সিমডেগা (ঝাড়খণ্ড), 8 নভেম্বর: আগামী সপ্তাহেই ঝাড়খণ্ডে নির্বাচন ৷ প্রচারে এক-অপরকে টেক্কা দিতে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলি ৷ ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী, জনজাতি ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুক্রবার ঝাড়খণ্ডে প্রচারে যান কংগ্রেস নেতা রাহল গান্ধি। জনসভা থেকে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। রাহুল বলেন, "বিজেপি আদিবাসীদের জল, জমি, জঙ্গল কেড়ে নিতে চাইছে।" সাংসদ এদিন আরও দাবি করেন, আরএসএস-বিজেপির লক্ষ্য দেশের সংবিধানকে 'ধ্বংস' করা, অন্যদিকে ইন্ডিয়া শিবির লক্ষ্য তা 'সুরক্ষা' করা ৷
ঝাড়খণ্ডের সিমডেগার সভা থেকে এদিন কড়া আক্রমণের সুরে সোনিয়া-পুত্র বলেন, "বিজেপি বিশ্বাস করে, জল, জমি, জঙ্গল তাদের, আরএসএস ও পুঁজিবাদীদের। উন্নয়নের নাম করে এই সমস্ত জমি দখল করতে চায় গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, কংগ্রেস, ক্ষমতায় এলে, জাতিশুমারি নিশ্চিত করবে ৷ সংরক্ষণের 50 শতাংশ যে সীমা রয়েছে তা আরও বাড়ানো হবে ৷ ঝাড়খণ্ডে আমরা ক্ষমতায় এলে এসটি সংরক্ষণ 26 থেকে 28 শতাংশ করা হবে। সেই জায়গায় তফশিলি জাতিদের জন্য় সংরক্ষণ 10 থেকে 12 শতাংশ করা হবে, অন্যদিকে, ওবিসিদের সংরক্ষণ 14 থেকে 27 শতাংশ করা হবে।
তিনি জানান, দেশের তফশিলি জাতি, উপজাতি সমস্যা বুঝতে জাতিভিত্তিক জনগণনা প্রয়োজন ৷ সংবিধান ক্রমাগত আক্রমণের মধ্যে রয়েছে আর এটিকে রক্ষা করা দরকার ৷ প্রসঙ্গত, আগামী 13 ও 20 নভেম্বর দু'দফায় ঝাড়খণ্ডে নির্বাচন ৷ পাশাপাশি মহারাষ্ট্রেও নির্বাচন রয়েছে ৷ যদিও সেরাজ্যে শুধু 13 তারিখই ভোট ৷ এদিকে, বাংলার 6 কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচন রয়েছে ৷