হায়দরাবাদ: শীতকালে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে এবং এর ফলে আমাদের অনেক ধরনের ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল রোগের শিকার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় । এর মধ্যে সর্দি, ফ্লু, অ্যালার্জি, সর্দি, কাশি সাধারণ হলেও অনেক সময় সমস্যা বেড়ে গেলে হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস পর্যন্ত হতে পারে ৷
এই রোগগুলির কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়লেও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে এই রোগগুলি পুনরাবৃত্তি হওয়ার আশঙ্কা থাকে । শুধু তাই নয়, অসতর্ক হলে মারাত্মক পরিণতির মুখে পড়তে হতে পারে । এমতাবস্থায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই আমরা তাদের থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি । জেনে নিন, শীতকালে যেসব সাধারণ রোগ হয়, যেগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয় এবং সেগুলি থেকে বাঁচার কিছু উপায় ৷
ঠান্ডা, জ্বর এবং কাশি: শীতকালে ঠান্ডা বাতাসের কারণে সর্দি, কাশি, জ্বর এবং কাশি একটি সাধারণ সমস্যা যা সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে হতে পারে ।
কানের সংক্রমণ এবং টনসিল বৃদ্ধি: কান অবরুদ্ধ বা চুলকানির সঙ্গে ব্যথা কানের সংক্রমণ ৷ যা শীতকালে একটি সাধারণ সমস্যা । গলার পিছনে ডিম্বাকৃতির টনসিলগুলি ঠান্ডার কারণে ফুলে যায় ৷ যার ফলে ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া হয় । এটি একটি ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ।
ব্রংকাইটিস: এটি ফুসফুসে এক ধরনের মারাত্মক সংক্রমণ, যা সাধারণ সর্দি থেকে শুরু হলেও অসতর্কতার কারণে তা ফুসফুসের মারাত্মক রোগে পরিণত হয় । শীতকালে হওয়া এসব রোগ শুধু আমাদের স্বাস্থ্যই নষ্ট করে না, আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল করে দেয় ।
এই উপায়ে এটি প্রতিরোধ করুন ৷
- প্রতিদিন যোগব্যায়াম, ব্যায়াম, হাঁটা এবং জগিং করুন ।
- নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন ।
- তাজা মরশুমি ফল নিয়মিত খান ।
- সবুজ শাক-সবজি খেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি যোগায়, যা শীতের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজন, তাই প্রতিদিন এগুলি খান ।
- আপনার ডায়েটে এমন খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন যা আপনাকে উষ্ণ রাখে (শুকনো ফল, ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড, ডিম, মাংস ইত্যাদি)।
- প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ডি গ্রহণ করুন । এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় । এর পাশাপাশি, অন্যান্য ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ জিনিসগুলিও গ্রহণ করুন ।
- হালকা গরম সরষের তেল দিয়ে আপনার শরীর মাসাজ করতে ভুলবেন না ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)