রাঁচি, 2 নভেম্বর: দীপাবলির আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই কেঁপে উঠল ঝাড়খণ্ড ৷ শনিবার সাত সকালে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ঝাড়খণ্ডের একাধিক শহর ৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল 3.6 ম্যাগনিটিউড ৷
রাঁচির আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এদিন সকাল 9টা 20 মিনিটে ঝাড়খণ্ডের একাধিক এলাকা কেঁপে ওঠে ৷ ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল খুন্তি এলাকায় ৷ স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, রাঁচি, পশ্চিম সিংভূম ও সরায়কেলা জেলার বেশ কয়েকটি অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয় ৷ এই সমস্ত এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটলও দেখা যায় ৷ তবে সৌভাগ্যক্রমে হতাহতের কোনও খবর নেই ৷
খুন্তির পাশাপাশি চাইবাসা ও চক্রধরপুরেও ভূমিকম্প অনুভূত হয় । স্বাভাবিকভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা ৷ স্থানীয়দের মতে, প্রথমে অনেকেই ভূমিকম্প হচ্ছে, তা বুঝতে পারেননি ৷ পরে কম্পন ভালোভাবে অনুভূত হওয়ায় প্রাণের ভয়ে তারা বাড়ি ছেড়ে খালি স্থানে বেড়িয়ে আসেন ৷ প্রশাসনিক তথ্য অনুযায়ী, দুই জেলার অনেক জায়গায় কম্পন অনুভূত হয়েছে ।
এ বিষয়ে এখনও তেমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি । তবে বলা হচ্ছে, এদিন সরায়কেলার খরসাওয়াঁয় ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল সবচেয়ে বেশি ৷ সেখানে রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল 4.3 ম্যাগনিটিউড ৷ সে কারণে ওই এলাকার বেশকিছু বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে ৷
ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপক সংস্থা 'ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেসমোলজি'র রিপোর্ট অনুযায়ী, ভূপৃষ্ঠ থেকে 5 কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পে উৎসস্থল ৷ রাঁচির আবহাওয়া দফতরের শীর্ষ কর্তা উপেন্দ্র শ্রীবাস্তব জানান, ভূমিকম্পের প্রভাব খুব বেশি ছিল না ৷ সেই কারণে, কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি ৷ প্রশাসনিক সূত্রে খবর, জামশেদপুর ও কান্দ্রা জেলাতেও এদিন কম্পন অনুভূত হয়েছে ৷