ETV Bharat / bharat

'নৃশংসতা না থাকলেও ধর্ষণ সবসময়ই বর্বরোচিত', শিশুকে যৌন নিগ্রহে 30 বছরের কারাদণ্ড সুপ্রিম কোর্টের

একটি মন্দির প্রাঙ্গনে 7 বছরে একটি শিশুকে যৌন হেনস্থার জন্য এক ব্যক্তিকে 30 বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল সুপ্রিম কোর্ট ৷ এই রায়দানের সময় শীর্ষ আদালত কী বলেছে, তা জানুন ইটিভি ভারতের সুমিত সাক্সেনার প্রতিবেদনে ।

ETV BHARAT
ETV BHARAT
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 6, 2024, 2:49 PM IST

নয়াদিল্লি, 6 ফেব্রুয়ারি: 2018 সালে একটি মন্দির প্রাঙ্গণে শিশুকে যৌন নিগ্রহে দোষী সাব্যস্ত এক ব্যক্তিকে 30 বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ এই রায় ঘোষণার সময় শীর্ষ আদালত বলেছে, নিজের লালসা মেটানোর জন্য 7 বছর বয়সি একটি মেয়েকে সে ব্যবহার করেছে এবং এই দুর্ভাগ্যজনক ও বর্বরোচিত ঘটনা সারা জীবন তাড়িয়ে বেড়াবে ওই শিশুকে ৷

বিচারপতি সিটি রবিকুমার এবং রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ 5 ফেব্রুয়ারি দেওয়া একটি রায়ে বলেছে যে, নিগৃহীতা যদি ধার্মিক হয়, তাহলে যে কোনও মন্দিরে গেলেই তাকে এই দুর্ভাগ্যজনক ও বর্বর ঘটনা তাড়া করে বেড়াবে ৷ এই ঘটনা তাকে পীড়িত করতে পারে এবং তার ভবিষ্যতের বিবাহিত জীবনেও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানিয়েছে বেঞ্চ ৷

বেঞ্চ বলেছে, আবেদনকারী-অপরাধীর বয়স ঘটনার তারিখে ছিল 40 বছর এবং সেই সময় নিগৃহীতা মাত্র 7 বছরের এক কন্যা ৷ ছোট্ট শিশুকে নিজের যৌন লালসা মেটাতে ব্যবহার করেছে অভিযুক্ত ৷ বেঞ্চের কথায়, "লালসার জন্য আবেদনকারী-অপরাধী নিগৃহীতাকে একটি মন্দিরে নিয়ে যায়, সেই স্থানের পবিত্রতার তোয়াক্কা না করে, নিজেকে বিকৃত করে সে অপরাধটি করে ।"

শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছে যে, অপরাধী ভাগ্গিকে 30 বছরের প্রকৃত সাজা পূর্ণ হওয়ার আগে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া উচিত নয় । বেঞ্চ বলেছে, "আমাদের বলতে কোনও দ্বিধা নেই যে, ধর্ষণ নৃশংসভাবে না হলেও তা কখনওই অবর্বরোচিত হয়ে উঠবে না ৷" অভিযুক্তের আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন, হাইকোর্ট বলেছে যে, অপরাধটি যেভাবে সংঘটিত হয়েছিল তা বর্বরোচিত এবং নৃশংস ছিল না এবং যেহেতু অভিযুক্তের পূর্বের কোনও অপরাধের রেকর্ড নেই, তাই তাকে ন্যূনতম জরিমানা-সহ 20 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হোক ।

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট ভারতীয় দণ্ডবিধির 376 এবি ধারায় অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল । শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের আদেশ পরিবর্তন করে বলেছে, "এই ক্ষেত্রে প্রাপ্ত পরিস্থিতিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির 376 এবি ধারার অধীনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য প্রতিরোধমূলক শাস্তির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কোনও সন্দেহ থাকতে পারে না...৷" শীর্ষ আদালত বলেছে যে একবার আইপিসি 376 এবি-র অধীনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে, নির্দিষ্ট মেয়াদের শাস্তি 20 বছরের কম সময়ের জন্য হতে পারে না ।

আরও পড়ুন:

  1. দিঘায় বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার পর্যটক, গ্রেফতার 2
  2. কানপুরে দিনের পর দিন নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ ! গ্রেফতার অভিযুক্ত বাবা
  3. লজেন্স দেওয়ার অছিলায় 2 বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার নাবালক

নয়াদিল্লি, 6 ফেব্রুয়ারি: 2018 সালে একটি মন্দির প্রাঙ্গণে শিশুকে যৌন নিগ্রহে দোষী সাব্যস্ত এক ব্যক্তিকে 30 বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ এই রায় ঘোষণার সময় শীর্ষ আদালত বলেছে, নিজের লালসা মেটানোর জন্য 7 বছর বয়সি একটি মেয়েকে সে ব্যবহার করেছে এবং এই দুর্ভাগ্যজনক ও বর্বরোচিত ঘটনা সারা জীবন তাড়িয়ে বেড়াবে ওই শিশুকে ৷

বিচারপতি সিটি রবিকুমার এবং রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ 5 ফেব্রুয়ারি দেওয়া একটি রায়ে বলেছে যে, নিগৃহীতা যদি ধার্মিক হয়, তাহলে যে কোনও মন্দিরে গেলেই তাকে এই দুর্ভাগ্যজনক ও বর্বর ঘটনা তাড়া করে বেড়াবে ৷ এই ঘটনা তাকে পীড়িত করতে পারে এবং তার ভবিষ্যতের বিবাহিত জীবনেও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানিয়েছে বেঞ্চ ৷

বেঞ্চ বলেছে, আবেদনকারী-অপরাধীর বয়স ঘটনার তারিখে ছিল 40 বছর এবং সেই সময় নিগৃহীতা মাত্র 7 বছরের এক কন্যা ৷ ছোট্ট শিশুকে নিজের যৌন লালসা মেটাতে ব্যবহার করেছে অভিযুক্ত ৷ বেঞ্চের কথায়, "লালসার জন্য আবেদনকারী-অপরাধী নিগৃহীতাকে একটি মন্দিরে নিয়ে যায়, সেই স্থানের পবিত্রতার তোয়াক্কা না করে, নিজেকে বিকৃত করে সে অপরাধটি করে ।"

শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছে যে, অপরাধী ভাগ্গিকে 30 বছরের প্রকৃত সাজা পূর্ণ হওয়ার আগে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া উচিত নয় । বেঞ্চ বলেছে, "আমাদের বলতে কোনও দ্বিধা নেই যে, ধর্ষণ নৃশংসভাবে না হলেও তা কখনওই অবর্বরোচিত হয়ে উঠবে না ৷" অভিযুক্তের আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন, হাইকোর্ট বলেছে যে, অপরাধটি যেভাবে সংঘটিত হয়েছিল তা বর্বরোচিত এবং নৃশংস ছিল না এবং যেহেতু অভিযুক্তের পূর্বের কোনও অপরাধের রেকর্ড নেই, তাই তাকে ন্যূনতম জরিমানা-সহ 20 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হোক ।

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট ভারতীয় দণ্ডবিধির 376 এবি ধারায় অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল । শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের আদেশ পরিবর্তন করে বলেছে, "এই ক্ষেত্রে প্রাপ্ত পরিস্থিতিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির 376 এবি ধারার অধীনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য প্রতিরোধমূলক শাস্তির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কোনও সন্দেহ থাকতে পারে না...৷" শীর্ষ আদালত বলেছে যে একবার আইপিসি 376 এবি-র অধীনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে, নির্দিষ্ট মেয়াদের শাস্তি 20 বছরের কম সময়ের জন্য হতে পারে না ।

আরও পড়ুন:

  1. দিঘায় বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার পর্যটক, গ্রেফতার 2
  2. কানপুরে দিনের পর দিন নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ ! গ্রেফতার অভিযুক্ত বাবা
  3. লজেন্স দেওয়ার অছিলায় 2 বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার নাবালক
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.