অমরাবতী, 27 জুলাই: অন্ধ্রপ্রদেশের আর্থিক পরিস্থিতি কেমন তা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। রাজ্যের যে বিপুল পরিমাণ ঋণ রয়েছে সে কথাও জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী । তাঁর দেওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, এখন রাজ্যের মোট ঋণের পরিমাণ 9,74 কোটি টাকা।
মাথা পিছু রোজগার: মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগের সরকার যাঁরা পরিচালনা করতেন তাঁদের অদক্ষতার জন্য অন্ধ্রপ্রদেশের মাথাপিছু রোজগার কমেছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, একটা সময় গোটা দেশের মধ্যে নতুন কর্মসংস্থান তৈরিতে দ্বিতীয় স্থানে ছিল অন্ধ্রপ্রদেশ। সেখান থেকে এখন অনেকটাই নেমে গিয়েছে রাজ্য। শুধু অভিযোগ করা নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্র তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী দেখিয়েছেন রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি ঠিক কেমন।
তিনি দাবি করেন, আগের সরকার রাজ্য-বিভাজন প্রক্রিয়া আসমাপ্ত রেখেছে। বহু ক্ষেত্রে পেনশন আটকে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একটি তথ্য পেশ করে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বিভাজনের আগে অন্ধ্রপ্রদেশের মাথাপিছু রোজগার ছিল বছরে 95 হাজার টাকা। সেটা বিভাজনের পর কমে হয়েছে 93 হাজার টাকা।
কৃষি থেকে শিল্প: চন্দ্রবাবুর দেওয়া তথ্য থেকে স্পষ্ট বিভাজনের পর বিভাজনের পর তেলেঙ্গানার থেকে ক্রমশ কৃষি ও শিল্প ক্ষেত্রে পিছিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। পানীয় জলের সমস্যা ও সমাধান করতে পারেনি জগনমোহন রেড্ডি সরকার। এমনই দাবি চন্দ্রবাবুর।
গোদাবরীর সমস্যা: এখান থেকেই আসে গোদাবরী নদীর বন্যার প্রসঙ্গ। জগনমোহন রেড্ডি সরকার যে বারবার গোদাবরীর বন্যা রুখতে ব্যর্থ হয়েছে সে কথাও শ্বেতপত্রে দাবি করেছেন চন্দ্রবাবু।
গত বাজেটে অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ আর্থিক বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর একটা বড় অংশ জুড়েই রয়েছে রাজধানী অমরাবতীর উন্নয়ন। টিডিপি প্রধান দাবি করেন, এই ব্যাপারেও গাফিলতি দেখিয়েছে আগের সরকার।
রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ: গত পাঁচ বছরে অন্ধ্রপ্রদেশের আয় কী হারে কমেছে তা তুলে ধরেন চন্দ্রবাবু। বালি থেকে খনি একাধিক দুর্নীতির উল্লেখও করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি এই ধরনের দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের।