রাঁচি, 2 ফেব্রুয়ারি: জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন চম্পাই সোরেন ৷ ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন বৃহস্পতিবারই হেমন্ত সোরেন-ঘনিষ্ঠ চম্পাইকে বিধানসভার দলনেতা হিসেবে মনোনীত করেছেন ৷ এর সঙ্গে তাঁকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পাঠিয়েছেন ৷ তাই শুক্রবার দুপুর 12.15 নাগাদ ঝাড়খণ্ডের 12তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করবেন ঝাড়খণ্ডের বাঘ বলে পরিচিত চম্পাই সোরেন ৷
বুধবার গভীর রাতে জমি দুর্নীতি মামলায় হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করে ইডি ৷ তার আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণনের কাছে তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দেন ৷ এরপর ঠিকই ছিল যে চম্পাই সোরেনের নেতৃত্বে ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা জোটের নতুন সরকার গঠন হবে ৷ এদিকে এর মধ্যেই এই জোটের বিধায়কদের কেনাবেচার কানাঘুষো শোনা যায় ৷ বিজেপির হাত থেকে বিধায়কদের রক্ষা করতে তাঁদের বিশেষ বিমানে তেলেঙ্গানায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে বৃহস্পতিবার ওই বিধায়কদের কংগ্রেসশাসিত রাজ্যটিতে পাঠানো সম্ভব হয়নি ৷
অন্যদিকে জেএমএম নেতা চম্পাই সোরেন দাবি করেন ঝাড়খণ্ড বিধাসভায় 81 টি আসনের মধ্যে তাঁর কাছে 47 জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে সরকার গঠন নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা তৈরি হয় ৷ তবে চম্পাই সোরেন রাজ্যপালের কাছে ঝাড়খণ্ডে নতুন সরকার গড়ার দাবি গ্রহণ করার আর্জি জানান ৷ দিনভর এই দোলাচলের পর বৃহস্পতিবার রাতে রাজভবন থেকে চম্পাই সোরেনকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় ৷
রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণনের মুখ্যসচিব নীতীন মদন কুলকার্নি জানিয়েছেন, চম্পাই সোরেনকে শপথ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ৷ এবার শপথ নেওয়ার সময়টা তাঁরাই ঠিক করবেন ৷ এদিকে রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি রাজেশ ঠাকুর জানিয়েছেন, সরকার গঠনের 10 দিনের মধ্যে চম্পাই সোরেনকে তাঁর সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে ৷
আরও পড়ুন: