নয়াদিল্লি, 6 অগস্ট: স্বাস্থ্য ও জীবনবিমার উপর 18 শতাংশ জিএসটি লাগু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ গত 23 জুলাই সংসদে পেশ করা 2024-25 অর্থবর্ষের বাজেটে এই জিএসটি লাগু করা হয়েছে ৷ এই কর প্রত্যাহারের দাবিতে এবার সংসদ ভবন চত্বরে প্রতিবাদে নামল বিরোধীদের জোট 'ইন্ডিয়া'র সব দল ৷ প্ল্যাকার্ড হাতে বিরোধীদের এই প্রতিবাদ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিও ৷
কংগ্রেসের তরফে এই অবস্থান-প্রতিবাদে রাহুল গান্ধি ছাড়াও, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং গৌরব গগৈ ছিলেন ৷ তৃণমূলের তরফে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়, জুন মালিয়া এবং সায়নী ঘোষকে প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদে সামিল হতে দেখা যায় ৷ এনসিপি (এসসি)-র প্রধান শরদ পাওয়ার নিজে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে সামিল হন ৷ অন্যদিকে, শিবসেনা (উদ্ধব শিবির)-এর তরফে রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে দেখা গিয়েছে ৷ সংসদ ভবনের 'মকর দুয়ারে'র সামনে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী 'ইন্ডিয়া'র শরিকরা ৷
বিরোধীদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে স্বাস্থ্য ও জীবনবিমায় 18 শতাংশ জিএসটি চাপানোকে 'ট্যাক্স টেরোরিজম' বলে কটাক্ষ করা হয়েছে ৷ বিরোধীরা স্লোগান তোলে, স্বাস্থ্য ও জীবনবিমার প্রিমিয়ামের উপর থেকে জিএসটি-র বোঝা প্রত্যাহার করতে হবে ৷ উল্লেখ্য, এনিয়ে লোকসভার বাজেট অধিবেশনে তৃণমূলের তরফে এই বিষয়টি তোলা হয় আলোচনার জন্য ৷ সেখানেও কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি প্রত্যাহারের দাবি তোলা হয় তৃণমূলের সংসদীয় দলের তরফে ৷ এমনকি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠিও লিখেছেন ৷
তবে, শুধু বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া' নয়, খোদ নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার সদস্যদের একাংশ স্বাস্থ্য় ও জীবনবিমায় জিএসটি-র বিরোধিতা করেছে ৷ জাতীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন এই ইস্যুতে ৷ তিনি সেখানে নির্মলা সীতারামনের কাছে স্বাস্থ্য় ও জীবনবিমায় জিএসটি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন ৷ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, সরকারের জীবনের ঝুঁকি সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে কর চাপানো দেশের শিল্পক্ষেত্রে বিকাশে বাধা সৃষ্টি করবে ৷