ETV Bharat / sukhibhava

টিকাকরণের পর সংক্রমণ ও রোগ ছড়িয়ে পড়া

এতদিনে এটা বোঝা গেছে যে কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড – দুটি ভ্যাকসিনই কোভিড-19কে আটকাতে বিশেষ করে গুরুতর অসুস্থতা এবং মৃত্যু রুখতে সক্ষম । কিন্তু কোভিডের অন্যান্য ভ্যারিয়্যান্টের উপর তা কতটা কার্যকর সেব্যাপারে আমরা এখনও জানছি ।

Transmission and disease post vaccination
Transmission and disease post vaccination
author img

By

Published : Apr 7, 2021, 5:29 PM IST

এনিয়ে আরও জানতে ইটিভি ভারত সুখীভব কথা বলেছিল ফার্মা স্ট্র্যাটেজিক কনসালটেন্ট স্বরূপ পাণ্ডার সঙ্গে ।

দেশজুড়ে করোনা টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়েছিল 16 জানুয়ারি । তখন স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা পেতে শুরু করেন এবং তারপর 2 ফেব্রুয়ারি থেকে সামনের সারির কোভিড যোদ্ধাদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়। বিশ্বের সবথেকে বড় টিকাকরণ অভিযানের দ্বিতীয় দফা শুরু হয় 1 মার্চ থেকে ৷ যখন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি এবং 45 বছর বয়সের উপরে কোমর্বিডিটি আছে এমন মানুষদেরও টিকাকরণ শুরু হয় । এখন পয়লা এপ্রিল থেকে নিয়ম আরও শিথিল করা হয়েছে, যাতে 45 বছরের ওপরের সবাই ভ্যাকসিন পান ।

এতদিনে এটা বোঝা গেছে যে কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড – দুটি ভ্যাকসিনই কোভিড-19কে আটকাতে বিশেষ করে গুরুতর অসুস্থতা এবং মৃত্যু রুখতে সক্ষম । কিন্তু কোভিডের অন্যান্য ভ্যারিয়্যান্টের উপর তা কতটা কার্যকর সেব্যাপারে আমরা এখনও জানছি । প্রথমদিকের তথ্য বলছে, কয়েকটি ভ্যারিয়্যান্টের বিরুদ্ধে কাজ করলেও বাকিদের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কম কার্যকর । তাই ভ্যাকসিন নেওয়ার অর্থ এই নয় যে আমরা সমস্ত বিধিনিষেধ উড়িয়ে অন্যদেরও বিপদে ফেলব । এটা আরও জরুরি কারণ সংক্রমণ ও রোগ ছড়িয়ে পড়ার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কতদূর কার্যকর এবং কতদিন কার্যকর তা এখনও স্পষ্ট নয় । ভ্যাকসিন নেওয়ার অর্থ আপনি আপনার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে আনলেন কিন্তু তার পরেও আপনার আক্রান্ত হওয়ার এবং অন্যদের মধ্যে অসুখ ছড়িয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় । অনেকেই মনে করছেন যে ভ্যাকসিন নেওয়া মানেই যেন মাস্কবিহীন পৃথিবীর দরজা খুলে গেল । এটা একেবারেই সত্যি নয় এবং সম্ভবত এটাই একজন ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তির পক্ষে সবথেকে বড় ভুল ।

আরও পড়ুন : প্রযুক্তি কীভাবে কোভিডের সময় রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে সাহায্য করে ?

