রাঁচি, 24 অগস্ট: সবার জন্য আর পাঁচজনের মতো ওরা সকলেই ডাক্তার, শিক্ষক অথবা অটোচালক । তবে গোয়েন্দাদের দাবি এরা আসলে সকলেই জঙ্গি। সরাসরি যুক্ত নাশকতামূলক কাজকর্মের সঙ্গে। যুক্ত আল কায়েদার সঙ্গে ৷ দেশে নাশকতার জন্য এবং গুরুতর সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্রে ডড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই আলকায়দার একটি মডিউল ভেঙেছে পুলিশ ৷ এক যোগে তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশ, ঝাড়খন্ড ATS এবং কয়েকটি কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আল কায়েদার এই মডিউল নিয়ে এজেন্সির তদন্তে একাধিক গুরুতর তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে ৷
ঝাড়খণ্ডের কিছু যুবক, আল-কায়েদা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ঝাড়খণ্ডেই একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী গঠন করতে শুরু করেছিল ৷ মূল উদ্যোগ ছিল এমবিবিএস ডাক্তার ইশতিয়াক আহমেদের। ইশতিয়াকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলি থেকে তার সঙ্গে আন্তর্জাতিক স্তরের জঙ্গি যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের ৷
জমি কেলেঙ্কারির সঙ্গেও যুক্ত ধৃত আল কায়েদা জঙ্গি ইশতিয়াক ! তদন্তে ইডি
এটিএস সূত্রে খবর, ডাক্তার ইশতিয়াক আহমেদই প্রথমে রাঁচির চানহো থানা এলাকার বাসিন্দা মাদ্রাসা শিক্ষক মুফতি রহমতুল্লাহ মাঝহিরির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ৷ তাহরিরের সময় যুবকদের সেই সংগঠনে যোগ দিতে বলেছিলেন বলে অভিযোগ ইশতিয়াকের বিরুদ্ধে। পরে মুফতি রহমতুল্লাহ এই কাজটিকেই খুব ভালোভাবে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে বলে দাবি। সম্ভবত এই কারণেই আল-কায়েদার ঝাড়খণ্ড মডিউলে ধরা পড়া বেশিরভাগ সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী রাঁচির চানহোর বাসিন্দা ৷ এমনকী তারা সকলেই গরিব শ্রেণীর বলেও দাবি করা হচ্ছে।
আল কায়েদা সংক্রান্ত মামলায় এই পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গতকাল 12 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, এরা সকলেই ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। গ্রেফতার হওয়া সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের মধ্যে কেউ গাড়ির নম্বর প্লেট বসানোর কাজ করত, কেউ বা আবার গাড়ি মেরামতির কাজ করত ৷ অন্যদিকে, ইশতিয়াক আহমেদ মূলত ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের বাসিন্দা। সে রাঁচির একটি হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগে কাজ করত। এছাড়া হাজারিবাগে তার নিজস্ব ক্লিনিকও রয়েছে।
ঝাড়খণ্ড এটিএসের সহায়তায় দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল রাঁচির চানহো থানা এলাকার বালসোকরার বাসিন্দা রিজওয়ান বাবরকেও গ্রেফতার করেছে। অন্য আরও একজন র হাতে ধরা পড়া মনতিউর রহমান কাপড়ের দোকান চালাতেন। তথ্য অনুযায়ী, তিনি প্রায়ই তাহরিরের জন্য যেতেন। এ সময় আলতাফ আনসারির সংস্পর্শে আসেন লোহারদাগা কর্মরত অটো চালক। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত আল কায়েদার ঝাড়খণ্ড মডিউলের সঙ্গে যুক্ত 12 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই ঝাড়খণ্ডের। রাঁচির চানহো এলাকায় বসবাসকারী সন্দেহভাজনদের সর্বাধিক গ্রেফতার করা হয়েছে।