নয়াদিল্লি, 13 মে: বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদির জীবনাবসান ৷ মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল 72 বছর ৷ দীর্ঘদিন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে নয়াদিল্লির এইমসে ভরতি ছিলেন সুশীল মোদি ৷ সোমবার রাতে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ৷ বিহার বিজেপির তরফে শোক প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, "বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী এবং প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ সুশীল কুমার মোদির মৃত্যুর খবরে বিজেপি পরিবার অত্যন্ত শোকাহত। আমরা একজন মহান যোদ্ধাকে হারালাম। এটা কখনও পূরণ করা যাবে না। এটা বিহার এবং পুরো বিজেপি পরিবারের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।"
এক্স হ্যান্ডেলে শোক প্রকাশ করেছেন বিহারের দুই উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরি এবং বিজয় কুমার সিনহাও ৷ সম্রাট চৌধুরি লিখেছেন, "বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ সুশীল কুমার মোদির মৃত্যুতে তাঁর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা। এটা বিহার বিজেপির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। ওম শান্তি।"
শোক প্রকাশ করেছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও ৷ তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, "ভারতীয় জনতা পার্টির প্রবীণ নেতা এবং বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদিজির মৃত্যুর খবর অত্যন্ত দুঃখজনক। বিদ্যার্থী পরিষদ থেকে এখন পর্যন্ত সংগঠনের জন্য দীর্ঘ সময় একসঙ্গে কাজ করেছি। সুশীল মোদিজির সমগ্র জীবন বিহারের জন্য নিবেদিত ছিল। বিহারকে জঙ্গলরাজ থেকে বের করে উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে সুশীল মোদিজির প্রচেষ্টা অত্যন্ত সহায়ক হয়েছে। তাঁর অনুপস্থিতি অগণিত মানুষের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। ঈশ্বর তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি ও পরিবারকে শক্তি দান করুন।"
সাতের দশকে গান্ধিবাদী নেতা জয়প্রকাশ নারাযণের আন্দোলন থেকে বেশ কয়েকজন নেতা উঠে আসেন । তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পরবর্তী সময়ে বিহারের পাশাপাশি জাতীয় রাজনীততে স্বতন্ত্র জায়গা তৈরি করতে পেরেছিলেন। এঁদের অন্যতম সুশীল মোদি। এর পাশাপাশি বিহারের বর্তমান ও এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও জেপির সমাজবাদী আদর্শকে প্রচার করে এসেছেন। নীতীশ কুমার এবং লালুপ্রসাদ যাদবের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। সুশীল মুখ্যমন্ত্রী হতে না পারলেও উপ-মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। শুধু তাই নয়, সাংগঠনিক দিক থেকেও বিহারে বিজেপিকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। রাজ্য সভাপতি হিসেবেও গেরুয়া শিবিরের সংগঠনকে শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছেন তিনি ।