নয়াদিল্লি, 28 ডিসেম্বর: পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল দিল্লির নিগমবোধ ঘাটে ৷ ধর্মীয় আচার মেনে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে তাঁর শেষকৃত্য করেন তাঁর বড় মেয়ে উপিন্দর সিং ৷
শনিবার সকালে কাশ্মীরি গেটের কাছে এই ঘাটে ভারতের উদার অর্থনীতির জনক মনমোহন সিংকে শেষশ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, উপ-রাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা, লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধি এবং অন্যরা ৷ এছাড়া ভুটানের রাজা জিগেম খেসর নামগিয়েল ওয়াংচুক, মরিশাসের বিদেশমন্ত্রী ধনঞ্জয় রামফুলও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন ৷
গত 26 ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার রাত 9.51 মিনিটে দিল্লির এইমসে প্রয়াত হন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ৷ তাঁকে দেশের আর্থিক সংস্কারের রূপকার বলে অভিহিত করা হয় ৷ 2004 সাল থেকে 2014 সাল পর্যন্ত একটানা 10 বছর তিনি ইউপিএ জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ৷ তাঁর মৃত্যুতে দেশজুড়ে সাতদিন রাষ্ট্রীয় শোকের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এই সাতদিন দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা থাকবে ৷
এদিন সকালে ডঃ মনমোহন সিংয়ের দেহ কংগ্রেসের সদর কার্যালয়ে শায়িত রাখা হয় ৷ সেখানে শ্রদ্ধা জানানোর পর পদযাত্রা করে তাঁর দেহ নিয়ে আসা হয় নিগমবোধ ঘাটে ৷ সেখানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু-সহ বাকিরা শ্রদ্ধা জানান ৷ এরপর পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় অর্থনীতিবিদ তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ৷
তাঁর শেষকৃত্য নিয়েও বিজেপি সরকারের সঙ্গে কংগ্রেসের মতবিরোধ দেখা দেয় ৷ কংগ্রেসের তরফে আর্জি জানানো হয়েছিল যে, এমন একটি জায়গায় ডঃ মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য হোক, পরে যেখানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা যাবে ৷ সেই আর্জির কোনও উত্তর মেলেনি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ৷ শুক্রবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য হবে নিগমবোধ ঘাটে ৷ এনিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে ৷ বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি অভিযোগ করেছেন, এতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করেছে ৷