াই অযাচিত স্থিতিশীলতা প্রদান করে, গণতান্ত্রিক নীতিকে চ্যালেঞ্জ করে ৷" কলকাতার প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গিরীশচন্দ্র গুপ্ত একযোগে নির্বাচনের বিরোধিতা করে বলেছেন যে, ধারণাটি গণতন্ত্রের নীতির পক্ষে অনুকূল নয় । রিপোর্টে বলা হয়েছে, "মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় একযোগে নির্বাচনের বিরোধিতা করেছেন এই উদ্বেগের কারণে যে এটি ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ক্ষুণ্ণ করবে এবং আঞ্চলিক সমস্যাগুলির প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট হবে ৷

প্রাক্তন সিইসিরা একযোগে নির্বাচনের পক্ষে: কমিটির পরামর্শে চার প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার একযোগে নির্বাচনের পক্ষে আছেন । বর্তমান এবং প্রাক্তন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে সাতজন এই ধারণাটিকে সমর্থন করেছেন, তবে তামিলনাড়ুর নির্বাচন কমিশনার ভি পালানিকুমার এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, "একটি প্রাথমিক উদ্বেগের উপর জোর দেওয়া হয়েছে, নির্বাচনের সময় স্থানীয় বিবেচনার উপর জাতীয় ইস্যুগুলির ব্যাপক আধিপত্য থাকে । কমিশনার আশংকা প্রকাশ করেন যে, এই প্রবণতা অঞ্চল-নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জগুলির উপর ফোকাসকে কমিয়ে দিতে পারে এবং স্থানীয় শাসনের কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে ৷" এছাড়াও কমিশনার নির্বাচনী জনবলের ঘাটতির তীব্র সমস্যাটি তুলে ধরেন, নির্বাচনের নির্বিঘ্ন এবং দক্ষ সম্পাদন নিশ্চিত করার জন্য কর্মীদের জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন তিনি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.