ETV Bharat / bharat

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির ইচ্ছে নেই চিনের, মত প্রাক্তন সেনাপ্রধানের - INDIA CHINA RELATIONSHIP

General MM Naravane on India-China Relationship: বর্তমানে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে চলা যুদ্ধের পরিস্থিতিতে ভারত কোন পরিস্থিতিতে রয়েছে ? এমনকি চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্রমাগত অবনতির কারণে, ভারতের অবস্থান কী হওয়া উচিত ? সেই সব নিয়ে ইটিভি ভারতের সৌরভ শর্মাকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিলেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে ৷

ETV BHARAT
অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে ৷ (ফাইল চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 20, 2024, 11:11 AM IST

Updated : Jun 20, 2024, 2:18 PM IST

নয়াদিল্লি, 20 জুন: কূটনৈতিক শান্তি রক্ষার একমাত্র পথ হল, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়া ৷ এমনটাই মনে করেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে ৷ তাঁর মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইজরায়েল-হামাসের মধ্যে চলা যুদ্ধ সেটাই শেখাচ্ছে পুরো বিশ্বকে ৷ প্রাক্তন এই সেনাপ্রধানের সময়ে, 2020 সালে গালওয়ানে ভারত ও চিনের সেনা মুখোমুখি অবস্থানে এসেছিল ৷ এমনকি কিছুক্ষেত্রে ভারতীয় সেনার উপর হামলার পরিকল্পনাও করেছিল রেড-আর্মি ৷ যা ভারতীয় সেনার তৎপরতায় বানচাল হয়েছিল ৷

বর্তমান পরিস্থিতিতে নারাভানে মনে করেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে কোনও ইচ্ছে নেই চিনের ৷ আর তাঁর এই যুক্তির পিছনে রয়েছে, সেদেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য অভিনন্দন না জানানো ৷ আর এই নিয়েই ইটিভি ভারতকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিলেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে ৷

ইটিভি ভারত- বর্তমানে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ থেকে আমরা কী শিক্ষা নিতে পারি ?

এমএম নারাভানে- এই দু’টি যুদ্ধ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে ৷ পরিকল্পনাগতভাবে, এর পাশাপাশি অপারেশনাল ও কৌশলের স্তরে আমাদের শেখার রয়েছে ৷ এখন যুদ্ধের কুয়াশা রয়েছে ৷ আসল শিক্ষাটা তখন পাওয়া যাবে, যখন যুদ্ধ থেকে যে ধুলো উড়ছে, তা থিতিয়ে যাবে ৷ এই মুহূর্তে উচ্চস্তরের কিছু শিক্ষা আমরা নিতে পারি ৷ আর তা হল, এই যুদ্ধ কখনও প্রভাব বিস্তার করে বা প্রোপাগান্ডা অনুযায়ী হয় না ৷ প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হল, শান্তি ও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিরোধে নিষ্পত্তির ইচ্ছে থাকলেও, যুদ্ধ হবেই ৷

25 বছর আগে কার্গিল যুদ্ধের পরে, একটা দীর্ঘ শান্তি বিরাজ করছে, যা সীমান্তের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি ভুল ধারণা ৷ আর একটি ধারণা তৈরি হয়েছে যে, যুদ্ধ শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু, সত্যের উপরে কিছু নেই ৷ আর এক্ষেত্রে নিশ্চিত শান্তি স্থাপন করতে হলে, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতেই হবে ৷ এটাই সবচেয়ে বড় শিক্ষা ৷ আর হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের প্রসঙ্গ, এটি আবারও এই সত্যকে প্রমাণ করল যে, হিংসা আশপাশেই থাকে ৷ আর সর্বদা সতর্ক থাকাই শান্তির মূল্য ৷ আর এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই যে, গত 7 অক্টোবর হামাসের আক্রমণ সন্ত্রাসবাদী হামলা ছাড়া আর কিছুই নয় ৷ আর এটার সবদিক থেকে সমালোচনা করাই যথার্থ ৷ সাধারণ নাগরিক এবং নিরীহ মহিলা ও শিশুদের উপর হামলাকারীদের সভ্য সমাজে কোনও স্থান নেই ৷

