ETV Bharat / sukhibhava

Tips to Avoid the Risk of Dementia Risk : সাতটি সহজ নিয়ম অনুসরণ করলেই কমে যেতে পারে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি: গবেষণা

ধূমপান না করা, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা এমন সাতটি সহজ নিয়ম অনুসরণ করলেই কমে যেতে পারে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি ৷ এমনটাই বলছেন গবেষকরা (Tips to Prevent Dementia )৷

Tips to Avoid the Risk of Dementia Risk
সাতটি সহজ নিয়ম অনুসরণ করলেই কমে যেতে পারে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি : গবেষণা
author img

By

Published : Jun 16, 2022, 8:50 PM IST

হায়দরাবাদ : আমেরিকান ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজির একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে রোজকার রুটিনে সাতটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস যোগ করে নিলে অনেকটাই কমে যেতে পারে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি । আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের 'লাইফস সিম্পল 7' নামে পরিচিত এই সাতটি অভ্যাস ৷ কার্ডিওভাসকুলার এবং মস্তিষ্ককে ভাল রাখার জন্য যে যে বিষয়গুলির অভ্যাস প্রয়োজন সেগুলি হল (Tips to Prevent Dementia ):

  1. সবসময় সক্রিয় থাকা
  2. ভালো স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া
  3. ধূমপান না করা
  4. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা
  5. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
  6. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
  7. ওজন কমানো

মিসিসিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি হোল্ডার তথা গবেষণার লেখক অ্যাড্রিয়েন টিন বলেন, "লাইফস সিম্পল 7-এর মত স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলি সামগ্রিকভাবে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কম করতে পারে ৷ তবে 'হাই-জেনেটিক রিস্ক' যুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য কি না তা নিশ্চিত নয় ৷" তবে গবেষণা উঠেছে এঁদের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি কিছুটা অবশ্য়ই কমতে পারে ৷ গবেষণার জন্য 8,823 জন ইউরোপীয় এবং 2,738 জন আফ্রিকান মানুষকে বেছে নেওয়া হয়েছিল ৷ 30 বছর ধরে তাঁদের ফলো-আপ করেছিলেন গবেষকরা ৷ গবেষণার শুরুতে দলটির গড় বয়স ছিল 54 বছর ৷

এই পরীক্ষায় সাতটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস পালনের নিরিখে দলটিকে স্কোর (0-14 নম্বর) দেওয়া হয়েছিল ৷ ইউরোপীয়দের মধ্যে গড় স্কোর ছিল 8.3 এবং আফ্রিকানদের মধ্যে গড় স্কোর ছিল 6.6 । গবেষকরা আলঝাইমার রোগের 'জিনোম-ওয়াইড' পরিসংখ্যান ব্যবহার করে গবেষণার শুরুতে জেনেটিক ঝুঁকির স্কোর গণনা করেছিলেন ৷ এই পরীক্ষা জানায় ডিমেনশিয়ার জন্য কার কতখানি জেনেটিক ঝুঁকি রয়েছে । জেনেটিক ঝুঁকির উপর ভিত্তি করে ইউরোপীয় অংশগ্রহণকারীদের মোট পাঁচটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছিল এবং আফ্রিকানদের তিনটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছিল ।

সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল তাঁদের যাঁদের আলঝাইমার, APOE e4 কিংবা APOE-এর সমস্য়ার মধ্য়ে কমপক্ষে একটি রয়েছে ৷ ইউরোপীয়দের মধ্যে 27.9 শতাংশ APOE e4 ভ্যারিয়েন্ট ছিলেন ৷ আর আফ্রিকানদের মধ্যে 40.4% এর APOE e4 ভ্যারিয়েন্ট ছিলেন । সর্বনিম্ন ঝুঁকির গ্রুপে রাখা হয়েছিল APOE e2 ভ্যারিয়েন্টকে, যা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে সম্পর্কিত ৷

আরও পড়ুন : যৌন মিলনে দীর্ঘ বিরতি শুধু সম্পর্কে নয় প্রভাব ফেলতে পারে শরীরেও

সমীক্ষার শেষে দেখা গিয়েছে, ইউরোপিয়ানদের মধ্যে 1,603 জন ব্যক্তি এবং আফ্রিকানদের মধ্যে 631 জন ব্যক্তি ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন । ইউরোপিয়দের ক্ষেত্রে গবেষকরা দেখেছেন 'লাইফস সিম্পল 7'-এর পরীক্ষায় যাঁদের স্কোর সর্বোচ্চ ছিল সেই ব্যক্তিদের ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কম ছিল । লাইফস্টাইল ফ্যাক্টর স্কোরে প্রতিটি এক-পয়েন্ট বৃদ্ধির জন্য, ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি 9% কম হতে দেখা গিয়েছে। ইউরোপিয়দের মধ্যে, লাইফস্টাইল ফ্যাক্টর স্কোরে যাঁরা একেবারে নীচের দিকে ছিলেন তাঁদের তুলনায় মধ্যম এবং উচ্চ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি 30% থেকে 43% কম ছিল। আফ্রিকানদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি নিন্ম স্কোরের থেকে উচ্চ স্কোরের মধ্য়ে 6% থেকে 17% কম ছিল ।

