নয়াদিল্লি, 9 জুন: রবিবার সন্ধ্য়ায় তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি ৷ আর শপথে থাকার জন্য ইতিমধ্যেই দিল্লি এসে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷ রবিবার সকালে ভারতরত্ন লালকৃষ্ণ আদবানির সঙ্গে তাঁর বাসভবনে গিয়ে দেখা করলেন শেখ হাসিনা ৷ বেশ কিছুক্ষণ দু'জনের মধ্যে কথা হয় ৷ অন্যদিকে, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ কুমার জুগনাউথ এবং ভূটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রবিবার দিল্লি পৌঁছেছেন ৷ গত বছরের 17 নভেম্বর দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মুইজ্জুর এটাই প্রথম ভারত সফর।
এদিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ৷ আর সেই অনুষ্ঠানেই যোগ দিতে এসেছেন ভারতের প্রতিবেশী এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলের সাতটি দেশের রাষ্ট্রনেতারা ৷ বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল 'এক্স'-হ্যান্ডলে বলেছেন, "মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন।" একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, "ভারত এবং মলদ্বীপ সামুদ্রিক অংশীদার এবং ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ৷" শনিবার দিল্লি পৌঁছেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শেখ হাসিনা ও সেইশেলসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আফিফ। জয়সওয়াল এও জানিয়েছেন, এই সফর ভারত ও ভূটানের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার ঘনিষ্ঠ বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করবে।
মুইজ্জু, তোবগে, জুগনাউথ, হাসিনা এবং আফিফ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য নেতারা হলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল 'প্রচন্ড' এবং শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে। ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে হিমশীতল সম্পর্কের মধ্যে এসে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য নয়াদিল্লির মুইজুকে আমন্ত্রণ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হয়েছিল।
অন্যদিকে শনিবার মুইজ্জু জানিয়েছিলেন যে, তিনি ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে এবং মোদির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার জন্য তিনি মুখিয়ে ৷ উল্লেখ করেছেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ইতিবাচক দিকে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। চিনপন্থী ঝোঁকের জন্য পরিচিত মুইজ্জু মলদ্বীপের শীর্ষ পদের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ভারত ও মলদ্বীপের মধ্যে সম্পর্কে শীতলতা আসে ৷ শপথ নেওয়ার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই মুইজ্জু তাঁর দেশ থেকে ভারতীয় সেনাদের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলেন। এই মাসের শুরুতে ভারতীয় সামরিক কর্মীদের সরিয়েও নেওয়া হয়।