যাই হোক, সন্ত্রাসী হামলার জবাবে একটি আনুপাতিকতা থাকতে হবে এবং সেটা হবে সন্ত্রাসবাদী হামলাকারীদের উদ্দেশ্যে ৷ সেখানকার সাধারণ মানুষের উপর নয় ৷ শক্তির অত্যধিক ব্যবহার এবং এর ফলে সমান্তরাল ক্ষতি ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানির কারণে ইজরায়েল বিশ্বব্যাপী তার সমস্ত নৈতিক সমর্থন হারিয়েছে ৷

ইটিভি ভারত- আমাদের কি সেই ধরনের পরিকাঠামো এবং পরিবেশ আছে ?

এমএম নারাভানে- আমাদের এটা তৈরি করতে হবে এবং আমরা ইতিমধ্যে তা করছি ৷ চলমান যুদ্ধগুলি আমাদের একটা শিক্ষা দিয়েছে যে, যুদ্ধগুলি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, যা চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন বা ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের পরিস্থিতি থেকে স্পষ্ট ৷ আর তাই আমাদের এই মুহূর্তে সামগ্রিক, প্রযুক্তি ও পরিবেশগতভাবে নিজেদের প্রস্তুত রাখতে হবে ৷ ভারতীয় সেনাবাহিনী দ্রুত আধুনিকীকরণের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এবং ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতিতে দেশীয় বিকল্পের দিকে নজর দিচ্ছে ৷

ইটিভি ভারত- আমাদের কি আরও বেশি করে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে ?

এমএম নারাভানে- হ্যাঁ, অবশ্য়ই ৷ আমাদের শুধু বেসরকারি বিনিয়োগই প্রয়োজন নয়, সামরিক কাজে অসামরিক পরিকাঠামো ব্যবহার করার সামর্থ্যও আমাদের থাকতে হবে ৷ অবশ্যই আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং আর সেটা রাতারাতি ঘটবে না ৷ উদাহরণস্বরূপ, আমাদের একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করতে হবে, যেখানে একটি কোম্পানি যে ট্রাক্টর তৈরি করছে, তাদের ট্যাঙ্কার তৈরির দক্ষতার সঙ্গেও মানিয়ে নিতে হবে ৷ আর সেক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে আরও বেশি করে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়াতে হবে ৷

ইটিভি ভারত- ভারতে ধীরে ধীরে সামরিক শিল্পের শিকড় মজবুত হচ্ছে ৷ আর আমরা এই মুহূর্তে সামরিকক্ষেত্রে 'আত্মনির্ভর' হওয়ার উপর জোর দিচ্ছি ৷ সেক্ষেত্রে আমরা এই মুহূর্তে কোথায় দাঁড়িয়ে ?

এমএম নারাভানে- সামরিক শিল্পের প্রশ্নে আমরা এই মুহূর্তে অনেকটাই পিছনের দিকে রয়েছি ৷ তবে, আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছি ৷ আত্মনির্ভর এক রাতে হওয়া সম্ভব নয় ৷ আমরা দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ শিল্পক্ষেত্রকে প্রতিরক্ষা থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছি, যা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একচেটিয়া বাজার তৈরি করেছে ৷ এবার বেসরকারি শিল্প ক্ষেত্রগুলি নিজেদের পরিধি পেরোতে শুরু করেছে ৷

ইটিভি ভারত- সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে একতা আনতে থিয়েটারাইজেশন পরিকল্পনা সম্পর্কে অনেক কিছু বলা হচ্ছে ৷ কেন্দ্র সম্প্রতি ইন্টার-সার্ভিস অর্গানাইজেশন (কমান্ড, নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মানুবর্তিতা) অ্যাক্ট নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ৷ এই বিজ্ঞপ্তিটিকে আপনি কীভাবে দেখছেন ?

এমএম নারাভানে- থিয়েটারাইজেশন সামরিক পরিকাঠামো উন্নয়নের সামগ্রিক পদক্ষেপগুলির একটি ধাপ ৷

ইটিভি ভারত- এই প্রক্রিয়াটা এত সময় নিচ্ছে কেন ?

এমএম নারাভানে- এই বদলটা এত দ্রুততার সঙ্গে বা এত সহজে হবে না ৷ আমরা একেবারে সঠিক দিকে এগিয়ে চলেছি ৷ আর সঠিক সময় এলেই তা সম্পন্ন হবে ৷ আমরা নিজেদের থেকে কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেব না ৷ সকল স্টেকহোল্ডারদের আমরা যথেষ্ট সময় দেব সঠিকভাবে নিজেদের প্রস্তুত করতে ৷ বিস্তারিতভাবে বললে, পরিকল্পনার স্তরে আমরা বলেছিলাম, একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের জন্য একটি থিয়েটারকে ব্যবহার করা হবে ৷ উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যদি আমরা পাকিস্তানকে ধরি, তাহলে সেখানে নর্দান কমান্ড, ওয়েস্টার্ন কমান্ড, সাউথ-ওয়েস্টার্ন কমান্ড এবং সাউদার্ন কমান্ড মোতায়েন রয়েছে ৷ এই চারটি কমান্ড একটি প্রান্তে নিজেদের লক্ষ্য করে রেখেছে ৷ যদি, যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে প্রত্যেকের নিজস্ব একটি পরিকল্পনা রয়েছে ৷ পরিকল্পনা রয়েছে, এই সবক’টি কমান্ডকে একটি থিয়েটারে নিয়ে আসা হবে ৷ তাহলে একটি থিয়েটার শুধুমাত্র ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে নজর রাখবে ৷ একইভাবে একটি থিয়েটার নর্দান ফ্রন্টে নজর রাখবে এবং একটি থিয়েটার নজর রাখবে সামুদ্রিক সীমানায় ৷

ইটিভি ভারত- আপনি এর আগেও জাতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছিলেন ৷ আপনার কেন মনে হয়, একটি সফল সরকার সেই পরিকল্পনা তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছে ?

এমএম নারাভানে- আমাদের একটি নির্দিষ্ট জাতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনা থাকা উচিত ৷ কিন্তু, আমি মনে করি না, এক্ষেত্রে আমাদের বাকিদের সঙ্গে তুলনায় যাওয়া উচিত ৷ বিশের শতকের শেষের দিক পর্যন্ত একমাত্র ব্রিটেনের কাছে নিজস্ব জাতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনা ছিল ৷ তাও আবার, একটি আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের তৈরি করার 300 বছর পর ৷ তাই আমরাও সেটা নিয়ে কাজ করছি ৷ এক্ষেত্রে আমাদের সকল মন্ত্রক ও বিভাগের মধ্যে একটা সমন্বয় তৈরি করতে হবে ৷ একটা খুবই সংকীর্ণ ধারণা রয়েছে যে, এনএসএস শুধুমাত্র সামরিক ক্ষেত্রে কাজ করে ৷ মানুষের বোঝা উচিত যে, এনএসএস জাতীয় স্তরে একাধিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ যেমন খাদ্য নিরাপত্তা, শক্তি সুরক্ষা এবং মহামারির মতো বিষয়গুলিকে সামিল করা হয়েছে ৷ এমনকি স্বাস্থ্য সুরক্ষার মতো জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রেও কাজ করবে এনএসএস ৷

ইটিভি ভারত- এই মুহূর্তে চিন মলদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান এবং ভূটানে ভূ-ভাগে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করছে ৷ এই বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন ?

