পটনা, 27 জুন: সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট-ইউজি প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রথম গ্রেফতার করল সিবিআই ৷ সরকারি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিহারের পটনা থেকে দু'জনকে গ্রেফতার করে তাদের হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের পরই গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই ধৃতের নাম মণীশ কুমার এবং আশুতোষ কুমার ৷ অভিযোগ, নিট-ইউজি পরীক্ষা শুরুর আগে তারা দু'জনে বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যায় ৷ সেখানে পরীক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্নপত্র এবং উত্তর তুলে দেওয়া হয় ৷
সিবিআই-এর আধিকারিক জানান, অভিযুক্ত মণীশ প্রকাশ তার গাড়িতে করে পরীক্ষার্থীদের নিয়ে আসত ৷ তারা থাকত আশুতোষের বাড়িতে ৷ জানা গিয়েছে, প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত মণীশ সারারাত পটনার একটি স্কুলে প্রশ্নপত্রগুলি পরীক্ষার্থীদের দেয় ৷ তদন্তে ওই স্কুল থেকে পুড়ে যাওয়া প্রশ্নপত্রের টুকরো পাওয়া গিয়েছে ৷ সেগুলি পরীক্ষা করেও দেখা হয়েছে ৷
সোমবার, 24 জুন নিট-ইউজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের তদন্তভার নেয় সিবিআই ৷ পরীক্ষায় বেনিয়মের ঘটনাগুলির একটি ঘটে বিহারের পটনায় ৷ অন্যটি গুজরাতের গোধরায় ৷ পাশাপাশি রাজস্থানে কারচুপির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় ৷
নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সিবিআই এখনও পর্যন্ত 6টি এফআইআর দায়ের করেছে ৷ সর্বভারতীয় এই মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষাটি পরিচালনা করে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ ৷ এই পরীক্ষার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সরকারি কলেজে এমবিবিএস, বিডিএস, আয়ুষ এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত অন্যান্য কোর্সগুলি পঠনপাঠনের সুযোগ পান পড়ুয়ারা ৷
এবছর এই পরীক্ষাটি হয়ে 5 মে ৷ দেশের 571টি শহরের 4 হাজার 750টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা হয় ৷ এমনকী বিদেশেও মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষাটি হয়েছে ৷ 23 লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৷ এই পরীক্ষার ফলাফল 4 জুন প্রকাশিত হয় ৷ তারপর থেকেই এই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে ৷ এর জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত ৷
পরীক্ষা পরিচালনা সংস্থা এনটিএ-কে কাঠগড়ায় তোলে পড়ুয়ারা ৷ এখনও দেশজুড়ে নিট-ইউজি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চালাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা ৷ প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার তদন্তভার সিবিআই-কে দেয় শিক্ষামন্ত্রক ৷ এই ঘটনায় সিবিআই গত রবিবার, 23 জুন প্রথম এফআইআর করে ৷