আগেভাগে ক্যানসার নির্ণয় করা গেলে তার দুটি ভাল দিক রয়েছে। প্রথমত, তাড়াতাড়ি ধরা পড়লে চিকিৎসায় ভাল ফল মেলে । দ্বিতীয়ত, কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রেও এটা সাহায্য করে। একথা জানালেন রাজীব গান্ধী ক্যান্সার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের (আরজিসিআইআরসি) প্রিভেন্টিভ অঙ্কোলজি বিভাগের প্রধান ইন্দু আগরওয়াল ।
ড. আগরওয়াল বলেন,"মুখের ক্যানসার এবং সার্ভিক্যাল ক্যানসারের মতো কয়েক ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব, যদি তারা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রি ক্যানসার স্টেজেই ধরা পড়ে ৷ ব্রেস্ট ক্যানসারের মতো অন্য ক্যানসারগুলোও পরীক্ষার মাধ্যমে সহজেই ধরা পড়ে এবং চিকিৎসাও সফল হয় ৷ তামাক ও ওবেসিটি হচ্ছে ক্যানসারের রিস্ক ফ্যাক্টর, যেটা পরীক্ষার মাধ্যমে ধরা পড়ে এবং সুস্থ জীবনচর্যার মাধ্যমে সুফল পাওয়া যায় ৷"
সম্প্রতি শেষ হওয়া এই স্বাস্থ্যশিবিরে ক্যানসার সচেতনতা বক্তৃতা, প্যাপ স্মেয়ার টেস্ট, ক্লিনিকাল ব্রেস্ট এক্সামিনেশন, ক্লিনিকাল ওরাল এক্সামিনেশনের মতো স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয় । এখানে যে বার্তাটি তুলে ধরা হয়, সেটা হল, নিয়মিত পরীক্ষা ও আগেভাগে নির্ণয় হলে বেশির ভাগ ক্যানসারই সারানো যায় ।
আরিজিসিআইআরিস-র সার্জিকাল অঙ্কোলজির চিকিৎসক সীমা সিং বলেন, “এই শিবিরগুলোর মাধ্যমে আমরা নারীদের সচেতন করতে চাইছি, তাঁরা যেন কোনও উপসর্গ দেখা দিলেই পরীক্ষার জন্য এগিয়ে আসেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পান । স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে প্রথম দিকেই রোগ ধরা পড়তে পারে এবং ন্যূনতম চিকিৎসা করেই তা সারানো যায় ।”
আরও পড়ুন : স্তনের ক্যান্সার নির্ণয় করতে কাউন্সেলিং
ড. আগরওয়াল বলেন, আগেভাগে ধরা পড়লে ক্যানসার ভালভাবেই সারানো যায় এবং তারপর সুস্থ জীবনযাত্রাতেও কোনও বাধা থাকে না ।