আমরা সুরক্ষিত হতে পারি, কিন্তু এটাও সুনিশ্চিত করতে হবে, যাতে আমাদের আশেপাশের ভ্যাকসিন না নেওয়া মানুষগুলোও সুরক্ষিত থাকেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ধরুন আপনি ভ্যাকসিন নেওয়ার পর সার্স কোভ 2-এর সংস্পর্শে এলেন । এটা সত্যি যে আপনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায় । কিন্তু আপনার ইমিউন সিস্টেম পুরোপুরি ভাইরাসকে রুখতে সক্ষম নাও হতে পারে । কয়েকটি ভাইরাস টিকে গিয়ে সংখ্যায় বাড়তে পারে এবং আপনার নিঃশ্বাস, হাঁচি বা কাশির সঙ্গে বেরিয়ে আসতে পারে । কেউ বলতে পারে না যে একজনকে অসুস্থ করে তোলার পক্ষে পর্যাপ্ত ভাইরাস আপনার থেকে বেরিয়ে আসছে না । তাই ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও মাস্ক পরা এবং পরিচ্ছন্নতাবিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক ।

আমরা দেশে গোষ্ঠীস্তরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতায় যখন পৌঁছাব, অর্থাৎ যখন দেশের একটা বড় অংশ ভ্যাকসিন পেয়ে যাবে, তখনও নিজেদের বাঁচাতে মাস্ক প্রয়োজন হবে । চিকিৎসকরা এখনও বোঝার চেষ্টা করছেন যে ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষও ভাইরাস বহন করে অন্যদের সংক্রমিত করতে পারেন কিনা – তাই সতর্কতা এখনও প্রয়োজনীয় । যদি ভাইরাসের এমন কোনও রূপ সামনে আসে যা ভ্যাকসিনে রোখা সম্ভব নয় সেক্ষেত্রেও সতর্কতা বজায় রাখা প্রয়োজনীয় ।

আরও পড়ুন : প্রবীণদের মধ্যে কোভিডের পুনরায় সংক্রমণ কম হলেও রয়েছে: ল্যান্সেট

তাই ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও সাধারণ নিরাপত্তাবিধিগুলো বজায় থাকবে । অর্থাৎ ভিড় থেকে দূরে থাকতে হবে ৷ বাইরে বেরোলে ভালো মাস্ক পরতে হবে ৷ অন্যদের থেকে 6 ফুট বা তার বেশি দূরত্ব বজায় রাখতে হবে ৷ বারবার হাত ধুতে হবে এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে ।

স্বরূপ এই মুহূর্তে জাপান ও এপেক দেশগুলিতে ব্যবহৃত ডিফারেনশিয়েটেড কাস্টমার কেরিয়ার জার্নি মডেল ব্যবহার করে গ্রাহক পরিষেবা দেওয়ার প্রকল্পে যুক্ত ।

এনিয়ে আরও জানতে ইটিভি ভারত সুখীভব কথা বলেছিল ফার্মা স্ট্র্যাটেজিক কনসালটেন্ট স্বরূপ পাণ্ডার সঙ্গে ।

দেশজুড়ে করোনা টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়েছিল 16 জানুয়ারি । তখন স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা পেতে শুরু করেন এবং তারপর 2 ফেব্রুয়ারি থেকে সামনের সারির কোভিড যোদ্ধাদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়। বিশ্বের সবথেকে বড় টিকাকরণ অভিযানের দ্বিতীয় দফা শুরু হয় 1 মার্চ থেকে ৷ যখন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি এবং 45 বছর বয়সের উপরে কোমর্বিডিটি আছে এমন মানুষদেরও টিকাকরণ শুরু হয় । এখন পয়লা এপ্রিল থেকে নিয়ম আরও শিথিল করা হয়েছে, যাতে 45 বছরের ওপরের সবাই ভ্যাকসিন পান ।