হায়দরাবাদ : আমেরিকান ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজির একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে রোজকার রুটিনে সাতটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস যোগ করে নিলে অনেকটাই কমে যেতে পারে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি । আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের 'লাইফস সিম্পল 7' নামে পরিচিত এই সাতটি অভ্যাস ৷ কার্ডিওভাসকুলার এবং মস্তিষ্ককে ভাল রাখার জন্য যে যে বিষয়গুলির অভ্যাস প্রয়োজন সেগুলি হল (Tips to Prevent Dementia ):

  1. সবসময় সক্রিয় থাকা
  2. ভালো স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া
  3. ধূমপান না করা
  4. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা
  5. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
  6. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
  7. ওজন কমানো

মিসিসিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি হোল্ডার তথা গবেষণার লেখক অ্যাড্রিয়েন টিন বলেন, "লাইফস সিম্পল 7-এর মত স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলি সামগ্রিকভাবে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কম করতে পারে ৷ তবে 'হাই-জেনেটিক রিস্ক' যুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য কি না তা নিশ্চিত নয় ৷" তবে গবেষণা উঠেছে এঁদের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি কিছুটা অবশ্য়ই কমতে পারে ৷ গবেষণার জন্য 8,823 জন ইউরোপীয় এবং 2,738 জন আফ্রিকান মানুষকে বেছে নেওয়া হয়েছিল ৷ 30 বছর ধরে তাঁদের ফলো-আপ করেছিলেন গবেষকরা ৷ গবেষণার শুরুতে দলটির গড় বয়স ছিল 54 বছর ৷

এই পরীক্ষায় সাতটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস পালনের নিরিখে দলটিকে স্কোর (0-14 নম্বর) দেওয়া হয়েছিল ৷ ইউরোপীয়দের মধ্যে গড় স্কোর ছিল 8.3 এবং আফ্রিকানদের মধ্যে গড় স্কোর ছিল 6.6 । গবেষকরা আলঝাইমার রোগের 'জিনোম-ওয়াইড' পরিসংখ্যান ব্যবহার করে গবেষণার শুরুতে জেনেটিক ঝুঁকির স্কোর গণনা করেছিলেন ৷ এই পরীক্ষা জানায় ডিমেনশিয়ার জন্য কার কতখানি জেনেটিক ঝুঁকি রয়েছে । জেনেটিক ঝুঁকির উপর ভিত্তি করে ইউরোপীয় অংশগ্রহণকারীদের মোট পাঁচটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছিল এবং আফ্রিকানদের তিনটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছিল ।

সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল তাঁদের যাঁদের আলঝাইমার, APOE e4 কিংবা APOE-এর সমস্য়ার মধ্য়ে কমপক্ষে একটি রয়েছে ৷ ইউরোপীয়দের মধ্যে 27.9 শতাংশ APOE e4 ভ্যারিয়েন্ট ছিলেন ৷ আর আফ্রিকানদের মধ্যে 40.4% এর APOE e4 ভ্যারিয়েন্ট ছিলেন । সর্বনিম্ন ঝুঁকির গ্রুপে রাখা হয়েছিল APOE e2 ভ্যারিয়েন্টকে, যা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে সম্পর্কিত ৷

আরও পড়ুন : যৌন মিলনে দীর্ঘ বিরতি শুধু সম্পর্কে নয় প্রভাব ফেলতে পারে শরীরেও

সমীক্ষার শেষে দেখা গিয়েছে, ইউরোপিয়ানদের মধ্যে 1,603 জন ব্যক্তি এবং আফ্রিকানদের মধ্যে 631 জন ব্যক্তি ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন । ইউরোপিয়দের ক্ষেত্রে গবেষকরা দেখেছেন 'লাইফস সিম্পল 7'-এর পরীক্ষায় যাঁদের স্কোর সর্বোচ্চ ছিল সেই ব্যক্তিদের ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কম ছিল । লাইফস্টাইল ফ্যাক্টর স্কোরে প্রতিটি এক-পয়েন্ট বৃদ্ধির জন্য, ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি 9% কম হতে দেখা গিয়েছে। ইউরোপিয়দের মধ্যে, লাইফস্টাইল ফ্যাক্টর স্কোরে যাঁরা একেবারে নীচের দিকে ছিলেন তাঁদের তুলনায় মধ্যম এবং উচ্চ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি 30% থেকে 43% কম ছিল। আফ্রিকানদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি নিন্ম স্কোরের থেকে উচ্চ স্কোরের মধ্য়ে 6% থেকে 17% কম ছিল ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.