ETV Bharat / bharat

সিআইএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে অসহযোগিতা, রাজ্যের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র - RG Kar Doctor Rape and Murder

author img

By Sumit Saxena

Published : Sep 4, 2024, 11:03 AM IST

Centre to SC on CISF: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও সিআইএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে সহযোগীতা করছে না রাজ্য ৷ আরজি করে মোতায়েন কেন্দ্র বাহিনীর প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৷ কেন্দ্রের আবেদন, বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করুক আদালত ৷

Centre to SC on CISF
রাজ্যের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র (ইটিভি ভারত)

নয়াদিল্লি, 4 সেপ্টেম্বর: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মোতায়েন সিআইএসএফ জওয়ানদের 'সম্পূর্ণ সহযোগিতা' করার নির্দেশ দেওয়া হোক ৷ সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই মর্মে আবেদন দাখিল করল কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৷ সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অবমাননা করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কিংবা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ারও আর্জি জানাল কেন্দ্র ৷

কেন্দ্রের দাবি, আরজি কর হাসপাতালে নিযুক্ত সিআইএসএফ জওয়ানদের একাধিক সমস্য়ার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ৷ সেখানে প্রয়োজনীয় বাসস্থান, খাবারের অভাব, এমনকী, মৌলিক নিরাপত্তা পরিকাঠামোরও অভাব রয়েছে ৷ গত 2 সেপ্টেম্বর রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছে বিষয়টি নিয়ে একটি চিঠিও পাঠানো হয় কেন্দ্রের তরফে ৷ কিন্তু তারপরও কোনও পরিবর্তন হয়নি ৷ রাজ্য সরকারের কাছে এই ধরনের অসহযোগিতা কাম্য নয় ৷ বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে ডাক্তারদের নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত ৷ শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন পত্রে বলা হয়েছে, "বিষয়টি নিয়ে বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও রকম সক্রিয়তা দেখা যায়নি রাজ্যের তরফে ৷ আদালতের নির্দেশের পরও কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রতি অসহযোগিতা কোনও মতেই কাম্য নয় ৷" সুতরাং বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করা হোক ৷

উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনার কয়েকদিন পর, 14 অগস্ট গভীর রাতে প্রায় 7000 লোক হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর চালায় ৷ বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশকে সুপ্রিম কোর্টের রোষের মুখে পড়তে হয় ৷ তাই স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানির প্রথম দিনই হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব সিআইএসএফ-এর হাতে তুলে দেয় ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি, শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশ মেনে নেয় রাজ্য সরকার ৷ কিন্তু বর্তমানে সেই নির্দেশ অমান্য করা হচ্ছে ৷ আদালতের আদেশের এই ধরনের ইচ্ছাকৃত অসম্মতি শুধুমাত্র অবমাননাকর নয়, সমস্ত সাংবিধানিক এবং নৈতিক নীতির বিরুদ্ধ ৷

আবেদনে বলা হয়েছে, "রাজ্য সরকারের অপ্রত্যাশিত, অযৌক্তিক এবং ক্ষমার অযোগ্য কর্মকাণ্ডের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সর্বোচ্চ আদালতের কাছে আসতে বাধ্য হয়েছে ৷ রাজ্যের তরফে সহযোগীতা পেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা নিজেদের দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে ৷ তাই শীর্ষ আদালত বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করুক ৷"

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আরজি করে মোতায়েন রয়েছেন সিআইএসএফ জওয়ানরা ৷ 185 জন সিআইএসএফ জওয়ান শিফট অনুযায়ী মোতায়েন রয়েছেন হাসপাতালের বিভিন্ন প্রান্তে ৷ নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিলেন সিআইএসএফের উচ্চপদস্থ কর্তারা । সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিআইএসএফ-এর আইজি ও ডিআইজি ৷ পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখে হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সিআইএসএফ ৷ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য কী কী প্রয়োজন, সেই কথাও বৈঠকে জানানো হয় ৷ তবে কেন্দ্রের অভিযোগ, জওয়ানদের সঙ্গে সহযোগীতা করছে না রাজ্য সরকার ৷

নয়াদিল্লি, 4 সেপ্টেম্বর: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মোতায়েন সিআইএসএফ জওয়ানদের 'সম্পূর্ণ সহযোগিতা' করার নির্দেশ দেওয়া হোক ৷ সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই মর্মে আবেদন দাখিল করল কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৷ সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অবমাননা করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কিংবা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ারও আর্জি জানাল কেন্দ্র ৷

কেন্দ্রের দাবি, আরজি কর হাসপাতালে নিযুক্ত সিআইএসএফ জওয়ানদের একাধিক সমস্য়ার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ৷ সেখানে প্রয়োজনীয় বাসস্থান, খাবারের অভাব, এমনকী, মৌলিক নিরাপত্তা পরিকাঠামোরও অভাব রয়েছে ৷ গত 2 সেপ্টেম্বর রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছে বিষয়টি নিয়ে একটি চিঠিও পাঠানো হয় কেন্দ্রের তরফে ৷ কিন্তু তারপরও কোনও পরিবর্তন হয়নি ৷ রাজ্য সরকারের কাছে এই ধরনের অসহযোগিতা কাম্য নয় ৷ বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে ডাক্তারদের নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত ৷ শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন পত্রে বলা হয়েছে, "বিষয়টি নিয়ে বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও রকম সক্রিয়তা দেখা যায়নি রাজ্যের তরফে ৷ আদালতের নির্দেশের পরও কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রতি অসহযোগিতা কোনও মতেই কাম্য নয় ৷" সুতরাং বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করা হোক ৷

উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনার কয়েকদিন পর, 14 অগস্ট গভীর রাতে প্রায় 7000 লোক হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর চালায় ৷ বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশকে সুপ্রিম কোর্টের রোষের মুখে পড়তে হয় ৷ তাই স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানির প্রথম দিনই হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব সিআইএসএফ-এর হাতে তুলে দেয় ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি, শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশ মেনে নেয় রাজ্য সরকার ৷ কিন্তু বর্তমানে সেই নির্দেশ অমান্য করা হচ্ছে ৷ আদালতের আদেশের এই ধরনের ইচ্ছাকৃত অসম্মতি শুধুমাত্র অবমাননাকর নয়, সমস্ত সাংবিধানিক এবং নৈতিক নীতির বিরুদ্ধ ৷

আবেদনে বলা হয়েছে, "রাজ্য সরকারের অপ্রত্যাশিত, অযৌক্তিক এবং ক্ষমার অযোগ্য কর্মকাণ্ডের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সর্বোচ্চ আদালতের কাছে আসতে বাধ্য হয়েছে ৷ রাজ্যের তরফে সহযোগীতা পেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা নিজেদের দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে ৷ তাই শীর্ষ আদালত বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করুক ৷"

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আরজি করে মোতায়েন রয়েছেন সিআইএসএফ জওয়ানরা ৷ 185 জন সিআইএসএফ জওয়ান শিফট অনুযায়ী মোতায়েন রয়েছেন হাসপাতালের বিভিন্ন প্রান্তে ৷ নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিলেন সিআইএসএফের উচ্চপদস্থ কর্তারা । সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিআইএসএফ-এর আইজি ও ডিআইজি ৷ পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখে হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সিআইএসএফ ৷ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য কী কী প্রয়োজন, সেই কথাও বৈঠকে জানানো হয় ৷ তবে কেন্দ্রের অভিযোগ, জওয়ানদের সঙ্গে সহযোগীতা করছে না রাজ্য সরকার ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.