আমেদাবাদ, 22 অক্টোবর: দুর্নীতির নানান রকমফের থাকে ৷ তবে এমন দুর্নীতি বোধহয় সব দুর্নীতিকেই ছাড়িয়ে যায় ! খোদ আদালতের মধ্যেই চলছে ভুয়ো আদালত ৷ গুজরাতের এমন একটি ঘটনার অভিযোগ উঠেছে ৷ অভিযোগ দায়ের হয়েছে মরিস স্যামুয়েল খ্রিশ্চান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৷
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি জমি বিবাদের মামলায় দু'রকম রায় দিচ্ছেন ৷ তাতে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যাচ্ছে না ৷ তিনি একজন মধ্যস্থতাকারী প্রতারক ৷ সিটি সিভিল কোর্ট ও সেশসন কোর্টের রেজিস্ট্রার হার্দিক দেশাই, করঞ্জ থানায় মরিস স্যামুয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ৷
রেজিস্ট্রার তাঁর অভিযোগে জানান, মরিস স্যামুয়েল খ্রিশ্চান সঙ্গীদের নিয়ে একটি ষড়যন্ত্র করে ৷ 1996 সালের আর্বিট্রেশন অ্যান্ড কনসিলিয়েশন আইনের আওতায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজে নিজেই কাজ করতে শুরু করেন ৷ এমনকী সব সীমা ছাড়িয়ে ঠাকুর বাপুজী চানাজি মামলায় জমি বিবাদ নিয়ে ভুয়ো নির্দেশও দিয়েছেন ৷
জানা যায়, ঠাকুর বাপুজী চানাজি ও আমেদাবাদের কালেক্টরের জমি বিবাদ মামলায় খ্রিশ্চান নিজেকে একজন আর্বিট্রেটর বা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগ করেন ৷ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ৷ তিনি সরকারি জমি নিয়ে বেআইনি রায় দেন ৷ জমিটি আমেদাবাদের পালডিতে অবস্থিত ৷
আরেকটি সরকারি জমিতে দাবি জানিয়ে কোনও আইনি প্রক্রিয়ার তোয়াক্কা না করেই বেআইনি রায় পাশ করেন স্যামুয়েল ৷ কিন্তু সিটি সিভিল কোর্ট তাঁর এই দুষ্কর্মগুলির খবর পায় এবং রেজিস্ট্রার একটি অভিযোগ দায়ের করেন ৷ এবার স্যামুয়েলের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে বলে জানা গিয়েছে ৷