এমএম নারাভানে- সম্প্রতি আমাদের বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, রাজনীতি এবং কূটনীতি দু’টি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয় ৷ মলদ্বীপ ইস্যু নিয়ে বলতে হয়, এখানে ভারত বিরোধী একটা প্রচার করা হচ্ছিল ৷ সেখানে একটা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ছিল ৷ কিন্তু, এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, কীভাবে তারা আমাদের সমর্থন ও আর্থিক সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছেন ৷ এই সব দেশগুলি আমাদের প্রতিবেশী ৷ আর আমাদের নীতিই হল, সবার আগে প্রতিবেশী দেশের স্বার্থ দেখা ৷ আর সেটা সবসময় বজায় থাকবে ৷ এই দেশগুলি যখনই কোনও বিপদে পড়বে, তখন ভারত একমাত্র দেশ, যে সবার আগে এগিয়ে যাবে ৷ সেখানে চিন থাকবে না ৷ এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনও শক্তিশালী দেশকে সেখানে পাওয়া যাবে না ৷ সেইসব দেশের গ্রাউন্ড লেভেলের মানুষজন জানে কারা আসল বন্ধু, আর কারা নয় ৷

ইটিভি ভারত- একটি তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত মায়ানমারে চিনের সমরাস্ত্র পাঠানো হচ্ছে ৷ আর আমরা এই মুহূর্তে উত্তর-পূর্ব এবং মণিপুরকে অশান্ত হতে দেখছি ৷

এমএম নারাভানে- মায়ানমারের সঙ্গে চিন লম্বা আন্তর্জাতিক সীমান্ত শেয়ার করে ৷ হ্যাঁ, অবশ্যই তারা ঘোলা জলে মাছ ধরছে এবং আমরা উত্তর-পূর্বে তৈরি হওয়া বিষয়টি নিয়ে সম্পূর্ণভাবে অবগত ৷ এমনকি বিদেশি এজেন্সির যোগ এক্ষেত্রে পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয় ৷ সেখানে কিছু সংস্থা বা অভিনেতা আছেন, যাঁরা হিংসা থেকে লাভবান হয় ৷ তারা কখনই চাইবে না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক ৷

ইটিভি ভারত- আপনি আফস্পার পক্ষে ?

এমএম নারাভানে- আমরা যখনই 1958 সালের আর্মড ফোর্সের স্পেশাল আইনের কথা বললে, আমরা সবসময় 'ঘোড়ার আগে গাড়ি রাখি' ৷ কোনও নির্দিষ্ট এলাকার আইন-শৃঙ্খলা স্থানীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, ওই এলাকাকে 'অশান্ত এলাকা' ঘোষণা করা হয় ৷ যখন রাজ্যের পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়, তখনই সেনাকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নামানো হয় ৷ আর এক্ষেত্রে আমাদের দরকার পড়ে আইনি সুরক্ষা ৷ আফস্পা আমাদের শুধুমাত্র পুলিশি ক্ষমতাটা দেয় ৷ যার সাহায্যে আমরা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করে থাকি ৷ যে কাজটা পুলিশ করে, সেটাই আমরা আফস্পার সাহায্য করে থাকি ৷

ইটিভি ভারত- আবার ক্ষমতায় ফেরা এই সরকার কি সমস্যাগুলি মেটাতে সক্ষম ?

এমএম নারাভানে- হ্যাঁ অবশ্যই পারবে ৷ আর এটা আমার বিশ্বাস ৷

ইটিভি ভারত- আপনার বই কবে প্রকাশ পাচ্ছে ? আপনার কেন মনে হচ্ছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এটাকে আটকে রেখেছে ? আর সেটা কি শুধুমাত্র আপনি 'অগ্নিপথ'-এর বিরোধিতা করায় ?

এমএম নারাভানে- প্রতিরক্ষ মন্ত্রকে এটার রিভিউ চলছে ৷ আর এই মুহূর্তে বইয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে মন্তব্য করা নীতিগতভাবে ঠিক কাজ হবে না ৷ এই মুহূর্তে পুরোটাই প্রকাশক ও মন্ত্রকের মধ্যে রয়েছে ৷ অগ্নিপথ খুবই কার্যকরী ৷ কিন্তু, এই বিশাল পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সময় ও তার মাঝে সংশোধন প্রয়োজন ৷ আর সেটা সম্ভব সময়ে সময়ে ফিডব্যাকের মাধ্যমে ৷ এটা কখনও একরাতে সম্ভব নয় ৷ আমাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সম্প্রতি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তাঁরা পরির্তনকে স্বাগত জানাতে তৈরি ৷ সব নতুন নীতিকে কার্যকর ও স্থিতিশীল করতে কিছুটা সময় দিতে হয় ৷ চূড়ান্ত পরিণতিতে পৌঁছে যাওয়ার আগে, আমাদের সেই সময়টা দিতে হবে ৷

