রাঁচি, 28 নভেম্বর: ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থ ইনিংস শুরু করতে চলেছেন হেমন্ত সোরেন ৷ বৃহস্পতিবারই তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করবেন ৷ তাঁর এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ইন্ডিয়া-র নেতারা ৷
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি রাঁচির মোরাবাদি গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে ৷ মনে করা হচ্ছে, এ দিনের অনুষ্ঠানে ইন্ডি জোটের নেতাদের উপস্থিতি একতা এবং শক্তিকে প্রদর্শন করবে ৷ তাই বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা হেমন্ত সোরেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছাড়াও রাজ্য জুড়ে হাজার হাজার লোক এতে অংশ নেবে ।
মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ছাড়াও, কংগ্রেস এবং আরজেডি থেকে একজন করে মন্ত্রী এ দিন শপথ নেবেন । শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অতিথি তালিকায় রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি, এনসিপি-এসপি সভাপতি শরদ পাওয়ার, , এএপি আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব ও হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু ।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে অন্যরা হলেন, সিপিআই-এমএল সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, শিবসেনা-ইউবিটি নেতা উদ্ধব ঠাকরে, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, তামিলনাড়ুর উপ-মুখ্যমন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিন, কর্ণাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার, বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব, দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া, বিহারের সাংসদ পাপ্পু যাদব এবং এএপি রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় সিং ।
এছাড়াও মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমা'রও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে ৷ তাঁর ন্যাশনাল পিপলস পার্টি আবার এনডিএ জোটের শরীক ৷ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন হেমন্ত সোরেন ।
প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, রাজ্য জুড়ে প্রায় 50,000 জন লোক এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে । রাজ্যের মুখ্যসচিব অলকা তিওয়ারি বুধবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির কাজ পর্যালোচনা করেছেন । এ দিকে, রাঁচি শহরের স্কুলগুলি বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে ৷ কারণ অনুষ্ঠানের ফলে শহরে যানজটের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে ৷
বুধবার হেমন্ত সোরেন ও তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেনকে সঙ্গে নিয়ে রামগড় জেলার নেমরায় নিজের গ্রামে গিয়েছিলেন ৷ সেখানে তিনি তাঁর দাদু সোবরণ সোরেনকে শহিদ দিবসে শ্রদ্ধা জানান ৷ তিনি লুকাইতান্ডে সোবারণ সোরেনের মূর্তিতে মাল্যদান করেন । এরপরেই শোষণের বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডের জনগণের ঐতিহাসিক সংগ্রাম নিয়ে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন হেমন্ত সোরেন ।