ETV Bharat / bharat

গ্রাম পেরিয়ে আতঙ্ক এবার শহরেও ! আচমকা লাফে বালকের ঘাড় কামড়ে ধরল নেকড়ে - Wolf Attack - WOLF ATTACK

Bahraich Wolf Attack: বাহরাইচের গ্রামে আক্রমণ কমাতে বন বিভাগের তল্লাশি বাড়তেই শহরে ঢুকে পড়ছে মানুষখেকো নেকড়ের দল ৷ এবার শহর এলাকায় নেকড়ে হামলার মুখে পড়ল 10 বছরের বালক ৷ জানুন মৃত্যুমুখ থেকে ফেরার সেই রাতের ঘটনা ৷

Wolf Attack
ঘাড় কামড়ে ধরল নেকড়ে (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 6, 2024, 4:10 PM IST

বাহরাইচ (উত্তরপ্রদেশ), 6 সেপ্টেম্বর: যতদিন যাচ্ছে বাহরাইচে নেকড়ের হামলা যেন বাড়ছে ৷ প্রতিদিনই সামনে আসছে হামলার ঘটনা ৷ বৃহস্পতিবার রাতে বাহরাইচ শহরের কোতোয়ালি এলাকায় নেকড়ের হামলায় আহত হল এক দশ বছরের বালক ৷ তার চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন ছুটে এলে নেকড়েটি পালিয়ে যায় ৷ বালকের ঘাড় ও মুখে কামড়ের দাগ পাওয়া গিয়েছে ৷

তার বোনের বক্তব্য, বাড়ির বাইরে যে নেকড়ে এসেছিল তাকে কুকুর ভেবে বকা দিয়েছিল ভাই । এতে নেকড়েটি তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে । খবর পেয়ে বন দফতরের সঙ্গে পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছয় । আহত বালককে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।

মাহসি তহসিল এলাকায় বহু দিন ধরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষখেকো নেকড়ের দল ৷ বন বিভাগ সক্রিয় হওয়ার পর নেকড়েরা এখন শহরের দিকে যেতে শুরু করেছে । দেহাত কোতোয়ালি এলাকার গোলভার মৌজা যাদবপুর গ্রামের বাসিন্দা মকুলাল যাদবের 10 বছরের ছেলে সঙ্গম লাল বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে । সেই সময় বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা নেকড়েটি হামলা চালায় । চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছলে নেকড়েটি পালিয়ে যায় ।

বালকের মুখে ও গলায় আঘাত লেগেছে । পরিবার তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে । আহত বালকের মা জনক দুলারি জানান, ছেলে উঠোনে খাটের ওপর শুয়ে ছিল । মেয়ে রান্না করছিল । সেই সময় নেকড়েটি তাকে আক্রমণ করে । আহত বালকের বড়মা ফুলমতি জানান, তিনি একটি বড় নেকড়ে দেখেছেন । দেখতে ছিল লাল ও কালো মেশানো ।

আহত বালকের বোন লুইসার কথায়, আমার অন্য বোন ও ভাই খাটের ওপর শুয়ে ছিল । এর মধ্যে আমাদের রাতে খাবার খেতে ডাকা হয় ৷ বোন পিছনে ছিল । ভাই এগিয়ে ছিল । এদিকে নেকড়েটা তখন দরজায় দাঁড়িয়েছিল । ভাই এটা কুকুর ভেবে বকা দিতেই নেকড়ে লাফিয়ে উঠে তেড়ে আসে । ভাইয়ের মুখে ও ঘাড়ে কামড়ে দিয়েছে । চিৎকার শুনে লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে দৌড়ে গেলে নেকড়েটি পালিয়ে যায় । সঙ্গে সঙ্গে ওকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।

হামলার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ও বন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লোকজনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন । শহরের অদূরে হামলার কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে । সারারাত জেগে থাকে মানুষ । এ পর্যন্ত জেলায় নেকড়ের আক্রমণে 10 জন প্রাণ হারিয়েছেন । তাদের মধ্যে 9 জন ছিল শিশু । আহত হয়েছেন 40 জনেরও বেশি ৷ লোকজন গ্রামে গ্রামে নজরদারি করছে ।

ইটিভি ভারতের সঙ্গে কথোপকথনে আনিমুল্লা খান বলেন, নেকড়ে এর আগে গ্রামে হামলা করেনি । অন্যান্য গ্রামে ধরপাকড়ের তল্লাশি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেকড়েরা এখন এখানে আসতে শুরু করেছে । সাবেক প্রধান আল্লাদীন জানান, এখন রাতেও এখানে পাহারা দেওয়া শুরু হয়েছে ।

এই বিষয়ে জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ শিবম মিশ্র জানান, বালকের মুখে পশুর কামড়ের চিহ্ন রয়েছে । ক্ষত থেকে রক্ত ​​ঝরছিল । সেলাই করা হয়েছে । বালকটি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছে । এখন তার অবস্থা স্বাভাবিক । চিকিৎসা চলছে ।

বাহরাইচ (উত্তরপ্রদেশ), 6 সেপ্টেম্বর: যতদিন যাচ্ছে বাহরাইচে নেকড়ের হামলা যেন বাড়ছে ৷ প্রতিদিনই সামনে আসছে হামলার ঘটনা ৷ বৃহস্পতিবার রাতে বাহরাইচ শহরের কোতোয়ালি এলাকায় নেকড়ের হামলায় আহত হল এক দশ বছরের বালক ৷ তার চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন ছুটে এলে নেকড়েটি পালিয়ে যায় ৷ বালকের ঘাড় ও মুখে কামড়ের দাগ পাওয়া গিয়েছে ৷

তার বোনের বক্তব্য, বাড়ির বাইরে যে নেকড়ে এসেছিল তাকে কুকুর ভেবে বকা দিয়েছিল ভাই । এতে নেকড়েটি তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে । খবর পেয়ে বন দফতরের সঙ্গে পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছয় । আহত বালককে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।

মাহসি তহসিল এলাকায় বহু দিন ধরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষখেকো নেকড়ের দল ৷ বন বিভাগ সক্রিয় হওয়ার পর নেকড়েরা এখন শহরের দিকে যেতে শুরু করেছে । দেহাত কোতোয়ালি এলাকার গোলভার মৌজা যাদবপুর গ্রামের বাসিন্দা মকুলাল যাদবের 10 বছরের ছেলে সঙ্গম লাল বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে । সেই সময় বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা নেকড়েটি হামলা চালায় । চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছলে নেকড়েটি পালিয়ে যায় ।

বালকের মুখে ও গলায় আঘাত লেগেছে । পরিবার তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে । আহত বালকের মা জনক দুলারি জানান, ছেলে উঠোনে খাটের ওপর শুয়ে ছিল । মেয়ে রান্না করছিল । সেই সময় নেকড়েটি তাকে আক্রমণ করে । আহত বালকের বড়মা ফুলমতি জানান, তিনি একটি বড় নেকড়ে দেখেছেন । দেখতে ছিল লাল ও কালো মেশানো ।

আহত বালকের বোন লুইসার কথায়, আমার অন্য বোন ও ভাই খাটের ওপর শুয়ে ছিল । এর মধ্যে আমাদের রাতে খাবার খেতে ডাকা হয় ৷ বোন পিছনে ছিল । ভাই এগিয়ে ছিল । এদিকে নেকড়েটা তখন দরজায় দাঁড়িয়েছিল । ভাই এটা কুকুর ভেবে বকা দিতেই নেকড়ে লাফিয়ে উঠে তেড়ে আসে । ভাইয়ের মুখে ও ঘাড়ে কামড়ে দিয়েছে । চিৎকার শুনে লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে দৌড়ে গেলে নেকড়েটি পালিয়ে যায় । সঙ্গে সঙ্গে ওকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।

হামলার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ও বন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লোকজনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন । শহরের অদূরে হামলার কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে । সারারাত জেগে থাকে মানুষ । এ পর্যন্ত জেলায় নেকড়ের আক্রমণে 10 জন প্রাণ হারিয়েছেন । তাদের মধ্যে 9 জন ছিল শিশু । আহত হয়েছেন 40 জনেরও বেশি ৷ লোকজন গ্রামে গ্রামে নজরদারি করছে ।

ইটিভি ভারতের সঙ্গে কথোপকথনে আনিমুল্লা খান বলেন, নেকড়ে এর আগে গ্রামে হামলা করেনি । অন্যান্য গ্রামে ধরপাকড়ের তল্লাশি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেকড়েরা এখন এখানে আসতে শুরু করেছে । সাবেক প্রধান আল্লাদীন জানান, এখন রাতেও এখানে পাহারা দেওয়া শুরু হয়েছে ।

এই বিষয়ে জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ শিবম মিশ্র জানান, বালকের মুখে পশুর কামড়ের চিহ্ন রয়েছে । ক্ষত থেকে রক্ত ​​ঝরছিল । সেলাই করা হয়েছে । বালকটি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছে । এখন তার অবস্থা স্বাভাবিক । চিকিৎসা চলছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.