নয়াদিল্লি, 20 জুন: কূটনৈতিক শান্তি রক্ষার একমাত্র পথ হল, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়া ৷ এমনটাই মনে করেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে ৷ তাঁর মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইজরায়েল-হামাসের মধ্যে চলা যুদ্ধ সেটাই শেখাচ্ছে পুরো বিশ্বকে ৷ প্রাক্তন এই সেনাপ্রধানের সময়ে, 2020 সালে গালওয়ানে ভারত ও চিনের সেনা মুখোমুখি অবস্থানে এসেছিল ৷ এমনকি কিছুক্ষেত্রে ভারতীয় সেনার উপর হামলার পরিকল্পনাও করেছিল রেড-আর্মি ৷ যা ভারতীয় সেনার তৎপরতায় বানচাল হয়েছিল ৷

বর্তমান পরিস্থিতিতে নারাভানে মনে করেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে কোনও ইচ্ছে নেই চিনের ৷ আর তাঁর এই যুক্তির পিছনে রয়েছে, সেদেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য অভিনন্দন না জানানো ৷ আর এই নিয়েই ইটিভি ভারতকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিলেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে ৷

ইটিভি ভারত- বর্তমানে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ থেকে আমরা কী শিক্ষা নিতে পারি ?

এমএম নারাভানে- এই দু’টি যুদ্ধ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে ৷ পরিকল্পনাগতভাবে, এর পাশাপাশি অপারেশনাল ও কৌশলের স্তরে আমাদের শেখার রয়েছে ৷ এখন যুদ্ধের কুয়াশা রয়েছে ৷ আসল শিক্ষাটা তখন পাওয়া যাবে, যখন যুদ্ধ থেকে যে ধুলো উড়ছে, তা থিতিয়ে যাবে ৷ এই মুহূর্তে উচ্চস্তরের কিছু শিক্ষা আমরা নিতে পারি ৷ আর তা হল, এই যুদ্ধ কখনও প্রভাব বিস্তার করে বা প্রোপাগান্ডা অনুযায়ী হয় না ৷ প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হল, শান্তি ও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিরোধে নিষ্পত্তির ইচ্ছে থাকলেও, যুদ্ধ হবেই ৷

25 বছর আগে কার্গিল যুদ্ধের পরে, একটা দীর্ঘ শান্তি বিরাজ করছে, যা সীমান্তের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি ভুল ধারণা ৷ আর একটি ধারণা তৈরি হয়েছে যে, যুদ্ধ শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু, সত্যের উপরে কিছু নেই ৷ আর এক্ষেত্রে নিশ্চিত শান্তি স্থাপন করতে হলে, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতেই হবে ৷ এটাই সবচেয়ে বড় শিক্ষা ৷ আর হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের প্রসঙ্গ, এটি আবারও এই সত্যকে প্রমাণ করল যে, হিংসা আশপাশেই থাকে ৷ আর সর্বদা সতর্ক থাকাই শান্তির মূল্য ৷ আর এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই যে, গত 7 অক্টোবর হামাসের আক্রমণ সন্ত্রাসবাদী হামলা ছাড়া আর কিছুই নয় ৷ আর এটার সবদিক থেকে সমালোচনা করাই যথার্থ ৷ সাধারণ নাগরিক এবং নিরীহ মহিলা ও শিশুদের উপর হামলাকারীদের সভ্য সমাজে কোনও স্থান নেই ৷

যাই হোক, সন্ত্রাসী হামলার জবাবে একটি আনুপাতিকতা থাকতে হবে এবং সেটা হবে সন্ত্রাসবাদী হামলাকারীদের উদ্দেশ্যে ৷ সেখানকার সাধারণ মানুষের উপর নয় ৷ শক্তির অত্যধিক ব্যবহার এবং এর ফলে সমান্তরাল ক্ষতি ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানির কারণে ইজরায়েল বিশ্বব্যাপী তার সমস্ত নৈতিক সমর্থন হারিয়েছে ৷

ইটিভি ভারত- আমাদের কি সেই ধরনের পরিকাঠামো এবং পরিবেশ আছে ?

