নয়াদিল্লি, 29 জানুয়ারি: জ্ঞানবাপী মসজিদের সিল করা এলাকার মধ্যে শিবলিঙ্গের প্রকৃতি নির্ধারণের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জমা পড়ল সুপ্রিম কোর্টে ৷ হিন্দুপক্ষের তরফে সোমবার এই আবেদন জমা দেওয়া হয় ৷ তাদের তরফে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (এএসআই) ডিরেক্টরকে নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতের কাছে ৷
আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈনের মাধ্যমে এই আবেদন করেছে হিন্দুপক্ষ ৷ তাদের আরও আবেদন, এএসআই-কে নির্দেশ দেওয়া হোক, যাতে তারা খনন ও অন্যান্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে পুরো সিল করা এলাকা জরিপ করে ৷ আর সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেয় ৷
শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া আবেদনে জানানো হয়েছে যে শিবলিঙ্গের এলাকায় চারপাশে কৃত্রিম দেওয়াল তৈরি করা হয়েছে ৷ যা আধুনিক নির্মাণ ৷ মূল ভবনের সঙ্গে সংযোগহীন ৷ আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, শিবলিঙ্গের চারপাশে নতুন দেওয়াল তৈরি করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ৷ এই কাজ করা হয়েছে শিবলিঙ্গ আড়াল করার জন্য ৷
আবেদনে হিন্দুপক্ষ আরও বলেছে যে এএসআই শিবলিঙ্গ-সহ পুরো সিল করা এলাকার একটি বৈজ্ঞানিক জরিপ করুক বিষয়টির সত্যতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য ৷ 2022 সালের 16 মে শিবলিঙ্গের অস্তিত্ব পাওয়া যায় ৷ তার পর থেকে সেখানে শিবভক্তদের পুজো করার অধিকার পাওয়া উচিত ৷ যদিও শীর্ষ আদালত 2022 সালের মে মাসে যেখানে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছিল, সেই এলাকা সিল করার নির্দেশ দিয়েছিল ৷
আবেদনকারীরা জানিয়েছেন যে এএসআই সিল করা এলাকা বাদ দিয়ে মসজিদের পুরো চত্বরের জরিপ করেছে ৷ তাই এবার সিল করা জায়গাটিতেও জরিপ করা প্রয়োজন ৷ না হলে জরিপের উদ্দেশ্য সফল হবে না ৷ কারণ, এই নিয়ে কোনও রিপোর্ট থাকবে না ।
উল্লেখ্য, বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে এএসআই সমীক্ষা রিপোর্ট 25 জানুয়ারি প্রকাশ করা হয় ৷ তার পর থেকে এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ কারণ, ওই রিপোর্টে মসজিদ কমপ্লেক্সের মধ্যে হিন্দু দেব-দেবীদের মূর্তি ও অন্যান্য মূর্তি থাকার প্রমাণ মিলেছে ৷ এএসআই-এর তরফে তাদের রিপোর্টের উপসংহারে বলা হয়েছে যে বিদ্যমান কাঠামো, যা একটি মসজিদ, তা নির্মাণের আগে একটি হিন্দু মন্দির ছিল ৷
আরও পড়ুন: