মানচেরিয়াল (তেলাঙ্গানা), 10 জুলাই: একটি ঘরে দু’টি শ্রেণির পঠনপাঠন চলছে, এমন ঘটনা প্রায় উঠে আসে ৷ কিন্তু, একটি ঘরের মধ্যে একসঙ্গে দু’টি স্কুলের ক্লাস চলছে, এমন ঘটনা বলতে গেলে প্রথমবার ৷ তাও আবার পালা করে বিভিন্ন শ্রেণির পড়াশোনা চলে ৷ ডিজিটাল ক্লাসরুমের যুগে এমনও পরিস্থিতির শিকার তেলাঙ্গানার মানচেরিয়াল জেলার গাট্টুপল্লি এবং কেসলাপুর গ্রাম ৷ জানা গিয়েছে, গাট্টুপল্লি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঠনপাঠন চলছে কেসলাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৷
কিন্তু, কেন ? প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে কেসলাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভেঙে পড়েছে ৷ তারপর থেকেই একই পঞ্চায়েত এলাকায় অবস্থিত গাট্টুপল্লি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র শ্রেণিকক্ষে পঠনপাঠন শুরু হয় কেসলাপুর স্কুলের ৷ জানা গিয়েছে, গাট্টুপল্লি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি মাত্র ক্লাসরুম রয়েছে ৷ সেই একটি ঘরে একসঙ্গে দু’টি স্কুলের দু’টি ক্লাস পাশাপাশি চলে ৷ প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হয় দুই স্কুলে ৷ ফলে যখন দু’টি ক্লাস একসঙ্গে চলে ৷ সেই সময় বাকি 8টি শ্রেণির পড়ুয়ারা বাইরে অপেক্ষা করে ৷
মোট 70 জন পড়ুয়া রয়েছে দুই স্কুল মিলিয়ে ৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কেসলাপুর স্কুল ভেঙে পড়লেও কোনও ব্যবস্থা কেন নিচ্ছে না প্রশাসন ? জানা গিয়েছে, গাট্টুপল্লি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই কেসলাপুর স্কুল তৈরি করা হচ্ছে ৷ সরকার এর জন্য মাত্র 12 লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছে ৷ সেই মতো, ঠিকাদার পিলার তোলার কাজ শুরু করে দিয়েছিল ৷ অভিযোগ, অনেকটা কাজ হয়ে গেলেও টাকা পাননি ঠিকাদার ৷ তারপরেই কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি ৷
যদিও, ঠিকাদারকে টাকা না-দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এমইও মহেশ্বর রেড্ডি ৷ তাঁর দাবি, স্কুল বিল্ডিং তৈরির কাজ বন্ধ হওয়ার পিছনে রয়েছে টেকনিক্যাল কারণ ৷ যে জমিতে স্কুলটি তৈরি হয়েছে, তার মালিক কোনও টাকার পাননি ৷ এমনকি সরকারি সাইটে স্কুলের কোনও নির্দিষ্ট প্ল্যান, ব্লু প্রিন্ট ও পরিকল্পনা রেজিস্ট্রার করা হয়নি ৷ এনিয়েও প্রশ্ন উঠছে ৷ সরকারি টাকা তৈরি হওয়া স্কুলের কোনও পরিকল্পনা নেই কেন ? পরিকল্পনা ছাড়া কীভাবে 12 লক্ষ টাকা স্কুল তৈরির জন্য অনুমোদন হল ? যার কোনও জবাব প্রশাসনের তরফে মেলেনি ৷