হায়দরাবাদ: ত্বককে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি গ্রীষ্মে ত্বকের যত্নের রুটিনও প্রয়োজন । আপনি ত্বকে যা ব্যবহার করছেন তা নিরাপদ কি না, সে সম্পর্কেও সতর্ক হওয়া উচিত । সেই কারণেই সবসময় প্রাকৃতিক পণ্যের উপর নির্ভর করার পরামর্শ দেওয়া হয় যেগুলি বাজেট বান্ধব এবং আমাদের বাড়িতে সহজেই পাওয়া যায় ।
গ্রীষ্মকালীন ত্বকের যত্নের জন্য এমনই একটি প্রাকৃতিক উপাদান হল দই ৷ যা এই ঋতুতে প্রতিটি বাড়িতে সহজেই পাওয়া যায় । এটি মানুষের একটি প্রিয় দুগ্ধজাত পণ্য যা এর পুষ্টি উপাদানের জন্য পরিচিত । বিশেষ করে গ্রীষ্মের মরশুমে খাদ্যতালিকায় দই অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয় । একই সঙ্গে এটি ত্বকের জন্যও অনেক উপকারী । জেনে নিন কীভাবে আপনি আপনার ত্বকের যত্নের রুটিনে দই অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন ।
গরমে ত্বকের যত্নে কীভাবে দই ব্যবহার করবেন ?
1) দই ফেস মাস্ক
এক চামচ সাধারণ দইয়ে এক চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান । এটি মুখে 10 থেকে 15 মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং তারপরে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । এই প্রাকৃতিক মাস্কটি ত্বককে হাইড্রেট করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করবে ।
2) দই এবং ওটমিল বডি স্ক্রাব
সাধারণ দইয়ে ওটমিল মেশান এবং স্নানের সময় এক্সফোলিয়েশনের জন্য এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন । এটি ব্যবহার করার পরে ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল অনুভব করবেন কারণ এই স্ক্রাবের সাহায্যে ত্বকের মৃত কোষগুলি সঠিকভাবে অপসারণ করা হবে ।
আরও পড়ুন: দই চুলের জন্য খুবই উপকারী ! এই উপায়ে তৈরি করুন হেয়ার প্যাক
3) দই এবং শশা আই মাস্ক
একটি শশা গ্রেট করে তাতে এক টেবিল চামচ সাধারণ দই মিশিয়ে নিন এবং তারপর এই মিশ্রণটি আপনার চোখের নীচের অংশে লাগান । এটি 10 থেকে 15 মিনিটের জন্য রেখে দিন । এটি ফোলাভাব এবং ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করবে ।
4) দই এবং লেবুর রস টোনার
এক চামচ দইয়ে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে তুলোর প্যাডের সাহায্যে ব্যবহার করুন । এই টোনার ত্বকের পিএইচ লেভেল বজায় রাখবে এবং তৈলাক্ততা কমাতে সাহায্য করবে ।
5) দই এবং অ্যালোভেরা
দই এবং অ্যালোভেরা জেলের মিশ্রণ আপনাকে রোদে পোড়া থেকে মুক্তি দেবে এবং ত্বককে প্রশমিত করতে সাহায্য করবে । যদিও দই বেশিরভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ তবে কিছু মানুষ আছে যাদের দুগ্ধজাত দ্রব্য থেকে অ্যালার্জি রয়েছে । যদি তাদের একজন হয়ে থাকেন তাহলে আপনার দই থেকে দূরে থাকা উচিত ।
আরও পড়ুন: দইয়ের সঙ্গে এই জিনিসগুলি কখনওই খাবেন না
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)