নয়াদিল্লি, 29 জানুয়ারি: বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কদের পদ খারিজের আবেদনে সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিতীয় দফায় সময় বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ আগামী 15 ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ৷ সোমবার মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষ রাহুল নারওয়েকরকে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে ৷ এর আগে 31 জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছিল শীর্ষ আদালত ৷ কিন্তু, আরও সময় চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষ ৷
সোমবার সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা রাহুল নারওয়েকরের হয়ে সওয়াল করেন ডিভিশন বেঞ্চে ৷ তিনি আদালতকে জানান, বিধানসভায় শিবসেনার মধ্যে চলা দ্বৈরথের কারণে অধ্যক্ষ এনসিপির সেই আবেদন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না ৷ সেই কারণে বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কদের পদ খারিজের আবেদনটি স্থগিত রেখেছেন তিনি ৷
তুষার মেহতা বলেন, "অধ্যক্ষ আদালতের সময়সীমা মেনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিস্থিতিতে নেই ৷ তাঁর আরও তিন সপ্তাহ সময় দরকার নির্দেশ জারি করার জন্য ৷" প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য শোনার পর নতুন সময়সীমা ধার্য করে ৷ তাঁরা নির্দেশের বলেছেন, 2024 সালের 15 ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কদের পদ খারিজের আবেদনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে ৷
উল্লেখ্য, এর আগে প্রথম দফার সময়সীমা গত বছর অক্টোবর মাসে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ তখন থেকে প্রায় চারমাস সময় পেয়েও শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর আবেদনে সাড়া দেননি অধ্যক্ষ রাহুল নারওয়েকর ৷ উল্লেখ্য, শরদ পাওয়ারের ভাই অজিত পাওয়ার এনসিপির বেশ কয়েকজন বিধায়ককে ভাঙিয়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলায় এবং একনাথ শিন্ডের শিবসেনার সঙ্গে জোট সরকার তৈরি করে মহারাষ্ট্রে ৷ এই ঘটনায় মহাবিকাশ অগাধির সদস্য শরদ পাওয়ারের এনসিপি অজিত পাওয়ার-সহ বিদ্রোহী বিধায়কদের পদ খারিজের আবেদন করেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে ৷
কিন্তু, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেই আবেদনে কোনও সাড়া দেননি অধ্যক্ষ রাহুল নারওয়েকর ৷ বরং, বিধানসভায় একনাথ শিন্ডের শিবসেনাকে 'আসল শিবসেনা' উল্লেখ করেন এবং সরকারিভাবে বিধানসভায় মান্যতা দেন ৷ যার বিরুদ্ধে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা সুপ্রিম কোর্টে মামলা রুজু করেছে ৷ যা নিয়ে এই মুহূর্তে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ৷
আরও পড়ুন: