হায়দরাবাদ, 16 জুলাই: সম্প্রতি জামা নেটওয়ার্ক ওপেনে একটি গবেষণা প্রকাশ হয়েছে ৷ তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, শিশুরা ছেলেবেলায় বর্ণবৈষম্যের শিকার হলে পরবর্তীতে তাদের স্ফীতকায় বা মোটা হওয়ার প্রবণতা বেশি ৷ সমীক্ষা অনুযায়ী, পরিবারে আর্থিক অনটন, অন্যান্য আর্থ-সামাজিক কারণগুলির পাশাপাশি বর্ণবাদও একটা কারণ শিশুদের মোটা হওয়ার ক্ষেত্রে ৷
এনওয়াইইউ স্কুল অফ গ্লোবাল পাবলিক হেলথের সামাজিক ও আচরণগত বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক অ্যাডলফো কুয়েভাসও একই কথা বলছেন ৷ তাঁর কথায়, ছোটবেলায় বর্ণবাদ বা বর্ণবৈষম্যের শিকার হওয়া শিশুরা মোটা হয় ৷ 'ছোট থেকেই মোটা' মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম একটি প্রধান জনস্বাস্থ্য সমস্যা, প্রতি পাঁচ জন শিশু, কিশোর-কিশোরীর মধ্যে এরশিকার একজন ৷ গবেষণার একটি ক্রমবর্ধমান সংস্থার সমীক্ষায় আরও জানা গিয়েছে, হতাশা, বর্ণবৈষম্য, ঘুমের সমস্যা, মানসিক দুর্বলতা-সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা মানুষের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।
বর্ণবৈষম্যের মত গুরুতর বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের উপর বেশি প্রভাব ফেলে। গবেষকরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে 9 থেকে 11 বছর বয়সি প্রায় সাড়ে 6 হাজার কিশোর-কিশোরীর উপর এই সমীক্ষা চালান ৷ গবেষকরা দেখেছেন, যে সমস্ত বাচ্চারা জাতিগত বৈষম্যের সম্মুখীন হয়েছিল তাদের এক বছর পরে স্থূলকায় হয়েছে ৷ এর থেকে বেরিয়ে আসতে বর্ণবৈষম্যের সংস্পর্শে না-থাকা, নিজের শরীরের যত্ন নেওয়ার মতো বিষয়গুলোর কথা উল্লেখ করেন গবেষকরা।
গবেষকরা সমীক্ষায় এও জানিয়েছেন, মোটা হওয়ার কারণে শিশুদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে চর্বি এবং কোলেস্টরেল বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে ৷ সন্তান মোটা হলে অনেক সময় বাবা-মা কম খাওয়াতে শুরু করেন ৷ তবে শিশুরা কম খেলে লাভ হয় না, উলটে ক্ষতির আশঙ্কাই বাড়ে ৷ তাই বর্ণবাদ বা জাতি বৈষম্যের সংস্পর্শ না-থাকা এবং শরীরের যত্ন নেওয়া ওজন কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে।
আরও পড়ুন: লাল হয়ে জল পড়ছে চোখ থেকে, শিশুদের ভয়ের কারণ 'কনজাংটিভাইটিস'