ফতেপুর, 22 জানুয়ারি: কথিত আছে, পুরাণে দস্যু রত্মাকর মরা উচ্চারণ করতে করতে 'রাম' নাম উচ্চারণ করেছিলেন ৷ যদিও তিনি সহজে উচ্চারণ করতে পারেননি রাম নাম ৷ 'মরা' শব্দের উচ্চারণ করে দীর্ঘ তপস্যার পর তাঁর মুখ থেকে রাম নাম বেরিয়ে ছিল ৷ মনে করা হয় রাম নামেই সকল অন্যান থেকে মুক্তি পেয়ে সমাজের মূল স্রোতে ফেরা যায় ৷ সমাজের সকল স্তরের মানুষজন অযোধ্য়ায় রাম মন্দির উদ্বোধনে কোনও না কোনও ভাবে নিজেদের অনুদান রেখেছে ৷ বাদ গেলেন না জিয়াউল হাসান নামে এক বন্দি । রাম মন্দির উদ্বোধনের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির হাতে তুলে দিয়েছেন এগারোশো টাকার একটি চেক ৷
শুধু জিয়াউল হাসান নয় ফতেপুর জেলের অধিকাংশ বন্দি রাম মন্দির উদ্বোধনে কোনও না কোনও ভাবে জিড়িত ৷ রাম মন্দিরের প্রসাদ বিতরণের জন্য ব্যাগও তৈরি করেছেন এই জেলের বন্দিরা ৷ ইতিমধ্যেই সেই ব্যাগ তুলে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির হাতে ৷ তাঁর মাধ্যমেই জেল বন্দিদের তৈরি এই সমস্ত সামগ্রী পৌঁছে যাবে অযোধ্যার রাম মন্দিরে ৷ রবিবারই ফতেপুর জেলে গিয়েছিলেন মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি ৷ ইতিমধ্যেই তিনি বন্দিদের তৈরি এই সমস্ত জিনিসপত্র সংগ্রহ করে অযোধ্যায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন ৷ রামলালার প্রতি বন্দিদের এই নিবেদন দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন মন্ত্রী নিজে ৷
জানা গিয়েছে, জেলে ঝাড়ু দেওয়ার জন্য় দৈনিক 25টাকা মজুরি পেতেন জিয়াউল। রাম মন্দির নির্মাণের জন্য প্রায় 45 দিনের মজুরি দান করেছিলেন ওই বন্দি । জিলাউলের এই উদ্যোগে সমস্ত সমস্ত বন্দিরা উদ্বুদ্ধ হয়েছন। ওই বন্দির সাজা যাতে একটু হলেও কমানো যায় তা নিয়ে আলোচনাও চলছে কেন্দ্রীয় স্তরে । কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ওই বন্দির প্রশংসা করেন। মন্ত্রী উল্লেখ করেন, ভগবান রামের সঙ্গে এই ভক্তের আত্মিক টনা রয়ছে ৷ তাই তিনি কাষ্টার্জিকত টাকা দান করেছেন অযোধ্যার রাম মন্দিররের জন্য ৷
আরও পড়ুন: