নয়াদিল্লি, 29 জুলাই: দিল্লির আবগারী নীতি কেলেঙ্কারি নিয়ে সিবিআই সোমবার চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করল ৷ সেই চার্জশিটে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল-সহ একাধিক ব্যক্তির নাম রয়েছে ৷ এর আগে সিবিআই এই মামলায় একটি মূল চার্জশিট পেশ করেছিল ৷ পরে আরও চারটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করা হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ব্যুরোর তরফে ৷ সেখানে দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া, তেলেঙ্গানার বিধান পরিষদের সদস্য কে কবিতা ও আরও কয়েকজনের নাম ছিল ৷
সোমবার চূড়ান্ত চার্জশিটে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নাম যুক্ত হয়েছে ৷ আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়েছে যে তদন্ত শেষ হওয়ার পরই এই চার্জশিট পেশ করা হল ৷ সেখানে জানানো হয়েছে যে সুরা ব্যবসায়ী মাগুন্তা শ্রীনিভাসালু রেড্ডি 2021 সালের 16 মার্চ দিল্লির সচিবালয়ে কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করেন ৷ সেই সময় দিল্লি সরকার 2021-22 সালের আবগারী নীতি প্রণয়নের কাজ করছিল ৷ কেজরিওয়ালের কাছে সেই নীতিতে কিছু বদল এনে জাতীয় রাজধানীতে সুরা-ব্যবসায় সুযোগ করে দেওয়ার অনুরোধ করেন মাগুন্তা শ্রীনিভাসালু রেড্ডি ৷
সিবিআইয়ের দাবি, কেজরিওয়াল রেড্ডিকে এই বিষয়ে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন ৷ তিনি কে কবিতার সঙ্গে রেড্ডিকে কথা বলতে বলেন ৷ কারণ, নিজের টিম নিয়ে কে কবিতা সেই সময় দিল্লির আবগারী নীতি নিয়ে কাজ করছিলেন ৷ সাহায্যের বদলে কেজরিওয়াল রেড্ডির কাছ থেকে আম আদমি পার্টি (আপ)-র জন্য আর্থিক সাহায্য চান ৷ এর পর আপের কয়েকজন নেতা ও কয়েকজন সরকারি আধিকারিককে 90-100 কোটি টাকা দেওয়া হয় ৷ এই টাকা দেওয়া হয় বিজয় নারায় ও অভিষেক বোয়েনপল্লির মাধ্যমে ৷ এই দু’জনও এই মামলায় অভিযুক্ত ৷
সিবিআইয়ের আরও দাবি, এই টাকা পরবর্তীকালে এল-1 লাইসেন্সধারী পাইকার ব্যবসায়ীদের লাভের পরিমাণ বাড়িয়ে ফেরত দেওয়া হয়েছে ৷ অতিরিক্ত ক্রেডিট নোট জারি করে বা ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মাধ্যমে তা ফেরত দেওয়া হয়েছে ৷ দক্ষিণ ভারতের যে সংস্থাগুলি এই আবগারী নীতি কেলেঙ্কারিতে যুক্ত, তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অবশিষ্ট টাকা পড়ে রয়েছে ৷ সুরা প্রস্তুতকারক, পাইকারি ব্যবসায়ী ও খুচরো বিক্রেতা - এই তিন অংশকে সুবিধা দিতেই এই দুর্নীতি করা হয় ৷