ETV Bharat / bharat

বিশেষভাবে সক্ষম সদ্যোজাতকে খুন ! ঠাকুমার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

গ্রেফতারির প্রায় 7 মাস পর রায় দিল আদালত ৷ বিচারকের পর্যবেক্ষণ, দুর্বল শিশুর বিরুদ্ধে যারা এমন আচরণ করতে পারে তাদের ক্ষমা করা যায় না।

GWALIOR NEW BORN MURDER CASE
বিশেষভাবে সক্ষম নাতনিকে খুন (প্রতীকী ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 11, 2024, 5:16 PM IST

গোয়ালিয়র, 11 নভেম্বর: চেয়েছিল নাতির জন্ম হোক ৷ কিন্তু জন্ম হয় নাতনির ৷ তাও বিশেষভাবে সক্ষম ! রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সদ্যোজাতকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিল ঠাকুমা ৷ এপ্রিল মাসে ঘটে সেই নৃশংস ঘটনা। এবার সেই ঘটনায় ঠাকুমাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল গোয়ালিয়রের বিশেষ আদালত ৷

রবিবার মামলার শুনানি চলাকালীন আদালত জানায়, দুর্বল শিশুর বিরুদ্ধে এই ধরনের অপরাধ সমাজে গ্রহণযোগ্য় নয় ৷ বিচারপতি বলেন, "এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের প্রতি করুণা দেখানো সম্ভব নয় ৷"

ঘটনার সূত্রপাত গত মার্চে ৷ সন্তান প্রসবের জন্য 24 মার্চ গোয়ালিয়রের কমলা রাজা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কাজল চৌহান নামে এক মহিলাকে ৷ সেখানেই শিশু কন্যার জন্ম দেন তিনি ৷ জন্মের পর দেখা যায়, তার বাঁ হাতের কনুইয়ের নীচের অংশটি নেই ৷

হাসপাতালে এসে বিশেষভাবে সক্ষম শিশু কন্যাকে দেখে রাগ ধরে রাখতে পারেনি কাজলের শাশুড়ি 54 বছর বয়সি প্রেমলতা চৌহান ৷ গোয়ালিয়র জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী ধর্মেন্দ্র শর্মা জানান, 26 মার্চ শিশু কন্যাকে ঘুম পাড়ানোর নাম করে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে যায় ঠাকুমা ৷ এরপর গায়ের কম্বলের সাহায্যে শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে মেরে ফেলে প্রেমলতা ৷

ধর্মেন্দ্র আরও বলেন, " পুরো ঘটনাটি বাড়ির লোককে বলেন কাজল ৷ প্রেমলতার বিরুদ্ধে কম্পু থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের হয় ৷" মামলায় তদন্ত শুরুর বেশ কয়েকদিন পর গত এপ্রিল মাসে প্রেমলতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ সেই থেকেই হেফাজতে রয়েছেন তিনি ৷ অবশেষে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল আদালত ৷

পড়ুন: মাঝ রাতে ঘরে ঢুকে 2 শিশুকে পিষে মারল হাতির পাল

গোয়ালিয়র, 11 নভেম্বর: চেয়েছিল নাতির জন্ম হোক ৷ কিন্তু জন্ম হয় নাতনির ৷ তাও বিশেষভাবে সক্ষম ! রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সদ্যোজাতকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিল ঠাকুমা ৷ এপ্রিল মাসে ঘটে সেই নৃশংস ঘটনা। এবার সেই ঘটনায় ঠাকুমাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল গোয়ালিয়রের বিশেষ আদালত ৷

রবিবার মামলার শুনানি চলাকালীন আদালত জানায়, দুর্বল শিশুর বিরুদ্ধে এই ধরনের অপরাধ সমাজে গ্রহণযোগ্য় নয় ৷ বিচারপতি বলেন, "এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের প্রতি করুণা দেখানো সম্ভব নয় ৷"

ঘটনার সূত্রপাত গত মার্চে ৷ সন্তান প্রসবের জন্য 24 মার্চ গোয়ালিয়রের কমলা রাজা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কাজল চৌহান নামে এক মহিলাকে ৷ সেখানেই শিশু কন্যার জন্ম দেন তিনি ৷ জন্মের পর দেখা যায়, তার বাঁ হাতের কনুইয়ের নীচের অংশটি নেই ৷

হাসপাতালে এসে বিশেষভাবে সক্ষম শিশু কন্যাকে দেখে রাগ ধরে রাখতে পারেনি কাজলের শাশুড়ি 54 বছর বয়সি প্রেমলতা চৌহান ৷ গোয়ালিয়র জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী ধর্মেন্দ্র শর্মা জানান, 26 মার্চ শিশু কন্যাকে ঘুম পাড়ানোর নাম করে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে যায় ঠাকুমা ৷ এরপর গায়ের কম্বলের সাহায্যে শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে মেরে ফেলে প্রেমলতা ৷

ধর্মেন্দ্র আরও বলেন, " পুরো ঘটনাটি বাড়ির লোককে বলেন কাজল ৷ প্রেমলতার বিরুদ্ধে কম্পু থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের হয় ৷" মামলায় তদন্ত শুরুর বেশ কয়েকদিন পর গত এপ্রিল মাসে প্রেমলতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ সেই থেকেই হেফাজতে রয়েছেন তিনি ৷ অবশেষে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল আদালত ৷

পড়ুন: মাঝ রাতে ঘরে ঢুকে 2 শিশুকে পিষে মারল হাতির পাল
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.