এতদিনে এটা বোঝা গেছে যে কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড – দুটি ভ্যাকসিনই কোভিড-19কে আটকাতে বিশেষ করে গুরুতর অসুস্থতা এবং মৃত্যু রুখতে সক্ষম । কিন্তু কোভিডের অন্যান্য ভ্যারিয়্যান্টের উপর তা কতটা কার্যকর সেব্যাপারে আমরা এখনও জানছি । প্রথমদিকের তথ্য বলছে, কয়েকটি ভ্যারিয়্যান্টের বিরুদ্ধে কাজ করলেও বাকিদের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কম কার্যকর । তাই ভ্যাকসিন নেওয়ার অর্থ এই নয় যে আমরা সমস্ত বিধিনিষেধ উড়িয়ে অন্যদেরও বিপদে ফেলব । এটা আরও জরুরি কারণ সংক্রমণ ও রোগ ছড়িয়ে পড়ার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কতদূর কার্যকর এবং কতদিন কার্যকর তা এখনও স্পষ্ট নয় । ভ্যাকসিন নেওয়ার অর্থ আপনি আপনার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে আনলেন কিন্তু তার পরেও আপনার আক্রান্ত হওয়ার এবং অন্যদের মধ্যে অসুখ ছড়িয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় । অনেকেই মনে করছেন যে ভ্যাকসিন নেওয়া মানেই যেন মাস্কবিহীন পৃথিবীর দরজা খুলে গেল । এটা একেবারেই সত্যি নয় এবং সম্ভবত এটাই একজন ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তির পক্ষে সবথেকে বড় ভুল ।

আরও পড়ুন : প্রযুক্তি কীভাবে কোভিডের সময় রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে সাহায্য করে ?

আমরা সুরক্ষিত হতে পারি, কিন্তু এটাও সুনিশ্চিত করতে হবে, যাতে আমাদের আশেপাশের ভ্যাকসিন না নেওয়া মানুষগুলোও সুরক্ষিত থাকেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ধরুন আপনি ভ্যাকসিন নেওয়ার পর সার্স কোভ 2-এর সংস্পর্শে এলেন । এটা সত্যি যে আপনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায় । কিন্তু আপনার ইমিউন সিস্টেম পুরোপুরি ভাইরাসকে রুখতে সক্ষম নাও হতে পারে । কয়েকটি ভাইরাস টিকে গিয়ে সংখ্যায় বাড়তে পারে এবং আপনার নিঃশ্বাস, হাঁচি বা কাশির সঙ্গে বেরিয়ে আসতে পারে । কেউ বলতে পারে না যে একজনকে অসুস্থ করে তোলার পক্ষে পর্যাপ্ত ভাইরাস আপনার থেকে বেরিয়ে আসছে না । তাই ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও মাস্ক পরা এবং পরিচ্ছন্নতাবিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক ।

আমরা দেশে গোষ্ঠীস্তরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতায় যখন পৌঁছাব, অর্থাৎ যখন দেশের একটা বড় অংশ ভ্যাকসিন পেয়ে যাবে, তখনও নিজেদের বাঁচাতে মাস্ক প্রয়োজন হবে । চিকিৎসকরা এখনও বোঝার চেষ্টা করছেন যে ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষও ভাইরাস বহন করে অন্যদের সংক্রমিত করতে পারেন কিনা – তাই সতর্কতা এখনও প্রয়োজনীয় । যদি ভাইরাসের এমন কোনও রূপ সামনে আসে যা ভ্যাকসিনে রোখা সম্ভব নয় সেক্ষেত্রেও সতর্কতা বজায় রাখা প্রয়োজনীয় ।

আরও পড়ুন : প্রবীণদের মধ্যে কোভিডের পুনরায় সংক্রমণ কম হলেও রয়েছে: ল্যান্সেট

তাই ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও সাধারণ নিরাপত্তাবিধিগুলো বজায় থাকবে । অর্থাৎ ভিড় থেকে দূরে থাকতে হবে ৷ বাইরে বেরোলে ভালো মাস্ক পরতে হবে ৷ অন্যদের থেকে 6 ফুট বা তার বেশি দূরত্ব বজায় রাখতে হবে ৷ বারবার হাত ধুতে হবে এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে ।

স্বরূপ এই মুহূর্তে জাপান ও এপেক দেশগুলিতে ব্যবহৃত ডিফারেনশিয়েটেড কাস্টমার কেরিয়ার জার্নি মডেল ব্যবহার করে গ্রাহক পরিষেবা দেওয়ার প্রকল্পে যুক্ত ।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.