এমএম নারাভানে- আমাদের এটা তৈরি করতে হবে এবং আমরা ইতিমধ্যে তা করছি ৷ চলমান যুদ্ধগুলি আমাদের একটা শিক্ষা দিয়েছে যে, যুদ্ধগুলি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, যা চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন বা ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের পরিস্থিতি থেকে স্পষ্ট ৷ আর তাই আমাদের এই মুহূর্তে সামগ্রিক, প্রযুক্তি ও পরিবেশগতভাবে নিজেদের প্রস্তুত রাখতে হবে ৷ ভারতীয় সেনাবাহিনী দ্রুত আধুনিকীকরণের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এবং ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতিতে দেশীয় বিকল্পের দিকে নজর দিচ্ছে ৷

ইটিভি ভারত- আমাদের কি আরও বেশি করে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে ?

এমএম নারাভানে- হ্যাঁ, অবশ্য়ই ৷ আমাদের শুধু বেসরকারি বিনিয়োগই প্রয়োজন নয়, সামরিক কাজে অসামরিক পরিকাঠামো ব্যবহার করার সামর্থ্যও আমাদের থাকতে হবে ৷ অবশ্যই আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং আর সেটা রাতারাতি ঘটবে না ৷ উদাহরণস্বরূপ, আমাদের একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করতে হবে, যেখানে একটি কোম্পানি যে ট্রাক্টর তৈরি করছে, তাদের ট্যাঙ্কার তৈরির দক্ষতার সঙ্গেও মানিয়ে নিতে হবে ৷ আর সেক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে আরও বেশি করে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়াতে হবে ৷

ইটিভি ভারত- ভারতে ধীরে ধীরে সামরিক শিল্পের শিকড় মজবুত হচ্ছে ৷ আর আমরা এই মুহূর্তে সামরিকক্ষেত্রে 'আত্মনির্ভর' হওয়ার উপর জোর দিচ্ছি ৷ সেক্ষেত্রে আমরা এই মুহূর্তে কোথায় দাঁড়িয়ে ?

এমএম নারাভানে- সামরিক শিল্পের প্রশ্নে আমরা এই মুহূর্তে অনেকটাই পিছনের দিকে রয়েছি ৷ তবে, আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছি ৷ আত্মনির্ভর এক রাতে হওয়া সম্ভব নয় ৷ আমরা দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ শিল্পক্ষেত্রকে প্রতিরক্ষা থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছি, যা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একচেটিয়া বাজার তৈরি করেছে ৷ এবার বেসরকারি শিল্প ক্ষেত্রগুলি নিজেদের পরিধি পেরোতে শুরু করেছে ৷

ইটিভি ভারত- সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে একতা আনতে থিয়েটারাইজেশন পরিকল্পনা সম্পর্কে অনেক কিছু বলা হচ্ছে ৷ কেন্দ্র সম্প্রতি ইন্টার-সার্ভিস অর্গানাইজেশন (কমান্ড, নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মানুবর্তিতা) অ্যাক্ট নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ৷ এই বিজ্ঞপ্তিটিকে আপনি কীভাবে দেখছেন ?

এমএম নারাভানে- থিয়েটারাইজেশন সামরিক পরিকাঠামো উন্নয়নের সামগ্রিক পদক্ষেপগুলির একটি ধাপ ৷

ইটিভি ভারত- এই প্রক্রিয়াটা এত সময় নিচ্ছে কেন ?

