গোয়ালিয়র, 11 নভেম্বর: চেয়েছিল নাতির জন্ম হোক ৷ কিন্তু জন্ম হয় নাতনির ৷ তাও বিশেষভাবে সক্ষম ! রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সদ্যোজাতকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিল ঠাকুমা ৷ এপ্রিল মাসে ঘটে সেই নৃশংস ঘটনা। এবার সেই ঘটনায় ঠাকুমাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল গোয়ালিয়রের বিশেষ আদালত ৷
রবিবার মামলার শুনানি চলাকালীন আদালত জানায়, দুর্বল শিশুর বিরুদ্ধে এই ধরনের অপরাধ সমাজে গ্রহণযোগ্য় নয় ৷ বিচারপতি বলেন, "এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের প্রতি করুণা দেখানো সম্ভব নয় ৷"
ঘটনার সূত্রপাত গত মার্চে ৷ সন্তান প্রসবের জন্য 24 মার্চ গোয়ালিয়রের কমলা রাজা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কাজল চৌহান নামে এক মহিলাকে ৷ সেখানেই শিশু কন্যার জন্ম দেন তিনি ৷ জন্মের পর দেখা যায়, তার বাঁ হাতের কনুইয়ের নীচের অংশটি নেই ৷
হাসপাতালে এসে বিশেষভাবে সক্ষম শিশু কন্যাকে দেখে রাগ ধরে রাখতে পারেনি কাজলের শাশুড়ি 54 বছর বয়সি প্রেমলতা চৌহান ৷ গোয়ালিয়র জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী ধর্মেন্দ্র শর্মা জানান, 26 মার্চ শিশু কন্যাকে ঘুম পাড়ানোর নাম করে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে যায় ঠাকুমা ৷ এরপর গায়ের কম্বলের সাহায্যে শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে মেরে ফেলে প্রেমলতা ৷
ধর্মেন্দ্র আরও বলেন, " পুরো ঘটনাটি বাড়ির লোককে বলেন কাজল ৷ প্রেমলতার বিরুদ্ধে কম্পু থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের হয় ৷" মামলায় তদন্ত শুরুর বেশ কয়েকদিন পর গত এপ্রিল মাসে প্রেমলতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ সেই থেকেই হেফাজতে রয়েছেন তিনি ৷ অবশেষে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল আদালত ৷