মায়ো ক্লিনিকের গবেষণার ফলে এবার ফের কোভিড নিয়ে সামনে এল একটি চাঞ্চল্য়কর তথ্য ৷ গবেষকরা বলছেন, যে সমস্ত মানুষ ইলেকট্রিক সিগারেট ব্যবহার করেন বা ভেপিং করেন, তাঁদের দেহে সাধারণ মানুষের তুলনায় করোনার উপসর্গগুলি আরও অনেক ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে ৷
ভেপিং কিভাবে কোভিডের উপসর্গগুলিকে আরও অনেকটা বাড়িয়ে দেয়, এই সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে 'প্রাইমারি কেয়ার অ্যান্ড কমিউনিটি হেলথ' নামক একটি জার্নালে ৷ সেখানে দেখা গিয়েছে, কোভিডের বিভিন্ন উপসর্গ যেমন, মাথা যন্ত্রণা, বুকে ব্যাথা, পেশিতে টান ধরা, শ্বাসকষ্ট, বমি, ডাইরিয়া প্রভৃতি আরও অনেক জোরালো হয়ে উঠছে তাঁদের শরীরে যাঁরা ভেপিং করেন অথবা ধূমপান করেন ৷ যেসমস্ত মানুষ ভেপিং অথবা স্মোকিং করেন, তাঁরা কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর নন স্মোকারদের তুলনায় অনেক বেশি শ্বাসকষ্টে ভুগেছেন ৷ এমনটাই জানাচ্ছে গবেষণা ৷
মায়ো ক্লিনিকের গবেষক ডেভিড ম্যাকফাডেন বলেন, "এই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল যে সমস্ত মানুষ ভেপিং করেন তাঁদের মধ্যে মাথা যন্ত্রণা, বুকে ব্যাথা, পেশিতে টান ধরা, শ্বাসকষ্ট, বমি, ডাইরিয়া, স্বাদ এবং গন্ধ না পাওয়া প্রভৃতি করোনার বিভিন্ন উপসর্গগুলি সাধারণের তুলনায় কতখানি জোরালো তাঁর একটা তুলনা করা ৷ " এই বিশেষ দলটি প্রায় 280 জন করোনা আক্রান্ত ভেপারের সঙ্গে কথা বলেছেন ৷ আবার একইসঙ্গে একই বয়সের 1445 জন সাধারণ মানুষেরও ইন্টারভিউ নিয়েছেন তাঁরা ৷ বিশেষজ্ঞ দলটির দাবি, ভেপারদের মধ্যে একইসঙ্গে কোভিডের সমস্ত উপসর্গগুলির খোঁজ মিলেছে ৷
গত এক দশকে বিশেষত তরুণ প্রজন্ম ভীষণভাবে আকৃষ্ট হয়েছে ই সিগারেট বা ভেপিংয়ের প্রতি ৷ শরীরের জন্য এটি ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে কিনা সেই সংক্রান্ত কোনও সঠিক তথ্য় এখনও সামনে আসেনি ৷ মায়ো ক্লিনিকের পালমোনোলজিস্ট তথা ক্রিটিক্য়াল কেয়ার বিশেষজ্ঞ রবার্ট ভাসালো বলেন, "এ সংক্রান্ত অনেক গবেষণা রয়েছে যেখানে দেখা গিয়েছে, ই-সিগারেট ফুসফুসের প্রদাহ এবং ব্য়বহারকারীদের ফুসফুসের বড় ধরণের ক্ষতির কারণ হতে পারে ৷ "
আরও পড়ুন : নিয়মিত মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয় করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি, বলছে গবেষণা
তিনি আরও বলেন, "ই সিগারেট ব্য়বহার করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় কিনা তার জন্য় আমরা এই গবেষণা করিনি ৷ বরং আমাদের গবেষণা এটাই দেখায় যে যাঁরা ভেপিং করেন, তাঁদের শরীরে করোনার উপসর্গগুলি নন-ভেপারদের তুলনায় আরও অনেক বেশি জোরালো হয়ে দেখা দিচ্ছে ৷" ভাসালোর মতে, এই মহামারী চলাকালীন ই-সিগারেটের ব্যবহার বন্ধ করাই শরীরের পক্ষে ভাল ৷