এমএম নারাভানে- এই বদলটা এত দ্রুততার সঙ্গে বা এত সহজে হবে না ৷ আমরা একেবারে সঠিক দিকে এগিয়ে চলেছি ৷ আর সঠিক সময় এলেই তা সম্পন্ন হবে ৷ আমরা নিজেদের থেকে কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেব না ৷ সকল স্টেকহোল্ডারদের আমরা যথেষ্ট সময় দেব সঠিকভাবে নিজেদের প্রস্তুত করতে ৷ বিস্তারিতভাবে বললে, পরিকল্পনার স্তরে আমরা বলেছিলাম, একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের জন্য একটি থিয়েটারকে ব্যবহার করা হবে ৷ উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যদি আমরা পাকিস্তানকে ধরি, তাহলে সেখানে নর্দান কমান্ড, ওয়েস্টার্ন কমান্ড, সাউথ-ওয়েস্টার্ন কমান্ড এবং সাউদার্ন কমান্ড মোতায়েন রয়েছে ৷ এই চারটি কমান্ড একটি প্রান্তে নিজেদের লক্ষ্য করে রেখেছে ৷ যদি, যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে প্রত্যেকের নিজস্ব একটি পরিকল্পনা রয়েছে ৷ পরিকল্পনা রয়েছে, এই সবক’টি কমান্ডকে একটি থিয়েটারে নিয়ে আসা হবে ৷ তাহলে একটি থিয়েটার শুধুমাত্র ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে নজর রাখবে ৷ একইভাবে একটি থিয়েটার নর্দান ফ্রন্টে নজর রাখবে এবং একটি থিয়েটার নজর রাখবে সামুদ্রিক সীমানায় ৷

ইটিভি ভারত- আপনি এর আগেও জাতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছিলেন ৷ আপনার কেন মনে হয়, একটি সফল সরকার সেই পরিকল্পনা তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছে ?

এমএম নারাভানে- আমাদের একটি নির্দিষ্ট জাতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনা থাকা উচিত ৷ কিন্তু, আমি মনে করি না, এক্ষেত্রে আমাদের বাকিদের সঙ্গে তুলনায় যাওয়া উচিত ৷ বিশের শতকের শেষের দিক পর্যন্ত একমাত্র ব্রিটেনের কাছে নিজস্ব জাতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনা ছিল ৷ তাও আবার, একটি আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের তৈরি করার 300 বছর পর ৷ তাই আমরাও সেটা নিয়ে কাজ করছি ৷ এক্ষেত্রে আমাদের সকল মন্ত্রক ও বিভাগের মধ্যে একটা সমন্বয় তৈরি করতে হবে ৷ একটা খুবই সংকীর্ণ ধারণা রয়েছে যে, এনএসএস শুধুমাত্র সামরিক ক্ষেত্রে কাজ করে ৷ মানুষের বোঝা উচিত যে, এনএসএস জাতীয় স্তরে একাধিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ যেমন খাদ্য নিরাপত্তা, শক্তি সুরক্ষা এবং মহামারির মতো বিষয়গুলিকে সামিল করা হয়েছে ৷ এমনকি স্বাস্থ্য সুরক্ষার মতো জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রেও কাজ করবে এনএসএস ৷

ইটিভি ভারত- এই মুহূর্তে চিন মলদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান এবং ভূটানে ভূ-ভাগে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করছে ৷ এই বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন ?

এমএম নারাভানে- সম্প্রতি আমাদের বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, রাজনীতি এবং কূটনীতি দু’টি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয় ৷ মলদ্বীপ ইস্যু নিয়ে বলতে হয়, এখানে ভারত বিরোধী একটা প্রচার করা হচ্ছিল ৷ সেখানে একটা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ছিল ৷ কিন্তু, এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, কীভাবে তারা আমাদের সমর্থন ও আর্থিক সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছেন ৷ এই সব দেশগুলি আমাদের প্রতিবেশী ৷ আর আমাদের নীতিই হল, সবার আগে প্রতিবেশী দেশের স্বার্থ দেখা ৷ আর সেটা সবসময় বজায় থাকবে ৷ এই দেশগুলি যখনই কোনও বিপদে পড়বে, তখন ভারত একমাত্র দেশ, যে সবার আগে এগিয়ে যাবে ৷ সেখানে চিন থাকবে না ৷ এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনও শক্তিশালী দেশকে সেখানে পাওয়া যাবে না ৷ সেইসব দেশের গ্রাউন্ড লেভেলের মানুষজন জানে কারা আসল বন্ধু, আর কারা নয় ৷

