ETV Bharat / sukhibhava

Water Can Help to Reduce Anxiety: উদ্বেগজনিত মানসিক রোগে উপকারী হতে পারে জল - Water Can Reduce The Risk of Anxiety

উদ্বেগের সমস্যা এবং অন্য়ান্য় মানসিক রোগ কমিয়ে দিতে পারে জল ৷ নির্দিষ্ট পরিমাণ জল খেলেই এই সমস্যাকে জয় করতে পারবেন আপনি (Water Can Reduce The Risk of Anxiety) ৷

Water Can Help to Reduce Anxiety
উদ্বেগ জনিত মানসিক রোগে উপকারী হতে পারে জল
author img

By

Published : Feb 28, 2022, 4:03 PM IST

হায়দরাবাদ, 28 ফেব্রুয়ারি: বেশিরভাগ অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্য়েই একটি সাধারণ লক্ষণ দেখা গিয়েছে ৷ যা হল, জীবনের একপর্যায়ে এসে প্রচণ্ড মানসিক চাপে ভুগতে থাকা ৷ প্রায় 3.2 মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্য়ে উদ্বেগ সংক্রান্ত এই মানসিক রোগের প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে ৷ বিশেষত সাম্প্রতিককালে লক্ষণগুলি আরও প্রবল হয়ে উঠেছে 15-24 বছর বয়সিদের মধ্য়ে ৷ পুষ্টি মনোরোগবিদ্যায় দেখা গিয়েছে, সাধারণত খাবার এবং পানীয়ের সঙ্গেও মানসিক স্বাস্থ্যের যোগ রয়েছে ৷ মানবদেহের 60-80 শতাংশ জল দিয়ে গঠিত হওয়া সত্ত্বেও এর পুষ্টিগুণকে আমরা উপেক্ষা করে থাকি ৷ ফেডারেল হেলথ কর্তৃপক্ষের একটি সাম্প্রতিক টুইটে জল উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করতে পারে এই তথ্য সামনে আসার পর থেকেই তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে ৷ প্রমাণও মিলেছে যে জল এবং হাইড্রেশন উদ্বেগের সমস্যাকে কমাতে পারে (Drinking Water Play an Important Role in Preventing Anxiety) ৷

যেমন, একটি বাইক চালানোর জন্য় সেটিতে সময়মত তেল ভরার দরকার হয় এবং তেল কমে এলে আপনি সেই সংক্রান্ত ইঙ্গিত স্ক্রিনে দেখতে পান ৷ আমাদের শরীরও ঠিক সেভাবেই প্রোগ্রামিং করা হয়েছে ৷ কখন তাকে রিহাইড্রেট করা দরকার, নিজেই সেই সংক্রান্ত ইঙ্গিত শরীর দিতে পারে ৷ বেশ কয়েক বছর আগে গবেষকরা একটি পর্যালোচনা করেছিলেন যাতে দেখা গিয়েছিল, বিভিন্ন উপায়ে হাইড্রেশন স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে । বিশেষত বিভিন্ন নেতিবাচক অনুভূতি যেমন রাগ, শত্রুতা, বিভ্রান্তি, ক্লান্তি, উত্তেজনার প্রভৃতির সঙ্গে ডিহাইড্রেশন সরাসরি জড়িত ৷ সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় এও দেখা গিয়েছে যে, সামান্যতম ডিহাইড্রেশনও উদ্বেগ সংক্রান্ত মানসিক রোগের কারণ হতে পারে ৷

দেখা গিয়েছে, যাঁরা প্রচুর জল খান তাঁরা জল খাওয়া কমিয়ে দিলেই বেশি মানসিক ব্যধির শিকার হয়েছেন ৷ আবার জল খাওয়া স্বাভাবিক হলেই তাঁরা আগের মত বেশি শান্ত এবং সতেজ অনুভব করেছেন ৷ অন্য আরেকটি গবেষণা বলছে, যাঁরা প্রতিদিন পাঁচ কাপ বা তার বেশি জল পান করেন তাঁদের ক্ষেত্রে বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগের ঝুঁকি কম থাকে ৷ তুলনায় প্রতিদিন দুই কাপের কম পান করলে এই ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়ে যায় । সম্প্রতি গবেষকরা এও দেখেছেন যে, ইলেক্ট্রোলাইটযুক্ত জল সাধারণ জলের চেয়ে উদ্বেগকে বেশি প্রতিরোধ করতে পারে, তবে তাঁদের মতে এটি প্ল্যাসিবো প্রভাবও হতে পারে ৷, কারণ এক্ষেত্রে যাঁদের এই জল দেওয়া হয়েছিল তাঁরা জানতেন যে তাঁদের ইলেক্ট্রোলাইটযুক্ত জল দেওয়া হচ্ছে ৷ ডিহাইড্রেশন এবং উদ্বেগের মধ্যে যোগসূত্র শিশুদের মধ্যেও পরিলক্ষিত হয় ৷ যেসব শিশু ডিহাইড্রেশনে ভুগছে, দেখা গিয়েছে তাদের রাতে ঘুম ভাল হয় না ।

আরও পড়ুন : নিরামিশ না আমিশ কোন খাবারে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি, কী বলছে গবেষণা?

মস্তিকের ওপর জলের প্রভাব :

প্রায় প্রতিটি শারীরিক কাজ জলের উপর নির্ভর করে । কারণ মস্তিষ্কের 75% টিস্যুই জল দিয়ে গঠিত ৷ ডিহাইড্রেশন মস্তিকে শক্তি উৎপাদন কমিয়ে দেয় ৷ মস্তিকের গঠনকে পরিবর্তন করে দিতে পারে যার জেরে মস্তিক ধীর হয়ে যায় ৷ জলের মাত্রা মারাত্মকভাবে কমে গেলে মস্তিকের কোষগুলি সঠিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয় তখন আমাদের মধ্য়ে ক্লান্তির লক্ষণ ধরা দেয় ৷ সেরোটোনিন একটি নিউরোট্রান্সমিটার (মস্তিষ্কের কোষগুলির মধ্যে একটি রাসায়নিক বার্তাবাহক) ৷ যা আমাদের মেজাজকে স্থিতিশীল করে এবং আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে। ডিহাইড্রেশনের সময়, মস্তিষ্কে সেরোটোনিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক পাওয়া যায় না ৷ যার জেরে বাড়তে থাকে উদ্বেগ, এমনকি জীবন নিয়েও ঝুঁকি তৈরি হয় ৷

হায়দরাবাদ, 28 ফেব্রুয়ারি: বেশিরভাগ অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্য়েই একটি সাধারণ লক্ষণ দেখা গিয়েছে ৷ যা হল, জীবনের একপর্যায়ে এসে প্রচণ্ড মানসিক চাপে ভুগতে থাকা ৷ প্রায় 3.2 মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্য়ে উদ্বেগ সংক্রান্ত এই মানসিক রোগের প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে ৷ বিশেষত সাম্প্রতিককালে লক্ষণগুলি আরও প্রবল হয়ে উঠেছে 15-24 বছর বয়সিদের মধ্য়ে ৷ পুষ্টি মনোরোগবিদ্যায় দেখা গিয়েছে, সাধারণত খাবার এবং পানীয়ের সঙ্গেও মানসিক স্বাস্থ্যের যোগ রয়েছে ৷ মানবদেহের 60-80 শতাংশ জল দিয়ে গঠিত হওয়া সত্ত্বেও এর পুষ্টিগুণকে আমরা উপেক্ষা করে থাকি ৷ ফেডারেল হেলথ কর্তৃপক্ষের একটি সাম্প্রতিক টুইটে জল উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করতে পারে এই তথ্য সামনে আসার পর থেকেই তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে ৷ প্রমাণও মিলেছে যে জল এবং হাইড্রেশন উদ্বেগের সমস্যাকে কমাতে পারে (Drinking Water Play an Important Role in Preventing Anxiety) ৷

যেমন, একটি বাইক চালানোর জন্য় সেটিতে সময়মত তেল ভরার দরকার হয় এবং তেল কমে এলে আপনি সেই সংক্রান্ত ইঙ্গিত স্ক্রিনে দেখতে পান ৷ আমাদের শরীরও ঠিক সেভাবেই প্রোগ্রামিং করা হয়েছে ৷ কখন তাকে রিহাইড্রেট করা দরকার, নিজেই সেই সংক্রান্ত ইঙ্গিত শরীর দিতে পারে ৷ বেশ কয়েক বছর আগে গবেষকরা একটি পর্যালোচনা করেছিলেন যাতে দেখা গিয়েছিল, বিভিন্ন উপায়ে হাইড্রেশন স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে । বিশেষত বিভিন্ন নেতিবাচক অনুভূতি যেমন রাগ, শত্রুতা, বিভ্রান্তি, ক্লান্তি, উত্তেজনার প্রভৃতির সঙ্গে ডিহাইড্রেশন সরাসরি জড়িত ৷ সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় এও দেখা গিয়েছে যে, সামান্যতম ডিহাইড্রেশনও উদ্বেগ সংক্রান্ত মানসিক রোগের কারণ হতে পারে ৷

দেখা গিয়েছে, যাঁরা প্রচুর জল খান তাঁরা জল খাওয়া কমিয়ে দিলেই বেশি মানসিক ব্যধির শিকার হয়েছেন ৷ আবার জল খাওয়া স্বাভাবিক হলেই তাঁরা আগের মত বেশি শান্ত এবং সতেজ অনুভব করেছেন ৷ অন্য আরেকটি গবেষণা বলছে, যাঁরা প্রতিদিন পাঁচ কাপ বা তার বেশি জল পান করেন তাঁদের ক্ষেত্রে বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগের ঝুঁকি কম থাকে ৷ তুলনায় প্রতিদিন দুই কাপের কম পান করলে এই ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়ে যায় । সম্প্রতি গবেষকরা এও দেখেছেন যে, ইলেক্ট্রোলাইটযুক্ত জল সাধারণ জলের চেয়ে উদ্বেগকে বেশি প্রতিরোধ করতে পারে, তবে তাঁদের মতে এটি প্ল্যাসিবো প্রভাবও হতে পারে ৷, কারণ এক্ষেত্রে যাঁদের এই জল দেওয়া হয়েছিল তাঁরা জানতেন যে তাঁদের ইলেক্ট্রোলাইটযুক্ত জল দেওয়া হচ্ছে ৷ ডিহাইড্রেশন এবং উদ্বেগের মধ্যে যোগসূত্র শিশুদের মধ্যেও পরিলক্ষিত হয় ৷ যেসব শিশু ডিহাইড্রেশনে ভুগছে, দেখা গিয়েছে তাদের রাতে ঘুম ভাল হয় না ।

আরও পড়ুন : নিরামিশ না আমিশ কোন খাবারে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি, কী বলছে গবেষণা?

মস্তিকের ওপর জলের প্রভাব :

প্রায় প্রতিটি শারীরিক কাজ জলের উপর নির্ভর করে । কারণ মস্তিষ্কের 75% টিস্যুই জল দিয়ে গঠিত ৷ ডিহাইড্রেশন মস্তিকে শক্তি উৎপাদন কমিয়ে দেয় ৷ মস্তিকের গঠনকে পরিবর্তন করে দিতে পারে যার জেরে মস্তিক ধীর হয়ে যায় ৷ জলের মাত্রা মারাত্মকভাবে কমে গেলে মস্তিকের কোষগুলি সঠিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয় তখন আমাদের মধ্য়ে ক্লান্তির লক্ষণ ধরা দেয় ৷ সেরোটোনিন একটি নিউরোট্রান্সমিটার (মস্তিষ্কের কোষগুলির মধ্যে একটি রাসায়নিক বার্তাবাহক) ৷ যা আমাদের মেজাজকে স্থিতিশীল করে এবং আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে। ডিহাইড্রেশনের সময়, মস্তিষ্কে সেরোটোনিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক পাওয়া যায় না ৷ যার জেরে বাড়তে থাকে উদ্বেগ, এমনকি জীবন নিয়েও ঝুঁকি তৈরি হয় ৷

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.