হায়দরাবাদ: আকুপাংচার হল ব্যথা ও রোগ নিরাময় করার জন্য ব্যবহৃত প্রাচীন চৈনিক চিকিৎসাপদ্ধতি ৷ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সরু লম্বা সূচ ফুটিয়ে চিকিৎসা করা হয় ৷ বহুপূর্বে চিনা চিকিৎসাবিদ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল আকুপাংচার। প্রথমে একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে তা আবিষ্কৃত হলেও পরে তা বিজ্ঞানের স্বীকৃতি পায়নি ৷ প্রায়শই একটি বিকল্প বা রহস্যময় থেরাপি হিসাবে উল্লেখ করা হয়, আকুপাংচার শুধুমাত্র কয়েকজনের দ্বারা চাওয়া হয় কারণ এটি চিকিত্সার একটি চরম প্রকৃতি হিসাবে বিবেচিত হয় । যাইহোক, মহারাষ্ট্র সরকার আকুপাংচারকে আনুষ্ঠানিক করার প্রক্রিয়াটি আগে শুরু হয়েছিল, এবং এটি শুধুমাত্র 10 ডিসেম্বর, 2015-এ বাস্তবায়িত হয়েছিল (World Acupuncture Day)।
আকুপাংচারের উপকারিতা
যাদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে সমস্যা হয় তাদের জন্য আকুপাঙ্কচার বলা হয় আপনার চিন্তার প্রক্রিয়াকে চাঙ্গা করে এবং আপনার মন খুলে দেয় । আকুপাংচারের একটি সুবিধা হল যে এটি আপনাকে তাৎক্ষণিকভাবে চিন্তা করা বন্ধ করতে সাহায্য করে । অনেকেই আছেন, যারা প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত পরিশ্রম করে থাকেন, যে চাপ তাদের মুখে প্রতিফলিত হয় এবং তারা ভালোভাবে কাজ করতে পারে না । এইভাবে, বিকল্প থেরাপির এই ফর্মটি নিশ্চিত করে যে আপনি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাবেন ৷
আপনার দৈনন্দিন কাজ আপনার শক্তি নষ্ট করতে পারে । এটি ধরে রাখতে, আকুপাংচার আপনাকে আপনার জীবনে ইতিবাচক থাকতে সাহায্য করে ।
ইতিহাস
আকুপাংচারের উদ্ভব হয় প্রাচীন চিনে, বিখ্যাত ইয়েলো-নদ উপত্যকার কাছে, খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে। প্রাথমিক দিকে একধরনের সংস্কার থেকে এই আকুপাঙ্কচারের কৌশলগুলি মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হত । পরে ব্যাপারটির কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করে তা পরিণত হয় বিশেষ এক বিদ্যায় । আরও গবেষণার পর আকুপাংচারের বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও প্রমাণিত হয় । জো রাজবংশের শাসনামলে চিনে এই আকুপাংচার ব্যাপক প্রসার লাভ করে । সংস্কারধর্মী একটি বিদ্যা সে সময় পরিণত হয় চিকিৎসার অন্যতম মূল মাধ্যমে । তবে সে সময়ও আকুপাংচার নিয়ে গবেষণা পরিপূর্ণ রূপ লাভ করতে পারেনি ৷
আরও পড়ুন: আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস, ইতিহাস থেকে গুরুত্ব জেনে নিন বিশদে