ইটিভি ভারত- একটি তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত মায়ানমারে চিনের সমরাস্ত্র পাঠানো হচ্ছে ৷ আর আমরা এই মুহূর্তে উত্তর-পূর্ব এবং মণিপুরকে অশান্ত হতে দেখছি ৷

এমএম নারাভানে- মায়ানমারের সঙ্গে চিন লম্বা আন্তর্জাতিক সীমান্ত শেয়ার করে ৷ হ্যাঁ, অবশ্যই তারা ঘোলা জলে মাছ ধরছে এবং আমরা উত্তর-পূর্বে তৈরি হওয়া বিষয়টি নিয়ে সম্পূর্ণভাবে অবগত ৷ এমনকি বিদেশি এজেন্সির যোগ এক্ষেত্রে পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয় ৷ সেখানে কিছু সংস্থা বা অভিনেতা আছেন, যাঁরা হিংসা থেকে লাভবান হয় ৷ তারা কখনই চাইবে না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক ৷

ইটিভি ভারত- আপনি আফস্পার পক্ষে ?

এমএম নারাভানে- আমরা যখনই 1958 সালের আর্মড ফোর্সের স্পেশাল আইনের কথা বললে, আমরা সবসময় 'ঘোড়ার আগে গাড়ি রাখি' ৷ কোনও নির্দিষ্ট এলাকার আইন-শৃঙ্খলা স্থানীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, ওই এলাকাকে 'অশান্ত এলাকা' ঘোষণা করা হয় ৷ যখন রাজ্যের পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়, তখনই সেনাকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নামানো হয় ৷ আর এক্ষেত্রে আমাদের দরকার পড়ে আইনি সুরক্ষা ৷ আফস্পা আমাদের শুধুমাত্র পুলিশি ক্ষমতাটা দেয় ৷ যার সাহায্যে আমরা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করে থাকি ৷ যে কাজটা পুলিশ করে, সেটাই আমরা আফস্পার সাহায্য করে থাকি ৷

ইটিভি ভারত- আবার ক্ষমতায় ফেরা এই সরকার কি সমস্যাগুলি মেটাতে সক্ষম ?

এমএম নারাভানে- হ্যাঁ অবশ্যই পারবে ৷ আর এটা আমার বিশ্বাস ৷

ইটিভি ভারত- আপনার বই কবে প্রকাশ পাচ্ছে ? আপনার কেন মনে হচ্ছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এটাকে আটকে রেখেছে ? আর সেটা কি শুধুমাত্র আপনি 'অগ্নিপথ'-এর বিরোধিতা করায় ?

এমএম নারাভানে- প্রতিরক্ষ মন্ত্রকে এটার রিভিউ চলছে ৷ আর এই মুহূর্তে বইয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে মন্তব্য করা নীতিগতভাবে ঠিক কাজ হবে না ৷ এই মুহূর্তে পুরোটাই প্রকাশক ও মন্ত্রকের মধ্যে রয়েছে ৷ অগ্নিপথ খুবই কার্যকরী ৷ কিন্তু, এই বিশাল পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সময় ও তার মাঝে সংশোধন প্রয়োজন ৷ আর সেটা সম্ভব সময়ে সময়ে ফিডব্যাকের মাধ্যমে ৷ এটা কখনও একরাতে সম্ভব নয় ৷ আমাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সম্প্রতি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তাঁরা পরির্তনকে স্বাগত জানাতে তৈরি ৷ সব নতুন নীতিকে কার্যকর ও স্থিতিশীল করতে কিছুটা সময় দিতে হয় ৷ চূড়ান্ত পরিণতিতে পৌঁছে যাওয়ার আগে, আমাদের সেই সময়টা দিতে হবে ৷

Last Updated : Jun 20, 2024, 2:18 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.