নয়াদিল্লি ও কলকাতা, 31 জানুয়ারি: বাজেট অধিবেশন শুরু হবে আগামিকাল ৷ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ সরকারের এটাই শেষ অন্তর্বর্তী বাজেট ৷ 1 ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন লোকসভায় বাজেট পেশ করবেন ৷
তবে নতুন সরকার গঠিত হলে ফের পেশ করা হবে বছরের পূর্ণাঙ্গ বাজেট ৷ এতদসত্ত্বেও প্রত্যেকটি বাজেটের আগে সাধারণ মানুষ যেমন আশায় বুক বাঁধে, আর বিরোধীরা একাধিক নীতি নিয়ে সমালোচনা করেন তেমনটাই এই অন্তর্বর্তী বাজেটের ক্ষেত্রেও তা হবে, বলাই যায় ৷ তবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে বিজেপি সরকার জনমুখী বাজেট করবে, নাকি দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী একটি সাম্য বাজেট হবে, সেদিকে তাকিয়ে দেশ ৷
অর্থনীতিবিদ শান্তনু বসু জানান, আগামী 1 ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ হতে চলেছে ৷ এই বাজেট পূর্ণাঙ্গ নয় ৷ তাই নিয়ম অনুসারে এখানে সব বিষয় আসে না ৷ শুধুমাত্র দরকারি বিষয়গুলি পাশ করানো হয় ৷ অর্থাৎ নতুন কোনও নীতি সম্পর্কিত বিষয় এখানে আনা হয় না, যদি না সেটা খুবই জরুরি হয় ৷
তিনি আরও জানান যে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে যে বাজেট সাজানো হবে, সেটা খুব সহজেই অনুমেয় ৷ তবে সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হতে পারে ৷ যদিও এই বিষয় এই অন্তর্বর্তী বাজেটের প্রতিফলিত হবে না ৷ উদাহরণস্বরূপ, একশো দিনের কাজে অর্থ বা প্রধানমন্ত্রীর নামাঙ্কিত প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানো হতে পারে ৷
এই প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ শান্তনু বসু বলেন, "অর্থনীতির ছাত্র হিসেবে আমার মনে হয় এই বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হবে না ৷ কিন্তু এটা হলে আমি সত্যিই খুব খুশি হতাম ৷ কিন্তু আমি একরকম নিশ্চিত যে এই দুই খাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো হবে না ৷"
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জানান, ভোটের আগে তো বাজেট পেশ করতে পারবে না ৷ বাজেট অন অ্যাকাউন্ট হবে ৷ ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই বাজেটে চমক দেওয়ার চেষ্টা করবে ৷ কিন্তু, বেকারত্ব দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি যে ভাবে বেড়েছে, তাতে কোনও লাভ হবে না ৷ অন্যদিকে বিজেপি নেতা তথ্য অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ীর মতে, অন্তর্বর্তী হলেও এটি একটি 'ব্যালান্সড বাজেট' হবে ৷ তবে বাজেট পেশ হওয়ার আগে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি ৷
আরও পড়ুন: