ETV Bharat / sukhibhava

Prevent Water Borne Diseases: বর্ষায় বাড়ে জলবাহিত রোগ, নির্মূল করতে মেনে চলুন এই উপায়...

Seven Ways to Prevent Water Borne Diseases: বর্ষাকালে বৃষ্টির নোংরা জল জমে চারদিকে। এই জমা জল থেকে বিভিন্ন পেটের রোগ ছড়ায়। পরিচ্ছন্নতার অভাবও অসুখের অন্যতম কারণ। এই সময় পোকা,মশা, মাছির উপদ্রব বাড়ে। জলবাহিত রোগগুলিও যেন মাথাচাড়া দেয় ৷ তাই জলবাহিত রোগগুলিকে নির্মূল করতে মেনে চলুন এই সাতটি উপায়...

Prevent Water Borne Diseases
জলবাহিত রোগ
author img

By

Published : Aug 21, 2023, 1:25 PM IST

হায়দরাবাদ, 20 অগস্ট: প্রতি বছর দেশের অগণিত মানুষ জলবাহিত রোগের শিকার হন। যার মোকাবিলা করা দিন দিন কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে । এর পিছনে অন্যতম কারণ হল জল দূষণ। এখন বর্ষাকাল ৷ বৃষ্টির নোংরা জল জমে চারদিকে। এই জমা জলই বিভিন্ন পেটের রোগের আঁতুড়ঘর ৷ জলবাহিত রোগের উপদ্রবও ঘটে এইসময় ৷ দূষিত জলের ব্যবহার বা সংস্পর্শ থেকে জলবাহিত বিভিন্ন রোগ শরীরে বাসা বাঁধে, যা ক্ষতিকারক ৷ এই রোগগুলি প্রায়ই পানীয় জল, খাবার তৈরি, নোংরা পরিষ্কার করা এবং অন্যান্য কাজের সময় সংক্রামিত জল ব্যবহারের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। জলবাহিত রোগের উদাহরণ হল কলেরা, আমাশয়, গিয়ার্ডিয়াসিস এবং হেপাটাইটিস এ। জলবাহিত রোগ থেকে দূরে থাকতে আপনাকে মেনে চলতে হবে এই উপায়গুলি ৷ দেখে নিন তা কী...

  • পানীয় জলের উৎসগুলিকে স্বচ্ছ রাখতে হবে

প্রথমেই দেখে নিতে হবে, পানীয় জলের উৎস পরিষ্কার কি না ! যদি কোনওরকম সন্দেহ থাকে, তাহলে জল ফুটিয়ে খাওয়া যেতে পারে। জল ফুটিয়ে খেলে অধিকাংশ ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস হয়ে যায় ৷ যে পাত্রে জল রাখা হচ্ছে, সেটি নিয়মিত পরিষ্কার করে নিতে হবে। যাতে শ্যাওলা বা এই জাতীয় কিছু না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। জলের জায়গা ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে।

  • খাওয়ার আগে নিয়মিত হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে

নিয়মিত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে কমপক্ষে 30 সেকেন্ডের জন্য সাবান এবং পরিষ্কার জল দিয়ে হাত ধুতে হবে ৷ বিশেষ করে খাওয়ার আগে এবং পরে ৷ পাশাপাশি টয়লেট ব্যবহারের পরও এই নিয়ম মেনে চলতে হবে ৷

  • ভালোভাবে স্নান করতে হবে আর তা নিয়মিত

ক্ষতিকারক জীবাণু থাকতে পারে এমন জলাশয়ে (পুকুর, ডোবা, খাল) স্নান করা থেকে বিরত থাকুন। যদি বাধ্য হয়ে সেখানে স্নান করতেই হয় তাহলে, মুখ, নাক বা চোখে যাতে জল না-লাগে সেদিকে নজর রাখুন ৷

  • খাবারের যত্ন নিন

গরম জল দিয়ে ফল, শাকসবজি এবং অন্যান্য জিনিসগুলি খুব ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন ৷ দূষণ এড়াতে পরিষ্কার জল ব্যবহার করে খাবার-দাবার রান্না করুন।

  • স্যানিটারি ব্যবস্থা বজায় রাখুন

জলবাহিত রোগগুলি রোধ করার জন্য নিয়ম করে বর্জ্যপদার্থ ফেলুন এবং স্যানিটাজেশনের দিকে গুরুত্ব দিন ৷

  • সতর্ক হন

রাসায়নিক সার, কীটনাশক বা এই জাতীয় কোনও ওষুধপত্র ব্যবহারে যাবতীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। খুব প্রয়োজন না-পড়লে রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার না-করাই ভালো।

  • আশপাশের জায়গাগুলিও পরিষ্কার রাখতে হবে

এক্ষেত্রে পানীয় জলের প্রাকৃতিক উৎসগুলি স্বচ্ছ রাখতে হবে। সবার আগে বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপরে নজর দিতে হবে। বুঝতে হবে কোন অভ্যাস বা কাজগুলি জল দূষণের পরিমাণ বাড়াতে পারে।

  • কাঁচা সবজি এবং খাবার এড়িয়ে চলুন:

বাইরে কোথাও গেলে যেখানকার জায়গায় জলদূষণের মাত্রা বেশি সেখানের রান্না না-করা খাবার, ফল ও স্যালাড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন ৷

(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)

হায়দরাবাদ, 20 অগস্ট: প্রতি বছর দেশের অগণিত মানুষ জলবাহিত রোগের শিকার হন। যার মোকাবিলা করা দিন দিন কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে । এর পিছনে অন্যতম কারণ হল জল দূষণ। এখন বর্ষাকাল ৷ বৃষ্টির নোংরা জল জমে চারদিকে। এই জমা জলই বিভিন্ন পেটের রোগের আঁতুড়ঘর ৷ জলবাহিত রোগের উপদ্রবও ঘটে এইসময় ৷ দূষিত জলের ব্যবহার বা সংস্পর্শ থেকে জলবাহিত বিভিন্ন রোগ শরীরে বাসা বাঁধে, যা ক্ষতিকারক ৷ এই রোগগুলি প্রায়ই পানীয় জল, খাবার তৈরি, নোংরা পরিষ্কার করা এবং অন্যান্য কাজের সময় সংক্রামিত জল ব্যবহারের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। জলবাহিত রোগের উদাহরণ হল কলেরা, আমাশয়, গিয়ার্ডিয়াসিস এবং হেপাটাইটিস এ। জলবাহিত রোগ থেকে দূরে থাকতে আপনাকে মেনে চলতে হবে এই উপায়গুলি ৷ দেখে নিন তা কী...

  • পানীয় জলের উৎসগুলিকে স্বচ্ছ রাখতে হবে

প্রথমেই দেখে নিতে হবে, পানীয় জলের উৎস পরিষ্কার কি না ! যদি কোনওরকম সন্দেহ থাকে, তাহলে জল ফুটিয়ে খাওয়া যেতে পারে। জল ফুটিয়ে খেলে অধিকাংশ ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস হয়ে যায় ৷ যে পাত্রে জল রাখা হচ্ছে, সেটি নিয়মিত পরিষ্কার করে নিতে হবে। যাতে শ্যাওলা বা এই জাতীয় কিছু না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। জলের জায়গা ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে।

  • খাওয়ার আগে নিয়মিত হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে

নিয়মিত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে কমপক্ষে 30 সেকেন্ডের জন্য সাবান এবং পরিষ্কার জল দিয়ে হাত ধুতে হবে ৷ বিশেষ করে খাওয়ার আগে এবং পরে ৷ পাশাপাশি টয়লেট ব্যবহারের পরও এই নিয়ম মেনে চলতে হবে ৷

  • ভালোভাবে স্নান করতে হবে আর তা নিয়মিত

ক্ষতিকারক জীবাণু থাকতে পারে এমন জলাশয়ে (পুকুর, ডোবা, খাল) স্নান করা থেকে বিরত থাকুন। যদি বাধ্য হয়ে সেখানে স্নান করতেই হয় তাহলে, মুখ, নাক বা চোখে যাতে জল না-লাগে সেদিকে নজর রাখুন ৷

  • খাবারের যত্ন নিন

গরম জল দিয়ে ফল, শাকসবজি এবং অন্যান্য জিনিসগুলি খুব ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন ৷ দূষণ এড়াতে পরিষ্কার জল ব্যবহার করে খাবার-দাবার রান্না করুন।

  • স্যানিটারি ব্যবস্থা বজায় রাখুন

জলবাহিত রোগগুলি রোধ করার জন্য নিয়ম করে বর্জ্যপদার্থ ফেলুন এবং স্যানিটাজেশনের দিকে গুরুত্ব দিন ৷

  • সতর্ক হন

রাসায়নিক সার, কীটনাশক বা এই জাতীয় কোনও ওষুধপত্র ব্যবহারে যাবতীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। খুব প্রয়োজন না-পড়লে রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার না-করাই ভালো।

  • আশপাশের জায়গাগুলিও পরিষ্কার রাখতে হবে

এক্ষেত্রে পানীয় জলের প্রাকৃতিক উৎসগুলি স্বচ্ছ রাখতে হবে। সবার আগে বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপরে নজর দিতে হবে। বুঝতে হবে কোন অভ্যাস বা কাজগুলি জল দূষণের পরিমাণ বাড়াতে পারে।

  • কাঁচা সবজি এবং খাবার এড়িয়ে চলুন:

বাইরে কোথাও গেলে যেখানকার জায়গায় জলদূষণের মাত্রা বেশি সেখানের রান্না না-করা খাবার, ফল ও স্যালাড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন ৷

(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.